আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭ই মার্চ, সেই ঐতিহাসিক ভুলের দিন

শিরোনাম দেখে ভ্রু কুচকানোর দরকার নেই। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্সের ময়দানে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দিয়েছিলেন। সবাই তাই জানে। তিনি এক মস্ত বড় ভুলও করেছিলেন যার চরম খেসারত দিতে হয়েছে এই জাতিকে। আওয়ামী লীগ দিনটিকে যে ভাবে পালন করছে তা দেখে মনে হচ্ছে এই দিনটি ২৬শে মার্চ বা ১৬ই ডিসেম্বরের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৭ তারিখে লাখো মানুষ রেসকোর্সে জড়ো হয়েছিল, শুধুই কি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য? গিয়েছিল প্রাণের নেতার মুখ থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কি করলেন? কিছুই না। দিলেন না স্বাধীনতার ঘোষনা। তিনি তখনও অপেক্ষায় রইলেন পাকিস্থানের সাথে আলোচনার জন্য। অনেকেই বলবেন ৭ আর ২৬ তারিখের মধ্যে পার্থক্য কই? পার্থক্য অনেক।

৭ তারিখে স্বাধীনতার ঘোষনা দিলে তা হত বাংলাদেশের জন্য নিঃসার্থ ঘোষনা কিন্তু ২৬ তারিখের ঘোষনা হয়েছে যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারলাম না তখন বাংলাদেশই সই এই মনোভাবের প্রকাশ। দাড়ান আরো তফাৎ আছে। ২৫ তারিখের অ্যাসেম্বেলির জন্য নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্থান অনেক সৈন্য এদেশে এনেছে। তাদের যুক্তি ছিল তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্থানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে নিরাপত্তার জন্য সৈন্য দরকার। তারা এসে প্রথমেই বিমানবন্দর দখল নেয় যাতে আরো সৈন্য আনতে পারে।

এই সৈন্যগুলোই ২৫ তারিখ রাতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। যদি ২৫ তারিখ আলোচনায় জন্য মুজিব অপেক্ষা না করে ৭ তারিখই স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে দিতেন তাহলে ২৫ তারিখের ওই হত্যাকান্ড ঘটতে পারত না। ২৫ তারিখ যখন আলোচনা ভেঙ্গে গেল তখনই তিনি কেন স্বাধীনতার ঘোষনা দিলেন না? কেন রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন? কেন আটক হবার আগ মুহুর্তে লিখিত ঘোষনা দিলেন? নাকি আটক না হলে সেই টুকু ও করতেন না? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।