আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিমানে আত্মহত্যা ! বটিও ছুরির বাঁটে নিহত দম্পতির আঙ্গুলের ছাপ!! শুভ্র মেঘ ঢাকা পড়েলো কালো মেঘে !!!

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি স্বামী-স্ত্রী ও এক পাঁচ বছরের শিশু পুত্রে নিয়ে তাদের সাজানো গোছানো সংসার। টোনা টুনির বাসা বলতে যা বু্ঝায় তেমনি ছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। দু'জনেই চাকুরীজীবী, উচ্চাভিলাশী ছিলেন না বলে অভাব অনটন খুব একটা ছিলোনা। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিলো তাদের আগামীর স্বপ্ন। এরই মাঝে এক বসন্তের শেষ রাতে নির্মম ও নৃসংশভাবে খুন হলেন তাদের নিজ বেড রুমে।

ঐদিন শুক্রবার সন্ধায় স্ত্রী কর্মস্থল থেকে ফিরেছিলেন বাসায়, পুত্রকে রাতের খাবার খাইয়ে স্বামীর জন্য অপক্ষো করছিলেন। স্বামী ফিরবেন মধ্য রাতে। স্ত্রৈী তার জন্য তৈরী করে রেখেছিলেন হাল্কা খাবার ডিম দিয়ে নুডুলস। কর্মক্লাল্ত স্ত্রী স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হযে ঘুমিয়ে পড়লেন, তার সেল ফোনটিও সম্ভবত চার্জ না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। স্বামীর ফিরতে দেরী হবে তা জানাতে বারে বারে স্ত্রীকে ফোন করে তাকে না পেয়ে উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েন।

দ্রুত হাতের কাজ শেষ করে বাসায় ফেরেন তখন রাত আনুমানিক দেড়টা। স্ত্রীকে ডেকে তুলে ফোন বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলেন! স্ত্রী জবাব দিলেন তার মতো করে হয়তো চার্জ ছিলোনা। "স্বামী মনোক্ষুন্ন হলেন! তা হলে কি স্ত্রীর ভালোবাসায় ভাটা পড়েছে ! সে কি আর তাকে আগের মতো ভালো বাসেনা ! আমি রাতে দেরী করে ফিরবো যেনেও সে নিশ্চিন্তে নিদ্রা গেলো, একটা ফোন করে খবর নিবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো না, তদুপরি ফোনটাও বন্ধ হয়ে আছে, সেদিকে তার ভ্রুক্ষেপ নাই ! " প্রচণ্ড অভিমান হেলো তার ! যার জন্য এত কষ্ট করা, এত পরিশ্রম করা সেই প্রিয়তমা স্ত্রী এই র্দীর্ঘক্ষণ তার খোঁজ নিলো না। " এই জীবন রেখে আর কী হবে। সিদ্ধান্ত নিলেন আত্মহত্যা করবেন।

যেই ভাবা সেই কাজ, রান্না ঘর থেকে তরকারী কাটার বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি শরীরে আঘাত করতে লাগলেন। ধস্তা ধস্তিতে একসময় স্ত্রীর পেটেও বটির আঘাত লাগে, তা সত্বেও স্ত্রী তাকে নিবারণ ও নিস্কৃয করার অনেক চেষ্টা করেলেন কিন্তু সফল হলেন না। প্রিয়তমা স্বামী আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। স্বামীর মৃত্যু দৃশ্য দেখে নিজেকে সম্বরণ করতে পারলেন না স্ত্রী। ভাবলেন কী করবেন এখন ! যে সন্তানের জন্য তাদের এত স্বপ্ন এত পরিশ্রম সেই সন্তানের এখন কী হবে? সন্তান, স্বামী সবই ছিলো তার আপন, কাকে রেখে কাকে ছাড়বেন।

