আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৮ দলের পক্ষে কাল মাঠে নামতে পারে জাতীয় পার্টি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৮-দলীয় জোট-সমর্থিত প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে মাঠে নামবে বলে দলের স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে আগামীকাল রোববার।
আজ সকালে জাতীয় পার্টির গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি কাজী মাহমুদ হাসানের বাসায় এক বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন দলের স্থানীয় নেতারা।
সূত্র জানায়, সকালে জাপার জেলা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মাহমুদ হাসানের বাসায় সাবেক পৌরসভার আটটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। এতে ১৮-দলীয় জোটের প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।


এ ব্যাপারে কাজী মাহমুদ হাসান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সম্মিলিতভাবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। গাজীপুরের নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা ১৮ দলের হয়ে কাজ করবেন। তাঁরও একই সিদ্ধান্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দুই দিন পর জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এ অবস্থান নিলেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি এরশাদ।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কাজী মাহমুদ হাসান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও ১৭ জুন প্রত্যাহার করেন। এর পর থেকে জাতীয় পার্টি বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছিল। তবে দলটি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরাও বিএনপিকে সমর্থন দিচ্ছেন।
এর আগে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সমর্থন চান।
জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থানে মহাজোটের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়বে কি না, জানতে চাইলে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় নির্বাচন এলাকার নেতাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এ নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হলে তা হবে সাংঘর্ষিক। এখনো জাতীয় পার্টি মহাজোটে আছে।

নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থীও নেই। ১৮-দলীয় জোট থেকে সমর্থন চাওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মাহমুদ হাসান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলমের অনুরোধে। জাহাঙ্গীর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় জাতীয় পার্টি বিএনপির পক্ষে কাজ করতে শুরু করে। এর আগে চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাহাঙ্গীর ও জাতীয় পার্টি ইস্যু আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।