আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেমন হচ্ছে বলতে পারেন?? বুঝতে পারেন!!!

ক্লিন'স অল্টারনেটিভ ওয়ার্ল্ড ৬. নিথর পড়ে আছে ডিনার দেহ। টিফান তার করণীয় ঠিক করে একটু আগেই চলে গেছে। রিবো আর মিরেনকে খুঁজে পাওয়া দরকার। ডিনার প্রাণহীন দেহটা, বেদনায় নীল হয়ে যাওয়া মুখ চোখ, বাতাসে উড়ন্ত চুলেরা- সব একা পড়ে আছে তারপর থেকে ডিনা- সকলের অত্যন্ত প্রিয় এবং প্রতিরক্ষিত ডিনা। যাকে ঘিরে বেঁচে থাকে সবাই, যাকে ঘিরে জেগে ওঠে সবাই, যার সৌন্দর্যে বিমোহিত সবাই, যার রহস্যে আতিপাতি হাজারো বিদগ্ধ হৃদয়- সেই ডিনা পড়ে আছে।

প্রায় প্রাণহীন। আজ যা ঘটলো তা সাধারণের চেয়ে ভিন্নতর। ডিনার প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয় এখানে। প্রথমত তার অবস্থানটাই অনেকটা সেই রূপকথার রাক্ষসের প্রাণের মতো- বনের মাঝে পুকুর, সেই পুকুরের মাঝে গভীর তলায় রাখা কৌটার মধ্যে কালো ভোমড়া যেন ডিনা। তাকে খুঁজে পাওয়া সহজ বিষয় নয়।

তাকে আঘাত করতে হলে অন্তত দুটি প্রাচীর পেরোতে হবে যে কাউকে। এই সুদীর্ঘ পথে নানানজন আছে বহিরাগত যে কাউকে চিনে ফেলার জন্য, তাকে আক্রমণ করার জন্য। ডিনা- তাই প্রায়শই নিরাপদ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কতজনকে অকাতরে জীবন দিতে দেখেছে ডিনা- যেন ট্রয়ের হেলেন । কতজনের ভালোবাসায় ধ্বংসযজ্ঞের চিরন্তন প্রবাহ তাকে ঘিরে।

সেই ডিনা আজ অসহায় পড়ে আছে, নিথর এবং সম্ভবত মৃত। দূরে অনেকের কোলাহল শোনা যায়। কারা যেন আসছে এদিকে। ধীরে ধীরে দলটা স্পষ্ট হতে থাকে। ডিনার দিকেই আসছে তারা।

আরো কাছে আসে। অনেকগুলো ছোট ছোট প্রিটান। সাড় বেধে এগিয়ে আসছে। একটা ছোট খাট সেনাবাহিনীর মতো। প্রত্যেকের গায়ে একই ইউনিফরম।

ছোট অক্ষরে লেখা আছে তাতে- পোজান ফোর্স। তারমানে পোজান বাহিনী তারা। আগে কখনো এখানে দেখা গেছে বলে মনে হলো না। একেবারে শেষের পোজান বাহিনী একদল বন্দী নিয়ে আসলো- কিছুটা ভিন্ন ধরনের প্রিটান তারা। প্রত্যেকের চোখে মুখে দুঃখের ছাপ।

বুঝাই যাচ্ছে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে পোজানদের হাতে বন্দী হয়ে অত্যন্ত বিষণœ। কিন্তু কিছু বোধহয় করা নেই তাদের আপাতত- পোজানদের কথা শোনা ছাড়া। বন্দী প্রিটানদের ডিনার নিথর শরীরের কাছে এনে ঠেলে দিলো পোজান বাহিনী। ডিনার দিকে তাকিয়ে আতকে উঠলো তারা। কী করেছে এরা? কী ভয়ংকর পরিকল্পনা এদের।

মনে মনে ভাবে তারা। পোজানদের কাছে কী এবার তবে পতন হবে সবার? ডিনার মৃত্যু অন্তত তাদেরকে তাই মনে করিয়ে দেয়। কয়েকজন পোজান এগিয়ে আসে বন্দী প্রিটানদের জটলার কাছে। তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে বাছাই করে তারা। নেতা গোছের একজন আদেশ দেয়- যাদের নাম ধরে ডাকবো তারা সামনে এসে দাড়াও।

জটলার প্রিটানগুলো ফিসফাস করে ওঠে। তারপর আবার চুপ হয়ে যায়। হঠাৎ ডাক আসে- পলা! পলা নামের একজন প্রিটান এগিয়ে আসে। অত্যন্ত অভিজাত কিন্তু কর্মঠ চেহারার একজন নারী। পলার পিছনে পিছনে এসে একে একে দাড়ায় গৌড়, ট্রস, লজ এবং আরো অনেকে।

বাকিরা রয়ে গেলো। সম্ভবত পরের কোন কাজের জন্য। বাছাই করা প্রিটানদের নিয়ে অন্য একটি জায়গায় রাখলো পোজান দলটি। তারপর তাদেরকে কিছু একটা নির্দেশ দিতে থাকলো। ট্রস আর পলার মুখের এক্সপ্রেশনই বলে দিচ্ছে মোটেই ভালো কোন কাজের নির্দেশ আসে নি তাদের জন্য।

অসহায়ের মতো তাকালো তারা চারদিক। কাউকে চোখে পড়ছে যারা তাদেরকে এই সমূহ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারে। পোজানদের সংখ্যা এত বেশী মনে হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কারো পক্ষে দাড়ানোই সম্ভব নয়। উপায় অবশ্য একটা আছে। কিন্তু সে জন্য ডিনার সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি।

কতজনকেই তো এভাবে প্রতিহত করলো ডিনা। তার শক্তির গভীরতা বুঝা কঠিন। এমনসব শত্রুর বিরুদ্ধে ডিনা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে- ভীষণ শক্তিশালি এক একজন যোদ্ধা তৈরির তথ্য আছে ডিনার কাছে। কেবল সে-ই পারে তথ্যগুলোকে ব্যবহার করতে। ট্রস, লজ এরা সবাই এসময় ডিনার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তাদের সাহায্যে মিরেনের মাধ্যমে স্পেশাল বার্তা যায় রিবোর কাছে। তখন রিবো তৈরি করে দেয় শক্তিশালি এসব যোদ্ধাদের। এরা যখন আসে, নানা দলে, নানা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তখন আক্রমণকারীদের দুরবস্থা দেখলে আসলেই মায়া লাগে। এমন ঘটেছে অহরহ। কিন্তু সেজন্য ডিনার কর্মক্ষম থাকাটা খুব জরুরি।

কিন্তু আজ আর হতে পারবে না। কারণ সবার আগে ডিনাকেই আঘাত করা হয়েছে। ডিনার অনুপস্থিতিতিতে কেউ আসবে না। অনেক কিছুই অব্যবহৃত রয়ে যাবে। অনেক শক্তিই অপ্রদর্শিত থেকে যাবে- শত্রুর সাথে লড়াইয়ের।

বিনা বাধায় পোজানরা দখল করে নিচ্ছে ডিনার রাজ্য। দখল করে নিচ্ছে ট্রস, পলা আর লজদের। তারা বোধ হয় চিরন্তন দাস হয়েই থাকবে পোজানদের- যতদিন বেঁচে থাকে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.