আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেঁ হেঁ . . . এইবারে দাদাবাবু আসচেন না, সব টিক হয়ে যাবেখন

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। দেকো বাপু, আর রাগারাগি কর্তে পারি নে। রাগারাগি আমি পচন্দও করি নে। একটু কিচু হলেই কেন যে মুখটা ভার? গঙ্গায় জল আমাদের লাগপেই। ও জল ছাড়া কি পুজো হয়, বলো? তুমি তো জানোই, ঐ জল আচে বলেই না মা দুগগা ফি বছর এই দেশে আসচেন, আসতে পারচেন।

সেই জল কি করে তোমায় দেই বলো দেকিনি! উপরের দিকের তিস্তার কথা কইচ! আরে ওটা তো ভাগ-টাগ করে নেওয়ার জন্য মমতাকে বলেছিলুম। কিন্তু ঐটা না যা একটা . . . মাইরি বলচি। আমার কোন কতা কি শোনে বাপু? ১০০ কোটি ডলার দিলুম, নিতে তো পারলে না আমার কাছা খুলে! সে কি আর আমার দোষ? একন কেন যে মুখ ভার করে রয়েচ? তোমার বাবা আমাদের কত্ত ভাল বন্ধু ছিলেন, মনে আছে? সেই যে উনি লন্ডোন থেকে ফেরার পতে আমাদের বাসায় থেমে গেলেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলুম, "দাদা কি খেয়ে এসেচেন, না গিয়ে খাবেন?" তাতেই দাদা কি খুশী। আর একন তোমায় কেন এতো টাকা দিতে হয় বাপু।

বুঝিনা কিসসু! ইলেকশান করিয়ে ক্ষমতা দিলুম, তাতেও মন উঠলো না মেয়ের। এরপরে পররাষ্ট্র-টাও তো দেকে দিচ্চি, তাতেও মুখ ভার! সীমান্ত তো আমরাই দেকচি, তোমাদের আবার ঐ সব ফোর্স-টোর্স রাখার কি দরকার? আমরা খেতে পারি না বলে দেব-তুল্য গরুগুলোকে তোমাদের দিচ্চি ফিরি ফিরি। খালি আমাদের পাঠানো গরুর চামড়াগুলো আমাদের দিয়ে দেবে। আর কিছু কি চাইচি, বলো? যা হোক, ওরা দু জনে যাচ্চে। ভালমন্দ খাইয়ে দিয়ো।

তোমাদের ইলিশ আবার যা মজার না! ওদের দু জনারই কিন্তু ম্লেচ্ছ হাতের রান্না খুব পছন্দ। এর পরে সময় করে একবার ঘুরে যেও এই দাদাটির বাড়ী থেকে। ওঃ . . . আর হ্যাঁ। ওরা পৌসলে একটা গাইয়ে দিয়ো তোমার ঐ সব ছকুড়ি বুড়ীগুলোকে দিয়ে। রবি ঠাকুরের একটা গান আচে না, ওই যে বলে না "ওই যে দাদাবাবুরা আসে . . . " [ মূল গান: ঐ যে মহামানব আসে ] [ সংবাদঃ হাসিনার মান ভাঙাতে ঢাকায় আসছেন ভারতের দুই মন্ত্রী Click This Link ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।