আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহি হাদিস সংগ্রহ : নিজে হাদিস পড়ুন - অন্যকে জানান

" কেউ তোমার দিকে পাথর ছুড়ে মারলে , তুমি তার দিকে ফুল ছুড়ে মারো...তবে ফুলের সাথে সাথে ফুলের টবটাও ছুড়ে মারতে যেন ভুল না হয় " আপনি সহি হাদিস পড়ুন/জানুন ও মেনে চলুন এবং অন্যকে জানান ও মেনে চলতে উৎসাহিত করুন। *মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, তিনটি অভিসম্পাতযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকো; পানিতে থুথু ফেলা, যাতায়াতের পথে এবং ছায়াদার স্থানে মলত্যাগ করা। (হাদীস নং-২৬)[কিতাবুত তাহারাত] *হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেন; যে ঘরে ছবি, কুকুর ও অপবিত্র লোক থাকে – সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ (নতুন রহমতসহ) প্রবেশ করেন না।

(হাদীস নং-২২৭) [কিতাবুত তাহারাত] *আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন এবং তা পবিত্র, সুগন্ধিযুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেন। (হাদীস নং-৪৫৫)[কিতাবুস সালাত] *আবু কাতাদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ মসজিদে পৌঁছে বসার পূর্বেই যেন দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) নামায আদায় করে। (হাদীস নং-৪৬৭)[কিতাবুস সালাত] *আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে কাউকে চিৎকার করে হারানো জিনিস তালাশ করতে শুনে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে তোমার ঐ জিনিস ফিরিয়ে না দিন।

কেননা মসজিদ এইজন্য নির্মান করা হয়নি। (হাদীস নং-৪৭৩)[কিতাবুস সালাত] *আবু বাকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা ইসরার (বারবার) হিসাবে গণ্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক সত্তর বারও এরূপ করে। (হাদীস নং-১৫১৪)[কিতাবুস সালাত] *আবু উমামা ইবন সাহল ইবন হুনায়ফ (রা) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে শাহাদাত প্রাপ্তির কামনা করে, এ ব্যক্তি নিজের বিছানায় মারা গেলেও আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন।

(হাদীস নং-১৫২০)[কিতাবুস সালাত] *আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর এক বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তার উপর দশ বার রহমত বর্ষন করেন। (হাদীস নং-১৫৩০)[কিতাবুস সালাত] *মহানবী (সা) বলেন, যে ব্যক্তি বার বৎসর যাবত আযান দেয় তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায় এবং তার আযানের বদৌলতে প্রতিদিন তার জন্য ষাটটি সওয়াব এবং প্রতিটি ইকামতের বিনিময়ে ত্রিশটি সওয়াব লিখা হয়। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত) *নবী করিম (সা) বলেন, যে ব্যক্তি রোযাদারকে ইফতার করাবে সে রোযাদারের সমতুল্য সওয়াব পাবে -তবে এই সওয়াব অন্য ধরনের, ইহাতে রোযাদারের সওয়াবের কিছুমাত্র লাঘব হবে না। (তিরমিযী) *হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেহই পূর্ন ঈমানদার হইতে পারিবে না, যে পর্যন্ত না তোমাদের মাতা-পিতা, সন্তান-সন্ততি এবং যাবতীয় মানুষ অপেক্ষা আমি তোমাদের নিকট অধিক প্রিয় না হই।

(বুখারী, মুসলিম) *মহানবী (সা) বলেছেন, রমজানের রোযা ব্যতিত অন্যান্য সমস্ত রোযার মধ্যে মহররম মাসের রোযা শ্রেষ্ঠ এবং ফরজ নামাজ ব্যতিত যাবতীয় নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ শ্রেষ্ঠ। (মুসলিম) *রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, কোন মানুষের সুনাম নষ্ট করা, কাহাকেও অভিশাপ দেওয়া, কাহাকেও গালি দেওয়া এবং অযথা কথা বলা কোন মুসলমানের উচিত নহে। (মিশকাত) *নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, আমাদের এই ধর্মে যাহা নাই, এরুপ কোন নতুন বিষয় যদি কেহ প্রবর্তন করে, তবে নিশ্চয়ই সে অভিশপ্ত। (বুখারী, মুসলিম) *মহানবী (সা) বলেছেন, কোন মুসলমানের উপর দু:খকষ্ট, শোকতাপ ও যন্ত্রনা উপস্হিত হইলে এমন কি সামান্য কাঁটা বিদ্ধ হইলেও আল্লাহ তাআলা তদ্বারা তাহার কিছু গুনাহ মার্জনা করিয়া দেন। (বুখারী, মুসলিম) *রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, যে ইসলাম ত্যাগ করে তাহাকে মৃত্যুদন্ড দাও।

(বুখারী) *মহানবী (সা) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যে ব্যক্তির মৃত্যু যেস্হানে হওয়া নির্ধারিত করিয়াছেন সেই ব্যক্তিকে সেই স্হানের প্রতি আকৃষ্ট করেন। (আহমাদ, তিরমিযী) *নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, যে ব্যক্তি আযানের পর বিনা প্রয়োজনে মসজিদ হইতে বাহির হইয়া যায় এবং পূনরায় প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা না রাখে সে মুনাফিক। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত) *মহানবী (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করে পরকালে আল্লাহ তাহার জন্য দোযখ হারাম করিয়া দিবেন। (বুখারী) *নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে, তাহার বিপদের সময় আল্লাহর নিকট মুনাজাত করুক। কিন্তু সে যেন তাহার সুখের সময় অধিক পরিমানে মুনাজাত করে।

(তিরমিজী) *মহানবী (সা) বলেছেন, তিনটি কারনে আরবীকে ভালবাসিবে। এক আমি আরবী। দুই -আল-কুরআন আরবী এবং তিন - বেহেশতবাসীদের ভাষা আরবী। (বায়হাকী, মিশকাত) *নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন, যে আল্লাহকে ভয় করে, তাহার নিকট ধন-দৌলত অপেক্ষা স্বাস্হ্যই অধিক মূল্যবান। (মিশকাত) *রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, তোমাদের কেহ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব করিয়া তলায় গোসল বা অযু না করে।

কারন, অধিকাংশ অসৎ প্রবৃত্তি উহা হইতেই উৎপন্ন হয়। (আবু দাউদ, তিরমিজী) *মহানবী (সা) বলেছেন, কুদৃষ্টি ও সর্পদংশন ব্যতিত অন্য কোন ব্যাধিতে ঝাঁড়ফুক নাই। (তিরমিজী, আবু দাউদ) *রাসুলে করিম (সা) বলেছেন, প্রতিটি লোম নাপাক হয়। কাজেই সব কয়টি লোম বিধৌত করিয়া এবং চামড়া মাজিয়া গোসল কর। (তিরমিজী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ) *মহানবী (সা) বলেছেন, যাহারা অন্ধকারে হাঁটিয়া মসজিদে গমন করে, কিয়ামতের দিন তাহাদের জন্য পূর্ন আলোর সুসংবাদ প্রদান কর।

(তিরমিজী, আবু দাউদ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।