আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াত-শিবিরের অর্থের উৎসের ইতিহাস

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আল-কায়দা নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত বিদেশী এনজিও যেমন, সৌদি আরবের আল হারমেইন ফাউন্ডেশন, কুয়েত ভিত্তিক রিভাইবাল ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি নামক সংগঠনসমূহকে বাংলাদেশে তাদের শাখা স্থাপনের অনুমতি প্রদান করলে তারা দেশে জিহাদী কর্মকান্ডের জন্য অর্থ আনয়ন শুরু জোরদার করে। তথ্য মতে ২০০৫ সাল নাগাদ ১২৫ টি এনজিও বাংলাদেশে এনজিও’র নামে জঙ্গি তৎপরতা অথবা জঙ্গি কর্মকান্ডের উদেশ্যে অর্থ ব্যয় করে। তাদের এ আদর্শ মওদুদীবাদ অথবা জামায়াতে ইসলামী অথবা আইএসআই’র ওহাবিজম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়(জড়ু ২০০৯) । জামায়াত মূলত রাজনৈতিক সংযোগ হিসেবে ইরান ও পাকিস্তানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের কাছ থেকে। জামায়াত বিশ্বাসী করে গণতন্ত্র ইসলাম বিরোধী এবং এ কারণে বাংলাদেশের অস্তিত্ব পাকিস্তান ও জামায়াতের নিকট স¦ীকৃত নয়।

জামায়াত পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র নিকট হতে বিপুল অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকে। জানা যায়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম স্পন্সর হচ্ছে সৌদি ব্যবসায়ী ইয়াছিন কাদিরের শ্যালক শেখ আহম্মেদ সালাহ জামজুল। তিনি ছিলেন সৌদি আরবের সাবেক অর্থমন্ত্রী। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলায় অংশ নেয়া জঙ্গিদের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে এ ব্যাংকটিকে অভিযুক্ত করা হয়। ব্যাংকটি জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে বিনিয়োগসহ দাওয়াতী কার্যক্রম ও ইসলামিক ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

জামায়াত ইসলামী ব্যাংকিং এর নামে দেশে অবৈধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে। যার মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। যেমন ফয়সাল ইনভেষ্টমেন্ট ফাউন্ডেশন (এফআইএফ) নামে একটি ব্যাংক যার বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্বেও পরিচালনা করে স্থায়ী আমানত সংগ্রহ করছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান হলেন ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। ব্যাংকটিতে জামায়াতের প্রভাব থাকায় অবৈধ ব্যাংকিং পরিচালনা সত্বেও এর বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি (প্রথম আলো ১৬ জুলাই ২০০৯)।

এছাড়া শিবির দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকুরী প্রার্থীদের নিকট কোচিং ব্যবসা পরিচালনা ও গাইড বিক্রয়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে থাকে। সূত্র মতে বিদেশে বিভিন্ন উগ্র পন্থী সংগঠনের নিকট হতে জামায়াতে ইসলামী পক্ষে অর্থ সংগ্রহ করে। জামায়াত নেতা মঈন উদ্দিন খাঁন ও আশরাফুজ্জামান এরা দুজনেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। তারা লেবাননের জঙ্গি সংগঠন জামেয়া ইসলামিয়া, সৌদি আরব ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি ইয়ুথ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুসলিম এইড, আল-খিদমত ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের নিকট হতে ইসলামী ব্যাংক লি: বাংলাদেশের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করে থাকে। যুদ্ধাপরাধী মঈন উদ্দিন এবং আশরাফুজ্জামান খান তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানীও হতে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।

আল-খিদমত সংগঠনটি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও জামায়াতের সামরিক শাখাকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়া আল খিদমত পাকিস্তানের ক্ষমা করে দেয়া আল কায়দা গেরিলাকেও পুনর্বাসনে সহায়তা করেছে ( Blackburn, ২০০৬)। অন্য দিকে জামাত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা দেশে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানী নেটওয়ার্কের সাথে ও সম্পৃক্ত। জামাত শিবিরের সহযোগিতায় অস্ত্র চোরা চালানী ও সন্ত্রাসী বাহিনী বাংলাদেশের কক্সবাজার হয়ে দেশে ও দেশের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের নিকট অস্ত্র বেচা-কেনার মাধ্যমে জামাত-শিবির বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। সূত্রে জানা যায়, জামায়াতের বার্ষিক বিনিয়োগ হতে প্রকৃত মুনাফা প্রায় ৫০০০ মিলিয়ন টাকা যা বাংলাদেশ সরকারের বার্ষিক বাজেটের ১০%।

এর বড় একটা অংশ আসে দেশের বাহিরের বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা হতে। তদন্তে জানা যায় বিদেশী ১০টি ইসলামী এনজিও’র মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী অর্থ পেয়ে থাকে। এ সব এনজিও’র নাম উল্লেখ করা হলো ঃ (1) Revival of the Islamic Heritage Society (2) Rabita Al Alam Al Islami (3) Society of Social Reforms (4) Qatar Charitable Society (5) Al Muntada Al Islami (6) Islamic Relief Agency (7) Al Forkan Foundation (8) International Relief Organisation (9) Kuwait Joint Relief Committee (10) The Muslim Aid Bangladesh. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।