আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিকিম-এ পরিণত হতে আর কত বাকী আমাদের?

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। মূল খবরঃ Click This Link চিন্তা করে দেখুন, এতো কিছুর পরেও বাঙলাদেশের সরকারের ভুল ভাঙে নাই। তারা কিনা ভারতের কাছে পাওনা টাকা চেয়েছে! আরে, ভারত কি মাত্র কয়েকটা টাকার জন্য মরিয়া নাকি? দেখেন বাঙলাদেশের কাঙাল সরকার আকুল হয়ে টাকা কয়টা চেয়েছেঃ ১। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ভারতীয় গাড়ি চলাচলের সার্ভিস চার্জ বাবত ১৯৮১ সাল থেকে প্রায় ৩১ বছরে প্রতিবেশী দেশটির কাছে বাংলাদেশ পাবে মাত্র ৩১ লাখ টাকা। ২।

বড় আকারের কার্গো চলাচলের জন্য আরও ১৫ হাজার টাকা পাবে বাংলাদেশ। ৩। ভারত কর্তৃত বাংলাদেশের নদী ও নদী-বন্দর ব্যবহারে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবত ভারত প্রতি বছর বাংলাদেশকে ৫.৫ কোটি টাকা দিচ্ছে। টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ কোটিতে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। স্মরণ করা যেতে পারে, ভারতকে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা দিলে তার আয় দিয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের মতো ধনী রাষ্ট্র হয়ে যাবে বলে বর্তমান সরকার প্রচারণা চালিয়েছিল।

কিন্তু টাকার এই পরিমাণ অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। সিঙ্গাপুর হওয়া তো বহু যোজন দূরের স্বপ্ন, এই পরিমাণ টাকা দিয়ে বাংলাদেশে এখন মাঝারি আকারের একটি ব্রিজ তৈরিও সম্ভব নয়। আর এই প্রচারণার এক মূখ্য প্রচারক ছিলেন আশরাফুল ইসলাম নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা [ এখন একজন অফিস পালানো মন্ত্রী ]। তবে ভারত তাদের দাবী যাতে আদায় করে নিতে পারে, সে জন্য এমন সব কর্মকর্তাদের পাঠানো হয় যাদের সাহস থাকে না মিটীং থেকে উঠে বেরিয়ে আসার। আর তাই তো বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রানজিট কার্গোর বিপরীতে ব্যাংক গ্যারান্টি এবং গভীর জলের নৌযান থেকে অগভীর জলের নৌযানে মালামাল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব করলে তা নাকচ করে দেয় ভারতীয় প্রতিনিধি দল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।