আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুষ্টচক্রের সঙ্গে রুনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই নৃশংস এ হত্যাকা- হয়েছে - যায় যায় দিন

বাংলাদেশের পুলিশ রুনি-সাগর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে ফেললেও প্রভাবশালী মহলের চাপে তা প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছে না। গণমাধ্যমগুলিকেও কঠোর ভাষায় গুজব প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও 'গুজবে'র কথা বলেছেন মঙ্গলবার। পুলিশ গত দু'দিন ধরে 'দুজন সংবাদকর্মী'র জড়িত থাকা এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বললেও গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ করে বলে বসে- তারা কোন সংবাদকর্মীকে আটক তো দুরের কথা জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। ...কী জানি, হয়তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো পুলিশও কৌশলি (মিথ্যা) কথাবার্তা বলছে! আমার কাছে মনে হচ্ছে এটিএন বাংলার ওই সিনিয়র কর্মকর্তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কোন কোন গণমাধ্যম।

টিভি ও পত্রিকার খবরে সাংবাদিক দম্পতি খুনের প্রকৃত রহস্যের আশ-পাশ দিয়ে ঘোরা হচ্ছে, কিন্তু কোথায় যেন একটি বাধা কাজ করছে তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে। এরকম রাখঢাকের মধ্যেই আজ (বুধবার) দৈনিক যায় যায় দিন প্রকৃত রহস্যের ঝাঁপি অনেকটাই খুলে দিয়েছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদনটি অনেক দীর্ঘ হওয়ায় আমি সেখান থেকে অংশ বিশেষ তুলে ধরছি। বাকিটা আগ্রহী পাঠকগণ লিঙ্ক থেকে পড়ে নেবেন। "কোনো দুষ্টচক্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে রুনির ভুল পথে চলাকে কেন্দ্র করেই নৃশংস এ হত্যাকা- হয়েছে বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছে।

রুনিকে খুনের পরিকল্পনা করে বন্ধুবেশী খুনিরা বাসায় ঢোকার পর হঠাৎ সাগর অফিস থেকে বাসায় ফেরায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাকেও খুন করে কিলাররা। মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে গোয়েন্দারা এসব তথ্য পেয়েছেন। রুনির মোবাইল ফোন কল লিস্ট যাচাই এবং কলারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এসব তথ্য পর্যালোচনায় খুনিদের শনাক্ত করার পাশাপাশি এবং হত্যাকা-ের মোটিভ সম্পর্কেও পুলিশ যথেষ্ট স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছে। তবে সরকারের নীতি-নির্ধারকদের নিদের্শনা অনুযায়ী স্পর্শকাতর এ খুনের ঘটনায় শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে গোয়েন্দারা কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না।

মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টায় মোবাইল ফোন বন্ধ করার আগ পর্যন্ত রুনি ১৬ জনকে ফোন দিয়েছেন। এ সময় তিনি ৭ জনের কল রিসিভ করেছেন। এছাড়াও চারটি মিস কল রয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের সঙ্গে রুনি দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন। এর মধ্যে একজনের সঙ্গে রুনি ৪৮ মিনিট, একজনের সঙ্গে ৩৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড এবং অপর একজনের সঙ্গে ২৬ মিনিট কথা বলেন।

এরা সবাই সংবাদকর্মী। কললিস্টের তালিকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকও রয়েছেন। ওই শিক্ষককে সোমবার রাতে উত্তরা থেকে রমনার মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ভোরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা গোয়েন্দারা স্বীকার করলেও তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। " "....এদিকে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এটিএন বাংলার যে গাড়িচালক রুনিকে রাজাবাজারের বাসায় পেঁৗছে দিয়েছিলেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা।

রুনির সঙ্গে গাড়িতে আরো দুজন থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। ওই দুজন রুনির সঙ্গে বাসায় ঢুকেছিলেন, নাকি তারা রুনিকে নামিয়ে চলে গিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জোড়া খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে এটিএন বাংলার একজন জ্যেষ্ঠ সংবাদকর্মীকে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে দু'দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত তিনি কোথায় ছিলেন, কার সঙ্গে ছিলেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তাতে যথেষ্ট ফাঁকফোকর রয়েছে বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ওই সংবাদকর্মীকে গ্রেপ্তার করা না হলেও তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন এজন্য তাকে নির্দিষ্ট গ-ির মধ্যে রাখা হয়েছে। যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। সন্দেহভাজন জ্যেষ্ঠ ওই সংবাদকর্মী শনিবার তার অফিসে ছুটির দরখাস্ত দিয়েছিলেন। " ঢাক ঢাক গুড় গুড় করে যায় যায় দিন সব কথাই বলে দিয়েছে।

বাকিটুকু বুঝে নেয়ার দায়িত্ব পাঠকের। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।