আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝোপ বুঝে কোপ মারো,সিজন বুঝে ব্যবসা কর।

তোমারে বন্দনা করি স্বপ্ন-সহচরী লো আমার অনাগত প্রিয়া, আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ারতৃষ্ণা-জাগানিয়া! তোমারে বন্দনা করি…. হে আমার মানস-রঙ্গিণী, অনন্ত-যৌবনা বালা, চিরন্তনবাসনা-সঙ্গিনী! মহাজোটে থেকে শান্তিতে রাজনীতি করতে পারছি: এরশাদ তারিখ: ২৩-১১-২০১০ /প্রথম আলো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘মহাজোটে থেকে কিছু না পেলেও শান্তিতে রাজনীতি করতে পারছি। অনেক আশা নিয়ে জোটে যোগ দিলেও সব পূর্ণ হয়নি, আবার একেবারেও অপূর্ণও থাকেনি। তাই জোট সম্পর্কে এখনো বলার সময় আসেনি। ’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোরে স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে যশোর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এ কথা বলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় ছিল।

তাই ওই রায় অনুযায়ী আমি স্বৈরাচার নই। আমি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছিলাম গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে। আর জাতীয় পার্টির ওই নয় বছরের শাসনামল ছিল স্বর্ণযুগ। ’ এরশাদ আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় ৪০টি মামলা খেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এবার আমার দলের লোকজনই আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

’ তিনি মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এর অন্যথা হলে ফল শুভ হবে না। ’ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব লিংকন, পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান সিরাজ সুজা, মোস্তাকুর রহমান মুস্তা, আবু সাঈদ স্বপন, কেশবপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জি এম এরশাদ ও অভয়নগরের সভাপতি আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। —বাসস। আর মহাজোটে থাকতে চাই না ঃ এরশাদ তারিখ: ৩০-০৬-২০১৩/প্রথম আলো জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘আমরা আর মহাজোটে থাকতে চাই না। কর্মীরাও কেউ থাকতে চায় না।

এবার আর কাউকে ক্ষমতায় আনার সিঁড়ি হব না। যা হয় কপালে, এককভাবে নির্বাচন করব। ’ গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বনানী মাঠে দলের বৃহত্তর ঢাকা জেলার তৃণমূল নেতাদের সমাবেশে এরশাদ এসব কথা বলেন। সময়মতো মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সমাবেশে তৃণমূলের একাধিক নেতা মহাজোট ছেড়ে আসতে এরশাদকে তাগাদা দেন এবং নানা বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ১৮ দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।

পরে এরশাদ অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আসন বণ্টন থেকে শুরু করে গত সাড়ে চার বছরে সরকার জাতীয় পার্টির প্রতি অবিচার করেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘এত দিন জাতীয় পার্টিকে তাদের স্মরণে ছিল না। এখন তারা জাতীয় পার্টির কথা মনে করছে। এখন ডাকলে তো সাড়া পাবেন না। ’ এরশাদ বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম চিকিৎসার জন্য।

সমালোচনা হলো, সেখানে নাকি ষড়যন্ত্র হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে যদি দেখা করেও থাকি, তাহলে অন্যায় কী করেছি? আমিও রাজনীতি করি, উনিও রাজনীতি করেন। উনি আমার শত্রু নন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। ’ সরকারের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পান কেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে জেলে যাবেন, এসব কথা কেন বলছেন? কারণ, ক্ষমতা ছাড়ার পরে বাড়িতে আগুন লাগবে, গুলি খেতে হবে, মরতে হবে। রাজনীতিতে এই কৃষ্টিও আপনারা সৃষ্টি করেছেন।

’ এরশাদ বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় দেখছি, সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে টেন্ডারলীগ (ছাত্রলীগ), সরকারের অপশাসন, দুর্নীতি, নির্বিচারে মানুষ মারা, ড. ইউনূসকে হেনস্তা করা, জাতীয় পার্টিকে অবহেলা করা, পদ্মা সেতু, হল-মার্ক, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, শাহবাগ চত্বর সৃষ্টি, হেফাজতের ওপর হামলা। ’ জাপার ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি এস এম ফয়সাল চিশতীর সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য রওশন এরশাদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কাজী ফিরোজ রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতা কাজী জাফর আহমেদ, আনিসুল ইসলাম মাহমদু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মন্তব্য: ঝোপ বুঝে কোপ মারো, সিজন বুঝে ব্যবসা কর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।