আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক‍্যান্টনমেন্ট েচক পয়েন্ট রঙ্গ

কােলর সািক্ষ ঢাকা শহরের ২ ঠ‍্যাং ২ িদকে মিরপুর আর উত্তরা, ক্রমেই লম্বা হয়ে যাচ্ছে আর মাঝখােন শক্ত হয়ে শুয়ে আছে আমাদের গর্বের িনশ্ছিদ্র নিরাপত্তা (!) এলাকা ক‍্যান্টনমেন্ট। কি চমৎকার আমাদের সড়ক পরিকল্পনা !! রাজধানী যখন দিকে পাশে ধাই ধাই করে বেড়েই চলেছে লাগামহীন, তখন আমাদের শহরের পূর্ব-পশ্চিমের সংযোগ সড়ক হাস‍্যকর সংখ‍্যায় কম। ঢাকার কমার্শিয়াল হাব গুলশান-বনানী, আর বিরাট সংখ‍্যক চাকরীজীিবরা মোহাম্মদপুর, মীরপুর েথকে গুলশান-বনানী যাবার জন‍্য ধর্ণা দিতে হয় মহান (!) ক‍্যান্টনমেন্ট এর ভেতর দিয়ে যাওয়া কচুক্ষেত-বনানী রেল ক্রসিং সড়কে। গত ১০ বছর ধরে দিনে ২ বার আমি এই রাস্তায় চলাচল করি। ক‍্যান্টনমেন্ট এর নিরাপত্তা বিষয়ক বেশ কিছূ হাস‍্যকর বিষয় বলছি এখন × মিরপুর ১৪ থেকে বাসে করে কাকলী চলে যাওয়া যায় বিনা চেকে।

তরল পানীয় পরিবহনের জন‍্য তাই বাসে উঠে েগলেই হয়। সেনাবাহিনীর নােকর উপর দিয়ে বিনাবাধায় চলে আসা যায়। প্রাইভেট কার েচক করা হয় কচুক্ষেত আর বনানী ২ পয়েেন্টই। যারা ক‍্যান্টনমেন্ট এর একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেকপাশ দিয়ে বেরিয়েই যাবে, তােদর এতো েচক করা কি জরুরী?? × আমাকে প্রায়ই একটা প্রশ্ন শুনতে হয় "আপনি কি করেন?" উত্তরে যদি বলি অ‍্যাডভার্টাইজিং এজেন্সীতে কাজ করি, তার পরই আরো ৫/৬ প্রশ্ন খাড়া হয়ে যায় 'সঙ্গে ক‍্যামেরা আছে নাকি?', 'আপনার আইডি দেখান', 'কোথায় যাবেন', 'গাড়ি কার' ইত‍্যাদি। আর যদি বলি 'চাকরী করি" তেমন কিছু জিজ্ঞেস করা হয়না।

আজব না ??!! × সঙ্গে ক‍্যামেরা থাকলে এমন ভােব জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যেন এটা ক‍্যামেরা না, বন্দুক। অথচ ক‍্যামেরায় যদি এতই সমস‍্যা মোবাইলের ক‍্যামেরা আটকাচ্ছে কে ?? এখন তো মোবাইলের ক‍্যামেরাও অনেক ভালো ছবি তুলতে পারে। × গাড়ির কাচ তুলে েচক পয়েন্ট পার হওয়া নিষেধ। কালো কাচ হলে েতা কথাই নেই। × প্রাইভেট কােরর ২ টা েহডলাইটে সমান আলো না হলে ঢুকতে না দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়া হয়।

েকবিন লাইট না জ্বললেও একই শাস্তি । বাস, ট‍্যািক্সর ১ টা লাইট না জ্বললেও ব‍্যাপার না। × মিরপুর ১০ - বনানী ক্রসিং সিএনজি বেবি ট‍্যাক্সী চলে। জনপ্রতি ১৫ টাকা করে ভাড়া। চেক পয়েন্ট এর আগে পিছনের সীেট ৩ জন যাত্রী েনয়া হয়।

আর চেক পয়েন্ট পার হয়ে চালকের পাশে টুপ করে ১ জনকে তুলে নেয়া হয়। × ক‍্যান্টমেন্ট এর েচক পয়েন্টে কখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা হয়না। আপনি যদি মটরসাইকেল চালক হন, আপনার লাইসেন্স না থাকলেও অবশ‍্যই হেলমেট থাকতে হবে। ×অফিস আওয়ারে কচুক্ষেত পয়েন্টে চরম চাপ থাকে গািড়র। সাধারন জনগনের জন‍্য ২ টা লেন মা্ত্র আর সেনাবাহিনীর জন‍্য একটা লেন খালিই থাকে।

কচুক্ষেত মার্কেট থেকে একটা আর্মি ক‍্যাপ কিনে যদি আপনার গাড়ির ড‍্যাসবোর্ডে েরখে দেন। তাহলে সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত লেনে আরামে গাড়ি চালাতে পারবেন। সচরাচর প্রশ্ন করা হয়না। × আমার মতো চুল লম্বা হলে সবসময়ই কড়া প্রশ্ন করা হয় এবং েযন অনিচ্ছাসত্বে অনুমতি দেয়া হয়। গািড় েচক করতে দাড়ােনা েসনা সদসে‍্যর হােত থােক মেটাল ডিটেকটার !!! এরকম আরো অনেক বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে একটা প্রশ্নই আসে।

বনানী থেকে কচুক্ষেত এই রাস্তার ২ মাথায় সেনাবাহিনীর এই বজ্রআটুনী ফস্কা গেরো েচক পয়েন্ট না দিয়ে, মাঝখানের ক্রসিং এ ডানে - বামে মোড় এ কড়া চেক েপাস্ট বসালে ক‍্যান্টনমেন্ট এর ভেতরে ঢুকতে ইচ্ছুক এমন গাড়ি আর যাত্রীেই শুধু চেক করতে হয়। যারা অফিস ছুটছে নানা ঝক্কি ঝামেলা ঠেলে, ঘড়ির সঙ্গে রেস করে, তাদের চেক করতে হয়না। একটা একটা করে গাড়ি গুনে গুনে না ঢোকালে গতিটা একটু বাড়ে, সময়টা বাচে। সময় আমাদের বড় দরকার। সেনা বাহিনীর হাতে অফুরন্ত সময় আছে নিরাপত্তা বিলাসীতার।

আমাদের নেই। অফিসের আগে ১০ মিনিট সময়ের দাম ১ দিনের বেতনের ১/৩ ভাগ। এটা সেনা বাহিনী জানে না মনে হয়!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.