আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিযবুত তাহরীর যে কারনে সন্ত্রাসবাদী ও বিভ্রান্ত বাতিল আক্বীদার দল --- পর্ব (১)

হিযবুত তাহরীর সন্ত্রাসবাদী ও বিভ্রান্ত-পথভ্রষ্ট দল। বাংলাদেশেও মেধাবী তরুনদের মগজধোলাই করে তাদেরকে ইসলামের নামে ভ্রষ্ট পথে নিয়ে যাচ্ছে। হযরত সুলতান সালাহ উদ্দীন আইউবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারকে আমরা দেখতে পাই ঐ সময় মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইহুদী ও খ্রীস্টানরা মিলে মুসলমানদের মধ্যে কিছু ভ্রষ্ট আক্বীদার দল তৈরী করেছে। বর্তমানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এদের সম্পর্কে সামান্য ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো যাতে তরুন সমাজের কিছুটা হলেও বোধোদয় হয়।

============================================ হিযবুত তাহরীর (আরবী ভাষায়: حِزْبُ لتَحْرِير) (বাংলা ভাষায়: মুক্তির দল) একটি ধর্মব্যবসায়ী রাজনৈতিক দল; যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে ২০০১ সাল হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এটি একটি সন্ত্রাসবাদী, বাতিল ও বিভ্রান্ত-পথভ্রষ্ট দল বা ফিরক্বা। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। শায়েখ দামেশকিয়া কর্তৃক লিখিত “হিযবুত তাহরীর : মুনাক্বাশাহ লি-আহাম্মি মাবাদিইল হিযব” নামক কিতাবটিতে তাদের ভ্রান্ত মতবাদসমূহ বিস্তারিত পাওয়া যাবে।

সাবধান! সাবধান! মুসলিম যুবক ও শিক্ষিত ভাইগণ তাদের দলে শরীক হওয়া থেকে সাবধান। পাঠকদের সামনে হিযবুত তাহরীরের ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাস তাদের কিতাব থেকেই তুলে ধরা হলো: দলের প্রতিষ্ঠাতা : এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম আমীর হচ্ছে, তকীউদ্দীন আন-নাবাহানী। সে ১৯০৯ সালে বর্তমান ইসরায়েলের হাইফা শহরে জন্ম গ্রহণ করে। সে ১৯৫৩ সালে বাইরুতে হিযবুত তাহরীর প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭৭ সালে সে বাইরুতে ইন্তকাল করে।

দলটির মূলনীতি : এ দলের মূলনীতি মুতাযেলা সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায়। তারা পবিত্র ইসলামী শরীয়তের দলীলের উপর মানবীয় বিবেক-বুদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ইতিহাস : মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বুলি আউড়িয়ে ১৯৫৩ সালে এ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা প্রচার করে হিযবুত তাহরীর মনে করে- মুসলিম বিশ্বের সমস্ত সমস্যার মূলে রয়েছে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে খিলাফত ব্যবস্থার অনুপস্থিতি এবং খিলাফত ব্যবস্থাই হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শক্তির প্রতীক। ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের শরীয়াহ আদালতের বিচারক শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানী কর্তৃক ১৯৫৩ সালে এ দলের প্রতিষ্ঠা হয়।

শেখ তকীউদ্দিন নাবাহানী মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাস করা মাওলানা ছিলো। প্রতিষ্ঠার পর মধ্যপ্রাচ্য হতে এ দল ধীরে ধীরে আফ্রিকা, ইউরোপ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাস বিষয়ে হিযবুত তাহরীরের অবস্থান : ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে নিউইয়র্ক টাইমসে উল্লেখ করা হয়েছে, হিযবুত তাহরীর স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে থাকে। কিন্তু বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানে ডেনমার্কের হিযবুত তাহরীরের সদস্য ফাদি আবদেল লতিফের কর্মকান্ডের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা আত্মঘাতী বোমা হামলাকে ন্যায্য কাজ বলে মনে করে। অন্যান্য সমালোচকদের মতে, হিযবুত তাহরীর মুখে সন্ত্রাসের বিরোধিতা করলেও গোপনে সন্ত্রাসের উপযুক্ত সময় আসার জন্য অপেক্ষা করছে এবং এই দলটির প্রচারণার কারণে সশস্ত্র সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।

গ্লোবাল সিকিউরিটি ডট অর্গ নামের বিশ্লেষক সংস্থার মতে, হিযবুত তাহরীর হলো একটি গুপ্ত সংস্থা, যা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। ---------------চলবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।