আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাইলেন জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশি এবং জার্মান নাগরিকরা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ১৯ ফেব্রুয়ারি: সম্প্রতি ঢাকায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন জার্মান প্রবাসী বাঙালি এবং জার্মান নাগরিকরা। রোববার জার্মানির বন শহরে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বাংলাদেশি এবং জার্মান নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ দাবি জানানো হয়। স্মরণ সভায় জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশী চিত্রকর মারুফ আহমেদ বলেন, ‘‘যে বা যারা এ ধরনের কাজ করতে পারে তাদের সমাজে বাঁচার অধিকার নেই। আমাদের সরকার এখনও কিছু করতে পারলেন না, এটি লজ্জাস্কর। আমি ভাবতে পারি না, যে দেশে আমি বড় হয়েছি সে দেশে এ ধরনের নির্মম ঘটনা ঘটতে পারে”।

তিনি বলেন, “আমার দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকার একবার দেখিয়ে দিক তারা কিছু করতে পারে। হত্যাকারীদের সমুচিত শাস্তি দিতে হবে। আমি আর একটি কথা বলতে চাই, যে কোনওভাবে আমাদের সাগর-রুনির শিশু সন্তান মেঘকে সাহায্য করতে হবে”। জার্মান নাগরিক অধ্যাপক এফা লুক্স বলেন, ‘‘আমিও আপনাদের মতো মর্মাহত। আমিও আপনাদের মতো তাদের জানতাম চিনতাম”।

হেলেন স্মিডট বলেন, ‘‘দেশকে নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। আজ গর্ব করার কিছু নেই। কি এমন অপরাধ করছি। কি এমন অপরাধ করছেন সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। আমরা সুষ্ঠু বিচারের সঙ্গে সঙ্গে শিশু মেঘের নিরাপত্তা চাই”।

জার্মানিতে বসবাসরত অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত শোকাহত। বেদনা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এসেছি। জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে অনেকেই এ শোকসভায় এসেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। সরকারকে প্রমাণ করতে হবে সরকার কিছু করতে পারে।

দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে”। তনিমা তাসনিম রানু বলেন, ‘‘আমি অবাক হচ্ছি। সাত দিন হয়ে গেল কেই ধরা পড়লো না। কি নিশ্চয়তা আছে আমাদের। এভাবে দুটি তাজা প্রাণ হারিয়ে গেল।

আমি লজ্জা পাচ্ছি অপমানিত রোধ করছি যে, তাজা দুটি প্রানকে এভাবে চলে যেতে হলো”। সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ কেউ আর দেশে ফিরতে ভরসা পাচ্ছে না৷ আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই”৷ মুক্তিযোদ্ধা আলিম হক দাবি করেন, এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশের সব মিডিয়া তিন বন্ধ রাখা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে তারা আবাস। বা সহজভাবে বললে তার বাড়ি। আর কেউ যখন বাড়ির অভ্যন্তরে নির্মমভাবে খুন হন, তখন বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তোলে।

এটি সার্বিক সমাজের চিত্রই তুলে ধরে”। ওমর ফারুক লুক্সও বলেন, ‘‘আমরা এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমকে তিনদিনের কর্মবিরতি ও প্রকাশনা বিরতি পালনের অনুরোধ করছি”। সভায় অন্য বক্তরাও তাঁর এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে বলেন, শিশু মেঘের কি অপরাধ? সে তো কোনও অপরাধ করেনি। তবুও কেন তাকে বাবা-মা ছাড়া বড় হতে হবে৷ সরকার সত্য উদঘাটন করে করে দেখিয়ে দিক। আমাদের আত্মীয় স্বজন আছে।

আমরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনবোধ করলে জার্মান গোয়েন্দাদের সহায়তা নিতে পারেন। সভায় হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়্। শোকসভার আয়োজক সাগর-রুনির শুভানুধ্যায়ীরা জানান, এ স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও সাগর-রুনির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে জার্মানিসহ ইউরোপে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।

Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।