সংবিধান-ই নাগরিকের শক্তি আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অনন্যসাধারণ ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এ দিনটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ওই ভাষণে 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' এ দৃপ্ত উচ্চারণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেদিন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্রও ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের এ ভাষণ স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় ঘটনা।

তার এ ভাষণই সেদিন সংশয়ে থাকা বাঙালির চোখে জ্বালিয়ে দিয়েছিল স্বপ্নের অমর জ্যোতি। পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতার জন্য এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে অধীর অপেক্ষায় ছিল পুরো জাতি। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে ২৫ মার্চ পাক-বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা শেষে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

অবশেষে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং গোটা জাতির বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। ৭ মার্চের উত্তাল দিনটিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। এ পথ সে পথ ঘুরে সব মিছিলই এসে থামছিল রেসকোর্স ময়দানে। দুপুরের অনেক আগেই ময়দানটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে। ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে দলে দলে।

কেউ হেঁটে, কেউ বাসে-লঞ্চে, কেউবা ট্রেনে চেপে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে লাখো লাখো মানুষে সয়লাব হয়ে যায় বিশাল ময়দান। তখন মুহুর্মুহু গর্জনে ফেটে পড়ছিলেন উত্থিত বাঁশের লাঠি হাতে সমবেত লাখ লাখ বিক্ষুদ্ধ মানুষ। বাতাসে উড়ছিল বাংলার মানচিত্র অাঁকা লাল সূর্যের অসংখ্য পতাকা। গগনবিদারী সেস্নাগানে ফেটে পড়ছিল আকাশ।

লাখো কণ্ঠের সেস্নাগানে কেঁপে উঠছিল জনসমুদ্র, গোটা শহর। ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৩টা ২০ মিনিট। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতাকাটা কালো কোট পরে বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু দৃপ্ত পায়ে উঠে এলেন মঞ্চে। দাঁড়ালেন মাইকের সামনে। আকাশ-কাঁপানো সেস্নাগান আর মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানালেন অপেক্ষমাণ জনসমুদ্রকে।

তারপর শুরু করলেন তার ঐতিহাসিক ভাষণ। কবিতার পঙতির উচ্চারণের মতো তিনি বলে চললেন্ত'ভাইয়েরা আমার আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ' বঙ্গবন্ধু বলেন, 'ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি।

আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এ রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। ' তিনি বলেন, 'আমি বলে দিতে চাই_ আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না।

এ আমার নির্দেশ। ' আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দেয়ার নাও পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে। সময় তখন ফুরিয়ে যাচ্ছে। রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্র তখন উত্তাল।

যেন আরও কিছু শুনতে চায় তারা। তারপর বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করলেন তার শেষ বক্তব্য 'তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

' মাত্র ১৮-১৯ মিনিটের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে তুলে আনেন অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীর ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন, শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসংবলিত চার দফা দাবিও উত্থাপন করেন তিনি। এ জনসভায় মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে দিনটিকে বাঙালির ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন তারা।

দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও গণর‌্যালি। সমাবেশ শেষে গণর‌্যালি শাহবাগ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান হয়ে জাতির জনকের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে এসে শেষ হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ও গণর‌্যালির শুভ উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। এছাড়াও আওয়ামী লীগের শাখাগুলোকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ ও পালন করতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সমপ্রচার এবং জাতীয় পত্রপত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অনন্যসাধারণ ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এ দিনটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ওই ভাষণে 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' এ দৃপ্ত উচ্চারণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেদিন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্রও ঘোষণা করেন।

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের এ ভাষণ স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় ঘটনা। তার এ ভাষণই সেদিন সংশয়ে থাকা বাঙালির চোখে জ্বালিয়ে দিয়েছিল স্বপ্নের অমর জ্যোতি। পরাধীনতার দীর্ঘ প্রহর শেষে প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতার জন্য এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে অধীর অপেক্ষায় ছিল পুরো জাতি। মূলত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে ২৫ মার্চ পাক-বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা শেষে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। অবশেষে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং গোটা জাতির বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। ৭ মার্চের উত্তাল দিনটিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের শহর। এ পথ সে পথ ঘুরে সব মিছিলই এসে থামছিল রেসকোর্স ময়দানে। দুপুরের অনেক আগেই ময়দানটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে দলে দলে। কেউ হেঁটে, কেউ বাসে-লঞ্চে, কেউবা ট্রেনে চেপে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে লাখো লাখো মানুষে সয়লাব হয়ে যায় বিশাল ময়দান। তখন মুহুর্মুহু গর্জনে ফেটে পড়ছিলেন উত্থিত বাঁশের লাঠি হাতে সমবেত লাখ লাখ বিক্ষুদ্ধ মানুষ। বাতাসে উড়ছিল বাংলার মানচিত্র অাঁকা লাল সূর্যের অসংখ্য পতাকা।

গগনবিদারী সেস্নাগানে ফেটে পড়ছিল আকাশ। লাখো কণ্ঠের সেস্নাগানে কেঁপে উঠছিল জনসমুদ্র, গোটা শহর। ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৩টা ২০ মিনিট। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতাকাটা কালো কোট পরে বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু দৃপ্ত পায়ে উঠে এলেন মঞ্চে। দাঁড়ালেন মাইকের সামনে।

আকাশ-কাঁপানো সেস্নাগান আর মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানালেন অপেক্ষমাণ জনসমুদ্রকে। তারপর শুরু করলেন তার ঐতিহাসিক ভাষণ। কবিতার পঙতির উচ্চারণের মতো তিনি বলে চললেন্ত'ভাইয়েরা আমার আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ' বঙ্গবন্ধু বলেন, 'ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি।

ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এ রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। ' তিনি বলেন, 'আমি বলে দিতে চাই_ আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ। ' আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দেয়ার নাও পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে। সময় তখন ফুরিয়ে যাচ্ছে।

রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্র তখন উত্তাল। যেন আরও কিছু শুনতে চায় তারা। তারপর বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করলেন তার শেষ বক্তব্য 'তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

জয় বাংলা। ' মাত্র ১৮-১৯ মিনিটের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে তুলে আনেন অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীর ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন, শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসংবলিত চার দফা দাবিও উত্থাপন করেন তিনি। এ জনসভায় মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

পৃথক বাণীতে দিনটিকে বাঙালির ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন তারা। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও গণর‌্যালি। সমাবেশ শেষে গণর‌্যালি শাহবাগ, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান হয়ে জাতির জনকের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে এসে শেষ হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ও গণর‌্যালির শুভ উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের শাখাগুলোকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ ও পালন করতে হবে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সমপ্রচার এবং জাতীয় পত্রপত্রিকা বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ Click This Link ।