আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লং মার্চ নিয়ে মোটেও বিভ্রান্ত হবেন না (পর্ব-০১)

আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম বাঙ্গালী। ইদানিং দেখা যাচ্ছে মুক্তমনা কিংবা ধর্মদ্রোহীদের অনেকেই বলছেন যে রাসূল(সাঃ) কাফেরদের সাথে কথা বলেছেন , কিন্তু আল্লামা শফী তাদের সাথে কথা বলছেন না, কিংবা ইসলাম শান্তির ধর্ম, এরকম কর্মসূচির কোন স্থান নেই ইসলামে। ইসলাম নিয়ে তাদের এহেন সচেতনতা হঠাত কেন? অনেকে হয়তো বিভ্রান্ত হতে পারেন এইরকম মিষ্টি ছল প্রতারণায়... সবকিছুকে তারা একপাক্ষিক হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। তাই সকলের জন্য একটি ঘটনা উল্লেখ করছি, মনোযোগ দিয়ে পড়ুনঃ পবিত্র কোরআনে বিশ্বনবী (সাঃ)'র অন্য যেসব মো'জেজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেসবের মধ্যে চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করার ঘটনা অন্যতম৷ আবুজেহেল ও ওয়ালিদ বিন মুগিরাহসহ মক্কার কোরাইশ ও মুশরিকদের একদল নেতা একবার বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)'র কাছে আসেন৷ সে সময় রাতের বেলায় পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচিছল৷ ওরা রাসূলে পাক (সাঃ)কে বললো, তোমার নবুওতের দাবী যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এই চাঁদকে দ্বিখন্ডিত হতে বল৷ রাসূলে খোদা (সাঃ) বললেন, এ কাজ করলে কি তোমরা ঈমান আনবে? তারা বললো হ্যা৷ রাসূল (সাঃ) আল্লাহর কাছে এ মো'জেজা ঘটানোর প্রার্থনা করেন৷ হঠাৎ সবাই দেখলো, চাঁদ এত স্পষ্টভাবে দুই খন্ড হয়ে গেছে যে দ্বিখন্ডিত চাঁদের মাঝখানে হেরা পর্বত দেখা যাচেছ৷ এরপর দ্বিখন্ডিত চাঁদ আবার জোড়া লেগে যায় এবং তা পূর্ণ চাঁদে পরিণত হয়৷ এ সময় রাসূলে পাক (সাঃ) বলছিলেন, সাক্ষী থাক ও দেখ৷ মুশরিকরা তো এই অসাধারণ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে হতবাক! কিন্তু তাদের কেউ কেউ ঈমান না এনে বললো, মুহাম্মাদ আমাদেরকে যাদু করেছে৷ পবিত্র কোরআনের সূরা আল-কামারের ০১-০৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে এই ঘটনা সম্পর্কেঃ "কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।

তারা মিথ্যারোপ করছে এবং নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করছে। প্রত্যেক কাজ যথাসময়ে স্থিরীকৃত হয়। তাদের কাছে এমন সংবাদ এসে গেছে, যাতে সাবধানবাণী রয়েছে। এটা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে সতর্ককারীগণ তাদের কোন উপকারে আসে না। অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন।

যেদিন আহবানকারী আহবান করবে এক অপ্রিয় পরিণামের দিকে" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।