আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রতি

প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯) পাড়ার মধ্যে হৈ-চৈ করে মূলতঃ মহল্লাবাসীর নাকের সামনে মুলো ঝুলালেন কমিশনার। ছাইফুইল্লা রিকশা চালাতে চালাতে ক্লান্ত হয়ে কড়ইতলায় রিকশার আসনে ঠ্যাং তুলে দিলে ছমরদ্দির মেঝো মেয়েটা গলাভাঙা কলসির পেটের ভেতর জল ভরাতে এলে তাদের চোখাচোখি হয়; ছমরদ্দি, যার পিঠ বেয়ে মজুরঘাম নামে, তার মেয়েটা হাসে তারপর কাছে আসে আর বলে, ঘামাই গ্যালা যে! ছাইফুইল্লা হাত ধরে আর কাছে টানে। মেয়েটার কালো গালে চকাস করে চুমু খায় একটা। মেয়েটা অনেকখানি লজ্জা পায় আর কলসি তুলে দৌড় মারে। চিপার মধ্যে প্রশ্রাবরত কমিশনার এসব দৃশ্য নিজের চোখে দেখে বলে স্বাক্ষী ছাড়াই ছাইফুইল্লার পিঠের উপর একশো বেত ভাঙে আর ছমরদ্দি তার মেয়েসহ নাকেখত দিয়ে কমিশনারের মুল্লুকের ইজ্জত শেষ মুহুর্তে রক্ষা করে। কমিশনার এই দৃশ্য রচনার অন্যকোনো বিকল্প পায়নি আসলেই, কেননা মেয়েটা কালো হলেও কমিশনার রেটিনায় গায়ে গতরে যথেষ্ট ডাঙর হয়ে ধরা দেয় আর কালো গাল পেতে ছাইফুইল্লার চুমা খায়! চোখের ভেতর কালো শরীর ডাইনে বাঁয়ে অনবরত মোচড় খায় বলে কমিশনার হোঁচট খেতে খেতে বাড়ি ফেরে আর তার শ্যালিকাটা নতমুখে বলে, দুলাভাই, ক্লিনিকে যাইতে অইব মনে অয়! কমিশনার চোখ তুলে কিছু দ্যাখে না। তার চোখে তখন একজোড়া 'কালো' অনবরত সাপের মতন মোচড় খায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।