আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাটা-র ঈদের ডিসকাউন্ট আর কিছু নিদারুন বাস্তবতা

Set sail, ye hearts~ into the sea of hope.. 'ঈদের বিশেষ ডিসকাউন্ট' ট্যাগ দেখে আর কিছুদিন পর বাটা-র ঝলমলে শোরুমে আমরা সবাই-ই ঢুকবো। তবে তার আগে সেখানকার যে সব কর্মীরা হাসিমুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানায়, ভেতরে নিয়ে গিয়ে জুতা কিনতে আপনাকে সাহায্য করে, অথবা কখনো কখনো হয়তো আপনাকে বসিয়ে নতুন কেনা জুতাটা পরিয়েও দেয় - তাদেরকে এই কোম্পানীটা কি ডিসকাউন্ট দেয়? কি সুযোগ সুবিধা দেয়, জানেন কি?? আসুন একটু দেখে নেইঃ দেশে বাটার ২৪০টিরও বেশি শো’রুমে প্রায় ১২শ’ শ্রমিক কাজ করেন। এসব শো’রুমে ১৬-১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে এলেও পদোন্নতি হয়নি অনেক শ্রমিকের, এমনকি কমিশনও বাড়েনি। তাদের কাউকেই এখন পর্যন্ত নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি। কিন্তু কোম্পানির সিদ্ধান্তের বাইরে গেলেই ছাটাইয়ের হুমকি দেওয়া হয় প্রতিনিয়ত।

শ্রমিকরা জানান, তাদের মাসিক বেতনও দেওয়া হয় না। একটি শো’রুমে সারাদিন যতো টাকার জুতা এবং জুতা সামগ্রী বিক্রি হয় তার থেকে হাজারে ২৫ টাকা দেওয়া হয় ওই শো’রুমের বিক্রয় শ্রমিকদের। ওই ২৫ টাকা সমান ভাগে পেয়ে থাকেন শো’রুমের প্রতিজন বিক্রয় শ্রমিক। তবে দিন শেষে শ্রমিকরা সেই পারিশ্রমিক পান না। পরবর্তী মাসের ১৪/১৫ তারিখ তারা সে কমিশন পেয়ে থাকেন।

কোনো প্রয়োজনে ছুটি কাটালে সে দিনগুলোতে তাদের কোনো আয় থাকে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিক্রয় শ্রমিক বলেন, হরতাল বা কোনো কারণে বিক্রি বন্ধ থাকলেও সেদিন তাদের শো’রুমে আসতে হয়। কিন্তু সেদিনের কোনো পারিশ্রমিকই আমরা পাই না। আমাদের দিয়ে দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে গেটম্যানের দায়িত্ব পালন সবই করিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু দুপুরের খাবারটিও ওইদিন নিজের পকেটের টাকায় কিনে খেতে হয়।

জানতে চাইলে বাটা সেলসম্যান শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান হাওলাদার আসাদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় শো’রুমে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও ডিউটি শেষ করার কোনো নির্দষ্ট সময় নেই। কখনও সারা রাত কাজ করতে হয় বিনা পারিশ্রমিকে। কিন্তু কোনো ওভারটাইম মেলে না। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী শ্রমিককে ৩ মাসের মধ্যে স্থায়ী করার কথা থাকলেও বছরের পর বছর শ্রম আইন লঙ্ঘন করে মুনাফা করে যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিটি। বাটার সাইন সম্বলিত যে টি-শার্টটি বিক্রয় শ্রমিকদের গায়ে থাকে সেটিও শ্রমিকদের নিজেদের টাকায় কিনে নিতে হয়।

উপরের রিপোর্টটার কিয়দাংশ-ও যদি সত্যি হয়, তাইলেই তো বলতে হয়, শ্রম আইন, সরকার, শ্রমিক, অথবা আপনার আমার মতো সহানুভূতিশীল ক্রেতা - সবাইকেই কাঁচকলা দেখিয়ে চলছে বাটার জুতা বিক্রি করে মুনাফা লোটা। বেতন বোনাসের ঠিক নাই, কর্মীদের লোগো সম্বলিত টিশার্টটা পর্যন্ত পয়সা দিয়ে কিনিয়ে নেয়া হয়, সেই তারাই আবার বিলবোর্ড ভাড়া করে ৫০-৬০% ডিসকাউন্টের অফার দেয়! :-| এর প্রতিকার কি ? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।