আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অণুগল্প-৫

এক. ম্যাডাম আমাকে রাতে কক্ষে ডাকলেন । আমি সুবোধ বালিকার মত তার রুমে গেলাম । হলের যাবতীয় আবদার আর দেখাশুনার দায়িত্ব তার। তিনি আমাকে হাত পা ম্যাসেজ করতে বলতেন । শিক্ষক বলে তাঁকে আমি প্রথম প্রথম সেবা করতাম ।

কিন্তু দিন দিন তার লক্ষণ ভাল দেখাচ্ছিল না । আমাদের মত সামাজিক প্রক্ষাপটে তার আচরণ আমাকে প্রচন্ড মর্মাহত করেছে । সমকামিতার মত জঘন্য আচরন তিনি করতে চাইতেন । লজ্জায় কাউকে বলতে পারতাম না । ক্লজ বান্দবীকে বললেও সে বিশ্বাস করতে চায় নি।

কিন্তু কিছুদিন পরেই তার সে মুখোশ খুলে গিয়েছিল। দুই. মামারা আগে অনেকটা জোর করেই ক্রেডিট কার্ড, স্যালারী লোন সহ অন্যান্য লোন দিতেন । আমরা তরুন বেকাররা খুল্লাম খুল্লা হয়ে বান্দবী বা অন্যান্য কাজে টাকারা শেষ করে দেই বা শেয়ার বাজারে কেউ কেউ বিনিয়োগ করি । হঠাৎ করেই টাকা আমাদের শেষ । আমরা আজ ঋণখেলাপি ।

আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনে দেখলাম মামারা এখন হিজড়া আর পাড়াদের বড় ভাইদের নিয়ে কমিশন সাপেক্ষে কমিটি করেছে ঋণ রিকভার করার জন্য । মামা, দোআ করবেন বহুত মসিবতে আছি । (সংবাদ--বাংলাদেশ প্রতিদিন) তিন. কাকরাইল মোড়ে বাসের জন্য দাড়িয়ে আছি । হঠাৎ একটি পুলিশের গাড়ী এসে আমাদের পাশে দাড়ানো এক ভদ্রলোককে গাড়ীতে উঠতে বললেন । তিনি কিছুতেই গাড়ীতে উঠবেন না।

আর পুলিশও ছাড়ার পাত্র নয়। ভদ্রলোক উৎসুক সবার সাহায্য চাচ্ছে। পাবলিকের মধ্যে কেউ কেউ জানতে চাচ্ছেন পুলিশের কাছে যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি ? পাবলিকও উঠাতে দিবেন না । এমন সময় দুই তরুনের আবিস্কার । তারা বললেন যে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে ভদ্রলোক ।

মামলার কাগজ দেখাতে দেখাতে গাড়ীতে উঠালেন । আমারা সত্যি মিথ্যা কিছুই বুঝলাম না । চার. উত্তরাতে টিউশনি করাতাম এক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে । পুলিশ ভদ্রলোক আমাকে প্রায়ই বলতেন পুলিশ হতে । কারন এখানে ইনকামের অনেক সুযোগ।

ধরুন এলাকার খুব ভাল ফ্যামিলির সন্তান কে ধরে আনলেই নগদ টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিতে পরিবারের লোকজন আসবে সম্মান বাঁাচাতে । আমি টাকা কামানোর সিস্টেম শুনে হার্টফেল। পাচ. এক বড় ভাই বড় লোকের পোলা । তার নেশা টাকা ও মেয়ে । মেয়ে পটানোর জন্যই তিনি একটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন ।

উঠতি মডেলরাই তার লক্ষ্য । আজিব পোলাপানরে ভাই ! আজিব ধান্দা ! ছয়. পোস্টমাস্টার হাকিম চাচা । এক ছেলে এক মেয়ে । অনেক গর্ব তার সন্তানদের নিয়ে। বড় ছেলে ভার্সিটি পাশ করে এক বড়লোকের মাইয়াকে বিয়ে করে বিদেশে গেল আজ দশ বছর কোন যোগাযোগ নাই ।

