আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চ..।.।.।.।.।

...............................................................................................................................................................। আজ ঐতিহাসিক ৭-ই মার্চ। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক উজ্জলতম দিন। বলাচলে এদিন থেকেই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে। এদিন রেসকোর্সের ময়দানে বাঙ্গালীর গনজোয়ার বসেছিল মহানায়কের বানী শোনার জন্য।

এই রেসকোর্সের ময়দান থেকেই বাঙ্গালীরা দেশের জন্য নিজেদের সপে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য পথচলা শুরু করেছিল। এদিন বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়েছে স্বাধীনতার ডাক। পশ্চিম পাকিস্তানিদের আর শোষন আর অত্যাচার থেকে নিজেদের রক্ষায় স্বাধীনতার বিকল্প ছিল না। কিন্তু অসহায় বাঙ্গালী জাতির যে লড়বার জন্য কোন ধারালো অস্ত্র ছিল না। তবে তাদের ছিল অসীম সাহস আর মনোবল,যেটাই হচ্ছে যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র।

দ্বিধা আর সন্দেহের মাঝে থাকা বাঙ্গালী এদিনটির জন্য উম্মুখ হয়েছিল। তারা উম্মুখ হয়ে বসে ছিল কবে নেতা হুকুম দিবেন,এ সন্ধিহান অবস্থার অবসান ঘটাবেন। অবশেষে এদিন ৭-ই মার্চ গ্রাম-বাংলার নানা প্রান্ত থেকে সবাই ছুটে আসে ঢাকায়,জড়ো হতে থাকে রেসকোর্স ময়দানে,নেতা কী বলে তা শোনার জন্য। অপেক্ষার প্রহর শেষে নেতা মঞ্চে আসেন। মহাকাব্যিক ভাষায় শুনিয়ে দেন অভয়বানী,বাঙ্গালীর মনোবল আর সাহসকে চাঙ্গা করতে একের পর শব্দ ঝংকার ছড়িয়ে দেন বাংলার আকাশে বাতাসে।

এদিন-ই মহাকবি রচনা করেছেন তার শ্রেষ্ঠ রচনা। ‘–এবারের সংগ্রাম,আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’ যে ভাষনটিকে অত্যান্ত গুরত্বের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত ও প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোষ্ট পত্রিকায় ঐ দেশের প্রখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ইতিহাসখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষনের সাথে তুলনা করা হয়। এ ভাষন নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এ দিনটি আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপুর্ন দিন,অথচ আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি।

আমাদের রাজনৈতিক বৈষম্যের কারনে আমাদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত আলোচিত দিনগুলো ভুলতে বসেছি। আজ ৭-ই মার্চ হয়ে গেছে এক দলের। নানা দিবসের ভারে এ দিনটিকে আমরা ভুলে যাচ্ছি। এক দল ৭-ই মার্চ স্মরন করে অনুষ্ঠান করে আর আরেক দল এড়িয়ে চলে। তাদের কারনে তাদের অনুসারী আমজনতাদের মাঝেও বৈষম্য তৈরী হচ্ছে।

ফলে দিনটি সম্পর্কে বিশদ জানতে পারছেনা আমাদের আগামী প্রজন্মের সন্তানেরা। তারা বেড়ে উঠছে বৈষম্য কাধে নিয়ে। সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ বৈষম্যের দৃষ্টিতে নয়,আমাদের ইতিহাসকে বাচিয়ে রাখতে হবে আমাদেরই। আমরা যেন অতীত ভুলে না যাই। আমাদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত দিনগুলোকে আমাদেরই লালন পালন করতে হবে।

শুধু মাত্র ভালোবাসা দিবস,বন্ধুদিবস,মা কিংবা বাবা দিবসে…ফেসবুকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে এ তালিকাটা আমরা দীর্ঘ করতে পারি আমাদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত তাৎপর্যপুর্ন দিনগুলোকে যোগ করে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশগ্রহন করেছেন সবার প্রতি রইল অসীম শ্রদ্ধা ও সালাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।