স্বামীর শোকে আত্মহত্যা করলে সন্তানের ভবিষ্যৎ 'ঢাকা পড়বে কালো মেঘে, আবার স্বামীর বিরহ তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে আহ্বান করছে। কোন দিকে সাড়া দিবেন তিনি ? জয় হলো ভালোবাসার, পুত্রের ভবিষ্যতের কথা সৃষ্টিকর্তার কাছে আমানত রেখে প্রিয়তম স্বামীর ভালোবাসার টানে সহমরণের সংকল্প নিলেন পতিপরায়না স্ত্রী। তবে সন্তানকে যাতে পুলিশি ঝামেলায় পরতে না হয়, পুলিশ যেন তাকে সম্পত্তির লোভে তার বাবা মায়ের হত্যাকারী সন্ধেহ না করে। অথবা পিতা মাতা তার প্রতি প্রতি অবহেলা করেছে, তাকে ঠিকমতো সময় দেয়নাই কিংবা তাদের সাথে না রেখে অন্য রুমে ঘুমাতে বাধ্য করেছে এই আক্রোশে সে তার পিতা মাতাকে হত্যা করেছে এমন সন্ধেহ যাতে পুলিশ না করতে পারে সে জন্য নিজে আত্মহত্যা করার পূর্বে তার মৃত স্বামীর হাত ও পা শক্ত করে বেধে ফেলে দড়ি দিয়ে যাতে করে পুলিশ ভাবে এটা কোন চুরি বা ডাকাতির ঘটনা। স্বামীর লাশ শক্ত করে বাধার পরে ঘরে থাকা একটি হাতল ছাড়া ছুড়ি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নিজের মৃত্যুকে নিশ্চিত করলেন।

যবনিকা পতন হলো একটি সুখী দম্পতীর যত্নে গড়া ছোট্র সংসার। খুব ভোরে পাশের কক্ষ থেকে এই দম্পতির একমাত্র ছেলে তারা বাবা মায়ের ঘরে এসে তাদের মৃত শব দেখে নির্বাক হয়ে যায়। তার পাশের রুমে তার বাবা মা এভাবে মরে পড়ে আছে দেখে সতর্কতা অবলম্বন করে। রান্না ঘরের একটি জানালার গ্রীল কেটে রাখে, যাতে করে পুলিশ ভাবে এটা কোন চোরের কাজ, যারা চুরি করতে এসে বাধা পেয়ে তার বাবা মাকে হত্যা করেছে। বয়স কম বলে খুব বেশী গ্রীল কাটা সম্ভব হয় নাই, তবে একটা বিড়ালের পক্ষে সেই ফাকা দিয়ে আসা যাওয়া করা সমস্যা হবে না।

এর পর সে তার মা'য়ের ফোন থেকে তার নানুকে এই মৃ্ত্যু সংবাদ দেয়। স্বাভাবিক নিয়মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের মোটিভ খুঁজতে থাকেন। নানা সমিকরেণের পর তারা নিহত দম্পতির হাতের ছাপ আবিস্কার করতে সক্ষম হন হত্যা কাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বটি থেকে। নিঃশ্চিত হন এটা আত্মহত্যা। বিঃ;দ্রঃ উপরোক্ত ঘটনাটি একটি কাল্পনিক ও উর্বর মস্তিস্কের ডিজিটাল সংস্করণঃ বাস্তবের কোন ঘটনার সাথে এর পাত্র পাত্রীর কোন মিল নাই।

কাকতালীয় ভাবে কেউ এর সাথে কোন মিল খুঁজে পেলে আমি ধরে নিবো তার মস্তিস্ক আমার মতোই কোন কাজ করছে না। বটিও ছুরির বাঁটে সাংবাদিক দম্পতির আঙ্গুলের ছাপ! সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ডিবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাগর ও রুনির ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত বটি ও ছুরির বাঁটে সাগর-রুনির তিনটি আঙ্গুলের ছাপ থাকা নিয়ে ডিবির কর্মকর্তারা ঘুরপাক খাচ্ছেন। পাশাপাশি খুনিদের হাতের ছাপ শনাক্ত নিয়ে ডিবি দৌড়ঝাঁপ করেও গতকাল পর্যন্ত কোন কূল-কিনারা করতে পারেনি।

হত্যাকাণ্ডের সময় ধস্তাধস্তি হয়েছিল বলে একটি সূত্র ধারণা করছে। সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ২৭ ফেব্রুয়ারী'২০১২ইং, সোমবার, প্রথম পৃষ্ঠা লিংকঃ Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।