আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নাকচ করলেন আইসিসি

ডেস্ক রিপোর্টার। ঢাকা, ১৩ মার্চ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালের ম্যাচকে ঘিরে যে বির্তকের সৃষ্টি হয়েছিল তা নাকচ করে দিলেন আইসিসির তদন্তকারী দল। ইংল্যান্ডের একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ম্যাচটি ছিল সম্পূর্ণ পাতানো একটি ম্যাচ। সানডে টাইমস নামের এই পত্রিকাটি বিশ্বকাপে ক্রিকেট দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে ভারতের দিল্লির এক বাজিকরের উদ্ধৃত্তি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ভারত-পাকিস্তানের মোহালিতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের ম্যাচটি ছিল পাতানো একটি ম্যাচ।

তবে সেই বাজিকর পাতানো ম্যাচের উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেনি। সানডে টাইমেসর প্রতিবেদন পড়ে টনক নড়ে আইসিসি কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে আইসিসির তদন্তকারী দল। তবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোন প্রমাণ তারা পায়নি। আইসিসিরি প্রধান নির্বাহী হারুন লারগত বলেন, সানডে টাইমসের প্রতিবেদন পড়ে আমরা তদন্ত শুরু করি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি ছিল সম্পূর্ন পাতানো কিন্তু তারা সে ব্যাপারে উপযুক্ত কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের কিছু খেলোয়াড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত বলে দিল্লির সে বাজিকর যে মন্তব্য করেছিল তা নাকচ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট বলেন, আমার বিশ্বাস আমাদের দলের কোন খেলোয়াড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত নয়। এদিকে মাস ছয়েক আগে পাকিস্তানের তিন খেলোয়াড় সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচে স্পর্ট ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত ছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সানডে টাইমস। অনেকেই ধারণা করছেন ভারতের খেলোয়াড়দের স্পট ফিক্সিংসের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে টাইমস পত্রিকাটি তার পাঠক জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থানটি ধরে রাখার জন্যই এই ম্যাচ পাতানোর গল্প সাজিয়েছে।

আবার অনেক সমালোচক বলছেন, ইংল্যান্ডের এই পত্রিকাটির আসল উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটের মতো ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনকে কলঙ্কিত করা। ইনিউজ/এসইউ/আরএইচ/১৩.০০ঘ ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।