আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গম চোরের বড় গলা

ছোটো বেলা থেকে অনেক প্রকার চোরের নাম শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । যেমন জুতা চোর, গরু চোর, গাড়ী চোর, বড় চোর, ছোটো চোর, ছিচকে চোর, পুচকে চর, গম চোর ইত্যাদি ইত্যাদি । মাত্র কয়েক দিন হল মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের সাথে তেমনই একজন চোরের পরিচয় ঘটেছে তার নাম আব্দুর রহমান, তিনি একজন গম চোর তবে তার অন্য পরিচয়ও রয়েছে । এই আব্দুর রহমান অন্য চোরদের চেয়ে স্বাতন্ত্র্য কারন হল তার অভিন কৌশলের কারনে । গম চুরির কারনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ড হয় ।

কিন্তু তাকে সাজা ভোগ করতে হয়নি । মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে আব্দুর রহমান সাজিয়ে তার বদলে সাজা ভোগ করান । অবশেষে তার এই অভিনব কৌশলের কথা সংবাদপত্রে প্রকাশ হয় এবং তিনি ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন । আব্দুর রহমানের অভিনব কৌশল প্রয়োগের কাহিনী এখানেই শেষ নয় আর একটু বাকি আছে । তিনি ২০০৩ সালের শেষ দিকে মুজিব নগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে ভুয়া সনদ দেখিয়ে সরকারি চাকরি নেন ।

বর্তমানে তিনি সহকারী উপ কর কমিশনার । স্কুল জীবনে একটা প্রবাদ বাক্য পড়তাম চোরের মায়ের বড় গলা । এবার মনে হয় প্রবাদ বাক্যটাকে একটু এডিট করে বলতে হবে গম চোরের বড় গলা । এতগুলো কীর্তি করে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর আব্দুর রহমান পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সাংবাদিকদের ডাকেন, ক্যামেরাম্যান ডাকেন । আমি চোর না ডাকাত ? আমি বি সি এস ক্যাডার সমমানের কর্মকর্তা” ।

অনেক বড় মাপের গলার কথা... । সচারাচর জালের ভিতর ধরা না পড়া এসব গভীর জলের রাঘব বোয়ালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা আশা করি সরকারে কাছে । যাতে ফের কেউ এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ না পায় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।