আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই সাঈদীরা এখনো এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে চলেছে যা নানা কারণেই অালোর মুখ দেখে না।

ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ২০ মাঘ ১৪১৮, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৩৩ শিরোনাম: হোম সারা দেশ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্ত্রী তাঁকে করা হয় ধর্মান্তরিত ট্রাইব্যুনালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাক্ষী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্ত্রী তাঁকে করা হয় ধর্মান্তরিত নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০২-০২-২০১২ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রাজাকারদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন স্ত্রী। তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। গঞ্জনার মুখে মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্ত্রী ভারতে চলে গেছেন একমাত্র মেয়েকে নিয়ে। এরপর তাঁদের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। আর বিয়েও করেননি।

এসব ঘটনা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২৩তম সাক্ষী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল বুধবার তিনি জবানবন্দি দেন। অসুস্থ থাকায় তিনি এজলাসে রোগশয্যায় (সিকবেড) সাক্ষ্য দেন। এ সময় একজন চিকিৎসকও এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। গত মঙ্গলবার তিনি সাক্ষ্য শুরুর পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।

তাঁর বাড়ি পিরোজপুরের হোগলাবুনিয়া গ্রামে। বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। সাঈদী এ সময় আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রানা দাশগুপ্ত সাক্ষীর জবানবন্দি নেন। জবানবন্দিতে ৮১ বছর বয়সী সাক্ষী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর দানেশ মোল্লা, সেকান্দার শিকদার, মোসলেম মাওলানা, আতাহার আলী, দেলোয়ার শিকদার পারেরহাটে শান্তি কমিটি গঠন করেন।

তাঁরা রাজাকার বাহিনীও গঠন করেছিলেন। দেলোয়ার টুকটাক দোকানদারি করতেন, দোকানটি কোথায় ছিল, তা তাঁর (সাক্ষী) মনে নেই। আগে তিনি কখনো দেলোয়ারের সাঈদী নাম শোনেননি, এখন শুনছেন। সাক্ষী বলেন, রাজাকাররা এক রাতে হোগলাবুনিয়া গ্রাম থেকে নয়জনকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তরণী শিকদার, বাণীকান্ত শিকদার, নির্মল শিকদার, হরলাল মালাকার, লালু হালদারের ছেলে, প্রকাশ শিকদার, তাঁর ছেলে নির্মল শিকদার ও শ্যালক।

ওই নয়জনকে আর পাওয়া যায়নি। এ সময় সাক্ষী কাঁদতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তিনি বলেন, ওই ঘটনার তিন-চার দিন পর বিকেল চারটার দিকে কয়েকজন লোক ও রাজাকাররা তাঁর বাড়িতে যায়। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরলে স্ত্রী তাঁকে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা জানান।

স্ত্রী বলেন, ‘কারা এসেছিল জানি না, তবে যে তোমাকে মুসলমান বানিয়েছিল, সে এসেছিল। ’ স্ত্রী তাঁকে পালাতে বলেন। আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন সাক্ষী। পরে তিনি বলেন, ওই ঘটনার কয়েক দিন আগে দেলোয়ার শিকদার তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমরা মুসলমান হলে বাঁচবে। ’ এরপর কৃষ্ণ সাহা, গণেশ ডাক্তার ও তাঁকে একদিন বাজারের মসজিদে নিয়ে মুসলমান করা হয়।

ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তাঁর নাম হয় আলী আশরাফ, কৃষ্ণ সাহার নাম হয় আলী আকবর। দুই-তিন দিন পর কৃষ্ণকে মেরে ফেলা হয়। ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা তিনি কাউকে বলেননি। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি নিজ ধর্মে ফিরে আসেন। গণেশ ভারতে চলে যান।

সাক্ষী আরও বলেন, তাঁর বাড়ির ওই ঘটনার চার-পাঁচ মাস পর অগ্রহায়ণ মাসে তাঁর স্ত্রীর একটি মেয়ে হয়। গ্রামের লোকজন স্ত্রীকে গঞ্জনা করত। তিনি শ্যালকের কাছে করণীয় জানতে চান। পরে শ্যালক তাঁর স্ত্রীকে মেয়েসহ ভারতে নিয়ে যান। এরপর গত ৪০ বছর তাঁদের সঙ্গে দেখা হয়নি।

তিনি আর বিয়েও করেননি। এসব বলেও কাঁদতে থাকেন তিনি। জবানবন্দি শেষ হলে সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও মনজুর আহমেদ আনসারী। রাষ্ট্রপক্ষের আর কোনো সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। (স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ায় প্রথম আলোর নীতি অনুযায়ী সাক্ষীর নাম প্রকাশ করা হলো না)।

Nanak Kanti Sen ২০১২.০২.০২ ০৮:৫০ [ আপনার মন্তব্য বিবেচনার জন্য অপেক্ষমান এবং সকলের নিকট প্রদর্শিত নয় ] সাঈদীর মত হাজারো সাঈদী অাজো এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে যা নানা কারণেই লোকচক্ষুর অাড়ালে থেকে যাচ্ছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।