সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা।
এটি একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত দুর্বা ঘাস দীর্ঘকাল প্রতিকুল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। মাঠে ময়দানে ঘরবাড়ীর আনাচে কানাচে আপনা আপনি এ ঘাস জন্মায়। এর পাতা সরু, লম্বা।
মসৃণ ও সবুজ বর্ণের হয়। মাতির নিচে এর গুচ্ছ মূল থাকে। দুর্বা ঘাস আলাদা ভাবে চাষের কোন প্রয়োজন হয় না।
দুর্বা ঘাসের পরিচিতি-
প্রচলিত নাম- দুর্বা ঘাস
ইউনানী নাম- দুর্বা / দুব
আয়ুর্বেদিক নাম-দুব
ইংরেজী নাম- Bermuda grass, Dove grass.
বৈজ্ঞানিক নাম- Cynodon dactylon Pers.
পরিবার- Poaceae (Gramineae)
দুর্বা ঘাসে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান আছে- টারপিনয়েড যৌগ যেমন অরুনডেইন, লুপিনোন ইত্যাদি বিদ্যমান। এছাড়া দুর্বা ঘাসে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও বেশ কিছু অর্গানিক এসিড পাওয়া যায়।
দুর্বা ঘাস সাধারণত রক্তক্ষরন, কেটে যাওয়া বা আঘাত জনিত রক্তপাত, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, বমন, চুল পড়া, চর্ম রোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে কার্যকরী।
রোগ অনুযায়ী এর ব্যবহার পদ্ধতি-
# কেটে যাওয়া বা আঘাত জনিত রক্তক্ষরনে দুর্বা ঘাস সামান্য পানি মিশিয়ে পিষে কাটা স্থানে বেধে দিলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। কাটা স্থান দ্রুত জোড়া লাগে এবং শুকিয়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশী উপকার পাওয়া যায়।
# চুল পড়া রোগের জন্য একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা দুর করে নিতে হবে।
তারপর দুর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে পুনরায় জ্বাল দিয়ে চুলা হতে নামিয়ে ছেঁকে টা সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিদিন গোসলের ১ ঘন্টা আগে ঐ তেল চুলে মাখতে হবে। নিয়মিত২-৩ মাস প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
#বমি ভাব বন্ধের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ ১ চা চামচ চিনি সহকারে ১ ঘন্টা পর পর খেতে হবে, বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
# অধিক ঋতুস্রাব রোগের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ প্রতিদিন মধু সহ ৩-৪ বার খেতে হবে।
এভাবে ১০-১৫ দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
#আমাশয় রোগের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস ৪-৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩-৪ বার খেতে হবে। এভাবে ১০-১৫ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়ে যাবে।
আমাদের আনাচে কানাচে জন্ম নেয়া দুর্বা ঘাসের কত ঔষধি গুণাবলী। প্রয়োজনে এর ব্যবহার করতে পারেন।
আজ এই পর্যন্ত।
সকলে ভাল থাকুন ও সুস্থ্য থাকুন। সকলকে ধন্যবাদ। ভাল লাগলে মন্তব্য করতে কার্পণ্য করবেন না।
এটি একটি ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ।
সাধারণত দুর্বা ঘাস দীর্ঘকাল প্রতিকুল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। মাঠে ময়দানে ঘরবাড়ীর আনাচে কানাচে আপনা আপনি এ ঘাস জন্মায়। এর পাতা সরু, লম্বা। মসৃণ ও সবুজ বর্ণের হয়। মাতির নিচে এর গুচ্ছ মূল থাকে।
দুর্বা ঘাস আলাদা ভাবে চাষের কোন প্রয়োজন হয় না।
দুর্বা ঘাসের পরিচিতি-
প্রচলিত নাম- দুর্বা ঘাস
ইউনানী নাম- দুর্বা / দুব
আয়ুর্বেদিক নাম-দুব
ইংরেজী নাম- Bermuda grass, Dove grass.
বৈজ্ঞানিক নাম- Cynodon dactylon Pers.
পরিবার- Poaceae (Gramineae)
দুর্বা ঘাসে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান আছে- টারপিনয়েড যৌগ যেমন অরুনডেইন, লুপিনোন ইত্যাদি বিদ্যমান। এছাড়া দুর্বা ঘাসে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ও বেশ কিছু অর্গানিক এসিড পাওয়া যায়।
দুর্বা ঘাস সাধারণত রক্তক্ষরন, কেটে যাওয়া বা আঘাত জনিত রক্তপাত, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, বমন, চুল পড়া, চর্ম রোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে কার্যকরী।
রোগ অনুযায়ী এর ব্যবহার পদ্ধতি-
# কেটে যাওয়া বা আঘাত জনিত রক্তক্ষরনে দুর্বা ঘাস সামান্য পানি মিশিয়ে পিষে কাটা স্থানে বেধে দিলে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।
কাটা স্থান দ্রুত জোড়া লাগে এবং শুকিয়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশী উপকার পাওয়া যায়।
# চুল পড়া রোগের জন্য একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা দুর করে নিতে হবে। তারপর দুর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে পুনরায় জ্বাল দিয়ে চুলা হতে নামিয়ে ছেঁকে টা সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিদিন গোসলের ১ ঘন্টা আগে ঐ তেল চুলে মাখতে হবে।
নিয়মিত২-৩ মাস প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
#বমি ভাব বন্ধের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ ১ চা চামচ চিনি সহকারে ১ ঘন্টা পর পর খেতে হবে, বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
# অধিক ঋতুস্রাব রোগের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ প্রতিদিন মধু সহ ৩-৪ বার খেতে হবে। এভাবে ১০-১৫ দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
#আমাশয় রোগের জন্য দুর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস ৪-৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩-৪ বার খেতে হবে।
এভাবে ১০-১৫ দিন খেলে আমাশয় ভাল হয়ে যাবে।
আমাদের আনাচে কানাচে জন্ম নেয়া দুর্বা ঘাসের কত ঔষধি গুণাবলী। প্রয়োজনে এর ব্যবহার করতে পারেন। আজ এই পর্যন্ত।
সকলে ভাল থাকুন ও সুস্থ্য থাকুন।
সকলকে ধন্যবাদ। ভাল লাগলে মন্তব্য করতে কার্পণ্য করবেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।