আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম আলো (সুশীল !!!!) ও তাদের দোসর ভারতীয় দালালদের ভারতের সাথে মৈত্রীর বন্ধনের উদ্যেগ এবং আমাদের আতংক............।।

সামির আহমেদ মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যে উচ্চমাত্রার প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে, তা যে শূন্যগর্ভ এবং একতরফা প্রেম ছাড়া কিছু্ই নয়, বিদ্যুতের ট্রানজিট প্রস্তাব নাকচ করে ভারত তা আবার নতুন করে প্রমাণ করল। এর আগে তিস্তার পানিচুক্তি, এক শ’ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি নিয়েও একই আচরণ করেছে ভারত। নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লিতে গত ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দুই দেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিবপর্যায়ের যৌথ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। গত ২০১০ সালের ৩০ আগস্টে বাংলাদেশ-ভারত প্রধানমন্ত্রী-পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভারত প্রতি বছর বাংলাদেশে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করতে সম্মত হয়। ওই সময় তড়িঘড়ি করে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছিল। কিন' গত দুই বছরেও এই বিদ্যুৎ আমদানির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। অথচ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারত পণ্য পরিবহন সুবিধা ঠিকই ভোগ করছে। ভারতীয় নেতারা এবং গণমাধ্যম ও থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলো বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে পেতে আঞ্চলিক ট্রানজিট ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তত্ত্বের ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।

অথচ ভারতের ওপর দিয়ে টাওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ট্রানজিটের একটি সাধারণ প্রস্তাব নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এতেই বোঝা যায় কী ধরনের মৈত্রীর বন্ধনে প্রথম আলো (সুশীল !!!!) ও তাদের দোসর ভারতীয় দালালদের আমাদের আবদ্ধ করতে চায়। এর পরও কি আমাদের বোধোদয় হবে না ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।