আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গো চরন দত্ত

খুব জানতে ইচ্ছে করে...তুমি কি সেই আগের মতনই আছো নাকি অনেকখানি বদলে গেছো... গো চরন দত্তের নাম শুনেছেন কিনা জানিনা। । এক সময় লোকটাকে সবায় দত্ত বলেই জানত। । কিন্তু দত্ত সাহেব কিভাবে গো চরন দত্তে পরিণত হলো।

আসুন জানি। । একবার তার মেয়ের কঠিন অসুখ হলো, ডাক্তার কবিরাজ বৈদ্য সব শেষ কিছুতেই কিছু হলোনা। বেচারায় মহাচিন্তিত। এমন সময় তাকে এক বুড়ি বললো ওরে দত্ত তোর ঘরেইতো ঔষুধ আছে।

যা গোয়াল ঘরে গরুর লেদা দিয়ে বড়ি বানাইয়া খাওয়া ভালো হয়ে যাবে। । তো দত্ত তাই করলো। । তার মেয়ের কঠিন বিমার ভালো হয়ে গেলো।

এরপর খেকেই দত্ত গরুর চরনে এতো বেশি মাথা ঠুকলো যে কাল বৈশাখি ঝড়েও সে গরুর চরনে মাথা ঠুকিয়ে বললো ” মাগো আমি গরিব মানুষ ঝড়ে যদি ফসলাদি নষ্ট হয়ে যায় তয় আমি খামু কি” মা তুমি রক্ষা করো। । এভাবে দত্ত নিজের অজান্তেই গো চরন দত্তে পরিণত হয়েছে। গ্রামের সব লোক তাকে গো চরন দ্ত্ত বলে ডাকে তাতে তার কোন অসুবিধে নেই। ।

কারণ সে জানে স্বয়ং ঈশ্বরের রুপ রয়েছে তার গো’তে। । হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গরুকে মা বলেই জানে কারণ মায়ের দুধ খেয়ে যেমন সন্তান বেচে থাকে তেমনি গরুর দুধ খেয়েও অনেকে বেচে থাকে। । তাই গরুও তাদের মা।

। যুক্তি থাক বা না থাক এটা তাদের বিশ্বাস। । তাই বিশ্বাসে আঘাত করা কারোই উচিত নয়। ।

এ দেশেও অনেক গো চরন দত্তের দেখা মেলে । ঐ এক কথা, আপনি নাস্তিক না আস্তিক তা প্রমাণ করার সময় এসেছে। । কয়দিন পর হয়তো হিন্দু মুসলমানের প্রাথর্ক্য করার জন্য পুরুষদেরকে সরকার লুঙ্গি পড়তে বলবে। ।

এখন রাস্তায় পুলিশি চেক পোষ্টে গাড়ির কাগজ পত্র দেখে তখন হয়তো লুঙ্গির........! ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।