আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিউঃ মার্স নিডস মমস । মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসার একটি গল্প...

যে জন দিবসে মনের হরষে পোস্ট পড়িয়া দেয় না কমেন্টখানি... তাহার উপর জ্বলিল ভাইয়ের বদনজর পড়িবে লইও জানি... আমি এমনিতেই অ্যানিমেটেড মুভি অনেক পছন্দ করি, তার পরেও এই মুভিটা দেখতে কেন জানি একটু দেরি হয়ে গেলো... এই দেরি করাটা যে আমার মোটেও উচিত হয় নি সেইটা আমি মুভি দেখার পর টের পেলাম... তাই ভাবলাম একটি রিভিউ লেখার সাহস করেই ফেলি। আগে বলে রাখি, এই রিফু ইহজন্মে কোন রিভিউ লেখেনি... মুভির নাম মার্স নিডস মমস... এর নির্মাতা ডিজনি। ডিজনির এনিমেটেড মুভিগুলা কেমন হয় তা আর নিশ্চয়ই বলে দেওয়ার কোন দরকার নেই্‌। মুক্তি পেয়েছে ১১ই মার্চ ২০১১তে। কাহিনি বলার আগে একটা কথা বলে নেই, ছোট বেলায় একটি কবিতা পরেছিলাম।

কবিতার নাম বীরপুরুষ... প্রায় ভুলে গেছি, যেটি অনেকটা এরকম ছিলঃ "মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে । ......" ......................................রবীন্দ্র রচনাবলী ২য় খণ্ড (প.ব.সরকার ১৩৬৮) পৃ২৭ এই মুভিটাও এইরকমই । এক সন্তান তার মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার কাহিনি, মাকে বাচাতে কোন সন্তান যে মঙ্গল গ্রহ পর্যন্তও চলে যেতে পারে, সেই কথাই আমাদেরকে বলে এই মুভিটি... মুভির প্রধান চরিত্রের নাম মাইলো, ছোট্ট এক বালক, মায়ের কথা তেমন একটা শুনে না... মা তাকে কাজ করতে বললে সে থোড়াই কেয়ার করে। তার মা আবার অনেক কড়া, মাইলো কাজ না করে যাবে কই? এইসব নিয়ে মা ছেলের ভিতর ঝগড়া লেগেই থাকে। এবার মুভির অন্যান্য চরিত্র দেখতে মঙ্গল গ্রহের দিকে তাকান।

কারন এরা মঙ্গল গ্রহ মানে মার্সের বুদ্ধিমান প্রজাতি, এদের প্রধানকে বলে সুপারভাইজার... এই প্রজাতির বাচ্চা আবার জন্ম নেয় মেঝে থেকে, মেঝে ফুঁড়ে বাচ্চা বের হওয়া? কি অদ্ভুত না? এদের লালন পালন করে ন্যানি রোবট জেগুলা বানানোর প্রধান উপকরন মানুষের মায়ের নির্যাস... সুপারভাইজার এর কাজ প্রতি বছর রোবট বানানর জন্যে পৃথিবীর সবচেয়ে কড়া মা খুঁজে বের করা... নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, এবারের কড়া মা কে? যাইহোক, মঙ্গলিয়ান রা মাইলোর মাকে তুলে নিয়ে যায়, কিন্তু মাকে এভাবে তুলে নেওয়ার সময় মাইলো দেখে ফেলে এবং মাকে বাচাতে সে দৌড়াতে দৌড়াতে ইউএফও ধরে ফেলে, এবং তাতে উঠে বসে... একসময় সে সত্যিই পৌঁছে যায় মঙ্গল গ্রহে, সেখানে সে জানতে পারে তার মায়ের সাম্ভাব্য পরিনতি... নতুন গ্রহ, নতুন প্রজাতি, নতুন অভিজ্ঞতা... মাইলো কি পারবে তার মাকে বাচাতে? এই অভিযানে তার পরিচয় হয় একজন মানুষের সাথে, জেও কিনা তার মাকে বাচাতে এভাবে ছুটে এসেছিল... সে সফল হয়নি, কিন্তু সেকি পারবে মাইলোকে সাহায্য করতে? এই অভিযানে তারা সাহায্য পায় "কি" নামের এক মঙ্নেগলিয়ানের... মাইলো কি সফল হবে? তার মাকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরতে পারবে? এই নিয়েই মুভিটি এগিয়ে গিয়েছে... মুভিটি দেখলে আপনার ভালো লাগতে বাধ্য। এতে হাসির খোরাক আছে যেমন প্রচুর, টুইস্টও আছে, তেমনি শেষে এসে কখন চোখ বেয়ে পানি নেমে আসবে, বলতেও পারবেন না...। মুভিটি তৈরিতে মোশন ডিটেক্টর প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে... জী হাঁ... আভাটার মুভিটিও একই প্রযুক্তিতে তৈরি, তাই এই মুভির গ্রাফিক্সও অনেক বাস্তব মানের... মাইলোর ভুমিকায় অভিনয় করেছেন Seth Green, যাকে ইতালিয়ান জবে আপনারা কম্পিউটার চালাইতে দেখেছেন, চেহারায় অনেক মিল পাবেন, না পেলেও অসুবিধা নেই, মুভির শেষে এর সুটিং এর অংশবিশেষ লাগানো আছে, দেখে মজা পাবেন... তাহলে আর অপেক্ষা কেন? দেখে ফেলুন অসাধারন মুভি মার্স নিডস মমস। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না... আইএমডিবি লিঙ্কু  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.