আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০ মার্চ কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী।

২০০৩ সালের এদিনে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাংলা সঙ্গীতাঙ্গনে নীলুফার ইয়াসমীন এক আশ্চর্য সঙ্গীত কণ্ঠ। একটি কথা প্রচলিত আছে যে, কণ্ঠ নয়, গান পরিবেশন করে নীলুফার ইয়াসমীনের সমগ্র অন্তর। আধুনিক গান, নজরুলগীতি বা কীর্তন কিংবা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, এমনকি চলচ্চিত্রের গানেও তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন বার বার। নীলুফার ইয়াসমিন বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান।

তাঁর ঠিক পূর্ববর্তী বোন ড. নাজমা ইয়াসমীন হকই একমাত্র যিনি সঙ্গীতের ভুবনের আসেননি। শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে ডক্টরেট করে তিনি হয়েছেন শিক্ষাব্রতী। নীলুফার ইয়াসমীনের জন্ম ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়। নীলুফার ইয়াসমীন তাঁর সুললিত কণ্ঠে গান গেয়ে এদেশের রুচিস্নিগ্ধ সঙ্গীত শিল্পীদের অন্যতম শ্রেষ্ঠজন হয়ে উঠেছিলেন। মতিঝিল সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পাস করেন।

উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ইডেন গার্লস কলেজ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে অনার্স ও ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে। ততদিনে ভিন্নমাত্রার সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাত হয়ে উঠেছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করেছেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রথাগত শিক্ষা ওস্তাদ পিসি গোমেজের কাছে। শিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে এদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত, নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

তাঁর শিল্পীজীবনে খান আতউর রহমানের অনুপ্রেরণাও বিশাল ভূমিকা রাখে। নজরুল সঙ্গীতের বিষয়ে তিনি প্রখ্যাত নজরুল সঙ্গীত শিল্পী শেখ লুৎফর রহমান ও শ্রী সুধীন দাসের কাছে শিক্ষা নেন। গান যে কেবল শ্রোতার মনোরঞ্জনের জন্য নয়, আত্মভাব উন্মোচনের জন্য, গান যে একটি শ্রেষ্ঠ মাধ্যম-তা এদেশে সম্ভবত একমাত্র নীলুফার ইয়াসমীনই তাঁর পরিবেশনায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাই হাতেগোনা যে গোটা দশেক চলচ্চিত্রে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন খান আতাউর রহমান ও খোন্দকার নুরুল আলমের সুরে তা চিরদিনের গান হয়ে উঠেছে অবলীলায়। এরই মধ্যে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পীর সম্মানস্বরূপ বাচসাস পুরস্কার এবং ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।

তাঁর দুটি সিডি ছাড়াও তিনি ধরনের গানের দশটি এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সঙ্গীতের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগে সঙ্গীতের প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত লাভ করে সঙ্গীতের প্রসারে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।