মেয়েটাই তার শেষ সম্বল। সেই মেয়েটাও গতবছর ভালবেসে পালালো পান্হপথের এক রাজমিস্ত্রীর সাথে । হাকিম চাচা এখন ও সবার খবর ঘরে ঘরে পৌছে দেয় । কিন্তু তার মনের ও ঘরের খবর কেউ জান নে ! সাত. ভালবেসে ভুল করেছি , তাই মরেছি । আমি বড়, ভাইটি ছোট ।

ভাল বাসতাম পাড়ার শিক্ষিত মেধাবী এক ছেলেকে । তার সাথে অল্প সময়ে কখন যে খুব কাছে গিয়েছি বুঝতেই পারি নি ! আমাদের একান্ত সময়ের ভিডিও চিত্র তার কাছে ছিল । আমাকে ব্লাক মেইল করে সে অনেক জায়গায় যেতে বলেছিল, টাকা চেয়েছিল । আমি দেই নি এবং ফ্যামিলিকে জানিয়েছি । সে আমাদের ভালবাসা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে ।

আমার মত একটা মেয়েকে জীবন্ত কবর দিয়েছে সে । আমি আজ মুখ দেখাতে পারি না । এটা ভালবাসা নয় । এমন যেন কোন মেয়ের জীবনে আর না হয় ! কখনও যেন না হয় ! আট. সেদিন গেলাম ছোট খালার বাসায় । খালা আমি আর ছোট খালাতো বোন টুসি স্টার জলসা দেখছি ।

পরকীয়া জাতীয় একটা সিরিয়াল হচ্ছে । হঠাৎ টুসির প্রশ্ন ভাইয়া বলোনা পরকীয়া কি ?? বলো না ভাইয়া বলোনা পরকীয়া কি ??? কি উত্তর দিব বলেন তো ??? নয়. সেদিন মিরপুরে আবাসিক এ ফুটপাতে চা খাইতেছি । আমার পাশে টিন এজ বয়সের এক পোলা মোবাইলে যা বলল তাতে আমি টাস্কি খাইছি । শুনবেন ? তাহলে শুনেন-- --বড় ভাই রফিক্যার দোকানের সামনে গেইছি । হেই আমারে যাইতে নিষধ করছে ।

হালায় মনে হয় রুম্পারে লাইক করে , বুঝ না রুম্পাগো বাসা হের দোকানের কাছে । জানোই তো আমি আগে ওখানেই টান্কি মারতাম । হালায় মাগি আমারে পাত্তাই দিত না ..... --আরে ব্যাটা আসল কথা ক ... ---পরে অনেক কষ্টে পটাইছি । আজ রহিমের বাসায় আমি হেরে লাগা.... ---কেমন? ---বুঝ না ক্লাস সেভেনে পড়ে ! বল না আর মামা কী যে..... ---যাকগা তুমি রফিক্যারে একটা ঠাঙানি দিও । হালায় বড় পাইকা গেছে !!!! দশ. তাহলে এবার একটা সংগৃহিত (সা.মু ব্লগ) গল্প বলি ।

ফার্মেসির সামনে সিগারেট টানছি । একটা স্কুলের পোলা আর মাইয়া উকি ধুকি দিচ্ছে । ফার্মেসিটা ফাকা হলেই পোলায় একটা প্রেগন্যান্সি কীট নিয়ে মেয়েটার স্কুল ব্যাগে ঢুকিয়ে দিল । মাথা টাস্কি দিয়ে উঠল মামা!! আমি একা ওর স্যালাইন নিয়ে আসার সময় ভাবলাম যদি পজিটিভ হয় , যা বয়স মেয়েটার !!! কোন যুগ আইলরে ভাই !!! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।