আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এটি একটি জামায়াত বিরোধী পোস্টঃ

বিজ্ঞানী শিমুল জামায়াত নিজেদের ইসলামী দল মনে করলেও আমি ইহা কিঞ্চিৎ পরিমাণে বিশ্বাস করি। তাহার কারণ, অল্প-বিস্তারে আমি এখানে বলব। ২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপির সাথে জোট বেধে তারা ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসে তারা বহু ধরনের নিদর্শন দেখায়। এগুলোর মাঝ থেকে মাত্র একটার কথা বলি।

২০০১ সালের পর বাংলাদেশে পর্ণোগ্রাফীর বেশি প্রচলন ঘটে। ঢালি উডের মুক্তি প্রাপ্ত মুভি গুলোতে মারাত্মক আকারে পর্ণোগ্রাফীর প্রচলন দেখা যায়। তাছাড়া তখন ইন্টারনেটের তেমন প্রসার ছিলোনা। বিভিন্ন সিডি আকারে পর্ণোগ্রাফী গুলো বাজারে আসত। আমি মিজে তখন হাই স্কুলে পড়তাম।

আর প্রতিদিন সন্ধ্‌যায় চলে যেতাম সিডির দোকানে নতুন ছবি দেখার জন্‌য। কিন্তু, দুঃখজনক ভাবে হলেও সত্‌য প্রত্‌যেকটা বাংলা মুভিতে চার-পাচটা পর্ণোগ্রাফীর দৃশ্‌য দেখা যেত। প্রত্‌যেকটা মানুষ মাত্রই যোঊন বিষয়গুলোর প্রতি দূর্বল। তাই আমিও প্রায় প্রতিদিন এই সব মুভি দেখার জন্‌য সিডির ঘরে সন্ধ্‌যায় উপস্থিত হতাম। যেহেতু সিডি ঘরটা ছিলো বাজারে, তাই ওখানে মাঝে মাঝে আমাদের স্কুলের টিচাররা হানা দিত।

আর আমাদের কানে ধরে নিয়ে যেত। তারপর জালিবেতের বারি। অবশ্‌য কয়েকদিন ধরা খেয়ে এবং স্‌যারের পিটুনি খেয়ে আমার সিডির দোকানে যাওয়া বন্ধ হয়েছিলো। কিন্তু, যারা স্কুলে পড়তোনা তাদেরকে পিটানোর জন্‌য কেউ ছিলোনা। তারা অবাধে এসব মুভি দেখতো।

মুভি শেষ হওয়ার পর চালু হত পর্ণো সিডি। আর মানুষও পাগল পারা হয়ে এগুলো দেখতো। এখন প্রশ্ন, বিএনপি-জামায়াতের সময় এত বেশি পর্ণোগ্রাফী প্রচলিত ছিলো কেন? পর্ণোগ্রাফীর প্রচলনে সরকারী বাধা ছিলোনা কেন? জামায়াত ইসলামী দল হওয়ার পরও তাদের সামনে এভাবে কেন পর্ণোগ্রাফীর প্রচলন ঘটেছিল? আগে & এখন জামায়াত নিজেদের ইসলামপন্থী মনে করে। তাহলে কেন ওঈসব পর্ণোগ্রাফী সং বলিত মুভিকে অনুমতি দিয়েছিল? নারী নেতৃত্ব, নারী নেতৃত্ব বলে যেই জামায়াত সারাদিন চিল্লাচিল্লি করে, কেন সেই জামায়াত খালেদার আচলতল ছাড়া আর কোথায় মুখ লুকায়না? এটাকি শুধু রাজনোঈতিক উদ্দেশ্‌যে হাসিলের জন্‌য? বিএনপি জামায়াতের সাথে জোট বেধেছে বলে বিএনপির সব পাপ কাজকে পূণ্‌য হিসেবে বিবেচনা করছে কেন? আওয়ামিলীগের কর্মকান্ড আমি এমনিতেই পছন্দ করিনা। তাই এদের পাপ কাজ সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছুই বলবোনা।

কারণ, এদের অসীম অপরাধ আমার দ্বারা বলা শেষ হবেনা। কিন্তু, বিএনপি জামায়াত আমলে জামায়াত বিএনপির সকল অপরাধ মোঊনভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। কারণ, তারা প্রতিবাদ করেনি। তাদের কোন অপরাধকে অপরাধই মনে হয়নি। বিগত তত্বাবধায়ক সরকার অর্থাত, ফখরুদ্দিন আহমেদের আমলে এসব পর্ণোগ্রাফীর প্রচলন ব্‌যাপক হারে হ্রাস পায়।

মুভিগুলো থেকে ও পর্ণো দৃশ্‌য সংবলিত মুভি নিষিদ্ধ এবং এদের পরিচালক দের শাস্তির আওতায় আনা হয় (সম্ভবত). বর্তমান সময়ে পর্ণোগ্রাফী কমে গেছে ঠিকই, কিন্তু প্রায় প্রত্‌যেকটা মুভিতে নাস্তিক্‌য বাদ সমর্থন দেওয়া হয়েছে এবং দাড়ি-টুপিওয়ালাদের ভীলেন চরিত্রে অবতীর্ণ করা হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।