আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১. তলে তলে বাংলাদেশের স্যাটালাইট টেলিভিশন মিডিয়া ভারতের ঘরে, অলরেডি চইলা গেছে

Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd ০. ইহা এক প্রকারের ডিস। বলতে পারেন ছোড ডিস। ২. এই জিনিষ প্রতি টিভি এক পিসের গড় মুল্য এককালীন ৬০০-১০০০ টাকা, পরে চ্যানেল ভেদে প্রতি মাসে ৫০০-১০০০ ৩. এই জিনিষে বাংলাদেশের কোন টেলিভিশন চ্যানেল দেখা যায় না, এই জিনিষের মার্কেট বাংলাদেশের স্যাটালাইট/ডিস টিভির দেশের মার্কেটের চেয়ে দেড়গুনেরও বড়, কারন দেশের ডিস টিভি নেটওয়ার্কের কভারেজে চার কোটিরও কম জনগণ বসবাস করে আর সান/টাটার কভারেজ সমগ্র বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৪. আজ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ সেট অলরেডি বিক্রি হয়ে গেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ টাকা হলে মাসে ২৫০ কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে ৫. জেলা উপজেলায় টাটাস্কাই এর এজেন্ট আউটলেটে বিভিন্ন মূল্যের কার্ডের মাধ্যমে ভারতীয় রুপিতে টাকা কনভার্ট করে বিল প্রদান করা যায় ৬. এর বিকল্প ছিল দেশি ডিস টেলিভিশন গুলোকে লাইসেন্স মানি নিয়ে ট্যারেস্টারিয়াল টেলিকাস্ট/এয়ার টিভি অনুমোদন দিয়ে দেয়া, তাতে গ্রামের গরীব জনগণ বিনা পয়সায় শুধুমাত্র সিলভারের একটি এ্যান্টেনা দিয়ে দেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেল দেখতে পারতো, আপনাদের মনে থাকবে ১৯৯৯-২০০০ সালে একুশে টিভি গ্রামের মানুষ ডিস ছাড়াই দেখেছিল এবং বড়ই পছন্দ করেছিল। এত বছর ধরে দশ কোটির উপর গ্রামের জনগণ বাধ্যতামূলক বাংলাদেশ টেলিভিশন - বিটিভি দেখে দেখে আজ যার পর নাই কাহিল, তাই টাটা স্কাই পাইয়া মুড়িমুড়কির মত কিনতেছে ৭. আর একটা বিকল্প হচ্ছে, দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক র্গুলো ২০০৮ সাল থেকে মোবাইল সীমে বিশেষ এক রকম মোডেম টেলিভিশনের পেছনের জ্যাকে ভরে দিয়ে স্যাটালাইট টেলিভিশন চ্যানেল দেখানোর পার্মিশন চাইয়া বইসা আছে, সে ক্ষেত্রে গ্রামের জনগণ মাসে দুই তিনশ টাকা দিয়াই মোবাইল সীমে ডিসের লাইন নিতে পারতো।

এতে ফ্রিকোয়েন্সি বেশি ব্যবহার হলেও আমরা টেলিটককে মোবাইল নেটওয়ার্ক থুইয়া ডেডিকেটেড ডিস টিভি মোবাইল নেটওয়ার্ক বানাইতাম চাই ৮. এই জিনিষের বাংলাদেশি এজেন্ট কে, সে একজন শুট ইন্ডিয়ান মাল, তার প্লান শুধু মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকা ইন্ডিয়ায় পাচার না। বাংলাদেশের প্রাইভেট চ্যানেল গুলোকে পথে বসাইয়া দিন রাইত ২৪ ঘন্টা এবার চলেন বাংলাদেশে টেলিভিশনের ইতিহাস দেখিঃ ১৯৬৪ সালে ২৫ শে ডিসেম্বর (তৎকালীন পাকিস্তান) বিটিভির মাধ্যমে বাংলাদেশর মিডিয়া জগতে টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। গত দেড় দশক জুড়ে দেশে বেশ কয়েকটি স্যাটালাইট টেলিভিশন চালু হলেও গত আজও এই বিটিভিই দেশের একমাত্র গণমাধ্যম কেননা দেশের ১০ কোটি জনগণের সংবাদ বিনোদন সব এই টেলিভিশন অর্থাৎ বাধ্যতামুলক বিটিভি। কেননা রাজধানী ও জেলা শহরগুলো বাদ দিলে যেকোন উপজেলার সদরের দুই তিন হাজার ডিস টিভি কানেকশনে বিশ ত্রিশ হাজার জনগণ স্যাটালাইট টিভি দেখলেও উপজেলার বাকি ৯০% জনগণকে আজও বহুকষ্টে কেনা এক একটা টেলিভিশনে, ঘরের দোকানের চালের উপর সিলভারের এন্টিনা লাগিয়ে বাধ্য হয়ে শুধু বিটিভিই দেখতে হয়। উল্লেখ্য গত ২০০০ সালে আর একটি টিভি মানে একুশে টিভিকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হলে আমাদের গ্রামের জনগণ আর একটা চ্যানেল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল।

পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। গত কেয়ারটেকার সরকার আমলে দেশের অন্যান্য চ্যানেলকে টেরেস্টারিয়াল সম্প্রচারের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার দশম দিনেই তথ্য মন্ত্রনালয়ের যে আইনতে প্রধানমন্ত্রী দস্তখত করেছিলেন সেটা হলোঃ টেরেষ্টারিয়াল টেলিকাস্ট শুধু মাত্র বিটিভির জন্য সংরক্ষিত রাখা হলো। বোঝেন ডিজিটাল বাংলাদেশের আরম্ভ। টেরেষ্টারিয়াল টেলিভিশন, এই ডা আবার কি ? টেরেস্টারিয়াল টেলিকাস্ট মানে হলো এয়ার টিভি বা Air টেলিভিশন যা আমারা বিটিভি নমে চিনি। আজ এই কমপিউটার ইন্টারনেটের যুগেও পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালি কমিনিকেশনের অবস্থানেই আছে এই টেলিকাস্ট।

কারন ভেরিহাইফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে টেরেস্সারিয়াল টেলিকাস্ট করায় এই টিভি দেশের প্রত্যন্ততম এলাকার বাতাসে শুধু একটি সিলভারের এ্যান্টেনা দিয়েই এই টেলিভিশন ধরা যায়। আর কোন খরচ নাই। দেখতে আর পয়সা লাগে না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।