ভাবনারা মাথার ভিতর অবিরত তুলছে ঢেউ
“তোর কাছ থেকে ভদ্র কথা শিখতে হবে?”
পুলিশি নির্যাতনে আহত তাজউদ্দীনের নাতি রাকিব হোসেন..
‘গত শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন্ধু হিমেলকে নিয়ে গুলশানে একটি খাবারের দোকানের সামনে আমি গাড়ি পার্ক করছিলাম। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই পুলিশ সদস্য আমাকে ডাক দিয়ে বলেন, “এই, তুই এদিকে আয়। ” আমি ভদ্রভাবে বললাম, আমাকে তুই করে বলছেন কেন? এতে পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “তোর কাছ থেকে ভদ্র কথা শিখতে হবে?” কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পুলিশ সদস্য আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তাঁরা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে টহল পুলিশকে খবর দেন। কিছুক্ষণ পর টহল পুলিশের একটি দল এলে আমি একপর্যায়ে নিজেকে সোহেল তাজের ভাগনে পরিচয় দিই।
এ সময় একজন পুলিশ সদস্য বলেন, “সোহেল তাজের ভাগনে! দাঁড়া, তোর মামাগিরি ছুুটাই। ”’
রাকিবের মা সিমিন হোসেন জানান, টহল দলের পাঁচ-ছয়জন পুলিশ রাকিবকে মাটিতে শুইয়ে পেটাতে থাকেন। বুট দিয়ে তার বুকে লাথি মারে। শটগান দিয়ে তাকে আঘাত করে। কিছুক্ষণ মারধরের পর তাকে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে গুলশান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আহত সন্তানের শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে গতকাল শনিবার রাতে সিমিন হোসেন বলেন, ‘বিনা কারণে ছেলেকে আটক করার পর আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তার পরও তিন ঘণ্টা রাকিবকে আটক রাখে পুলিশ। ’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের মতো লোকদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে যাদের ওপরে যোগাযোগ করার কেউ নেই, তাদের অবস্থা কী হবে!’
কৃতজ্ঞতায়ঃ শিকদার ভাই ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।