আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লান্তি দূর করতে ম্যাসাজ

Engineer Ashikujjaman Ashik সারাদিন অফিসের পর কর্মক্লান্ত শরীর চায় একটু বিশ্রাম। শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে ম্যাসাজ। শুধু ক্লান্তি কাটাতেই নয়, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে ও কাজে মনোযোগ আনার ক্ষেত্রেও ম্যাসাজের কিছু সাধারণ বিষয় তুলে ধরা হলো। ম্যাসাজ করার আগে কিছু সাধারণ বিষয়ে দিকে লক্ষ্য রাখুন। ০ ম্যাসাজ নেয়ার আগে ত্বক ও আবহাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখুন।

ত্বকের ধরন ও ঋতু বৈচিত্র্যের উপরই নির্ভর করবে আপনার জন্য কী ধরনের ম্যাসাজ প্রয়োজন। ০ ম্যাসাজ নিতে হবে প্রতি সপ্তাহে একবার করে তেল, ক্রিম, লোশন, পাউডার নানা কিছু দিয়ে বিভিন্ন রকমের ম্যাসাজ হতে পারে। ০ অভিজ্ঞ হাতে ম্যাসাজ করানোটাই উত্তম। ০ ম্যাসাজের সময় যতটা সম্ভব রিল্যাক্রা থাকার চেষ্টা করুন। ম্যাসাজ শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

সাধারণত দেহে ক্লান্তি কমানোর বিশেষ ওষুধ হিসেবে কাজ করে ম্যাসাজ। ম্যাসাজ টেনশন ও ডিপ্রেশন কমায়। ম্যাসাজ রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাসাজ। দেহের ফিটনেস বাড়ায় ম্যাসাজ।

ত্বকের সজীবতা ও কোমলতা বৃদ্ধি করে ম্যাসাজ। এর মাধ্যমে ত্বকের আদ্র্রতা বজায় রাখে স্নায়ুর ক্লান্তি দূর হয়। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে বডি ম্যাসাজ। ম্যাসাজ অয়েল অলিভ অয়েল : শুষ্ক তালু প্রাণ ফিরে পায় অলিভ অয়েলের গুণে। তবে চুলে অলিভ অয়েল লাগানো যাবে না।

অতিরিক্ত শুষ্ক ও ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ করে তোলার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল বিশেষ কাজ দেয়। নারকেল তেল : ত্বকের বিস্নচ হিসেবে নারকেল তেল যে ব্যবহৃত হতে পারে তা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না। নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত বডি ম্যাসাজ করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকলে তা দূর হয়। নারকেল তেল চুলের গোড়ায় বাড়তি পুষ্টি জোগায়।

ক্যাস্টর অফেল : চোখ ও ভ্রূ ঘন করতে নিয়মিত দু-তিন ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল ধৈর্য ধরে লাগান। অ্যামন্ড অয়েল : চোখের নিচে কালি দূর করতে ও ব্যথা, ফোলা এবং চুলকানি কমাকে সাহায্য করে এ তেল। সরষে তেল : গরম করে তালুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। দেখবেন খুশকি একেবারেই সেরে যাবে। এপ্রিকট অয়েল : ময়েশ্চারাইজার ও ত্বকের পুষ্টির জন্য এপ্রিকট অয়েল খুবই উপকারী।

ইভিনিং প্রিমরোজ : এ্যাকনো, এ্যাকজিমা, খুশকির ক্ষেত্রে বেশ উপকারী ক্যারট অয়েল : বয়সের ছাপ কমানো ও পুড়ে যাওয়া রোধে ব্যবহৃত হতে পারে এ তেল। অ্যাভোকাডো : নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। হ্যাজেলনাট অয়েল : ত্বকের শৈথিল্য দূর করে কোষ উৎপন্ন করে। বাড়িতে ম্যাসাজ ০ যে কোন ব্যথার জন্য রসুন, আদা, নিমপাতা, তিল তেল, হলুদ, গোল মরিচ গরম করে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। কাঁধ ও হাঁটুর ব্যথায় হাল্কা ম্যাসাজ বেশ কার্যকরী।

০ পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য অল্প গরম পানিতে দুই ফোঁটা চন্দন তেল, এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। ০ কর্পুর গুঁড়া পুদিনা পাতার সঙ্গে মিশিয়ে হাল্কাভাবে হাতে-কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনে আরাম পাওয়া যাবে। ০ বাড়িতে ম্যাসাজের সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে হাল্কা মিউজিক চালিয়ে দিন, দেখবেন মনটাই চাঙ্গা এবং সতেজন হয়ে গেছে। কখন ম্যাসাজ করবেন কখন করবেন না ০ যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের ম্যাসাজ না করাই ভাল। ০ যে কোন ধরনের অপারেশনের পর শরীর ম্যাসাজ না করা উচিত।

এ ক্ষেত্রে ম্যাসাজ করলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ০ গ্রেগন্যান্সির সময় প্রথম পাঁচ মাস ম্যাসাজের ধারে কাছে যাবেন না। ০ যাদের শ্বাসকষ্টের অসুখ আছে, এ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তারা ম্যাসাজ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন। ০ ম্যাসাজ করার ক্ষেত্রে সব সময়ে মনে রাখবেন যেন কোন রকম তাড়াহুড়ো না হয়। এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো একেবারেই করা যাবে না।

সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে কিছু নিয়মকানুন মেনে। ০ ম্যাসাজে ব্যবহৃত অয়েল কিংবা লোশন আপনার শরীরের সঙ্গে কতটা স্যুট করে সেটা আগে দেখে নিন। ০ আপনার শরীরে রি-এ্যাকশন করে ক্ষতিকারক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয় এমন কিছু যাতে ম্যাসাজের সময় ব্যবহৃত না হয় খেয়াল রাখতে হবে। ০ যথার্থ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিউটিশিয়ান কিংবা কর্মী দিয়ে ম্যাসাজ করুন। ০ ম্যাসাজ মানে শরীর টেপাটেপি-এরকম যারা ভাবেন তাদের ম্যাসাজ না করা উচিত।

০ যারা ম্যাসাজ পার্লারে গিয়ে ম্যাসাজের নামে অশালীন কর্মকান্ড করে বেড়ান তাদের জন্য ম্যাসাজ কোন সুফল বয়ে আনতে পারে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।