আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেই ১০টি কারনে হুমায়ুন আহমেদ একজন বিরাট খারাপ লোক!!!

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই হুমায়ুন আহমেদ বিরাট খারাপ লোক। সে খারাপ, তার প্রথম কারন হচ্ছে, সে এমন একজন ভদ্রলোক যিনি সাধারন মানুষের অনুভুতিকে সন্মান করে সাধারন এবং সুস্থ ভাষায় লেখালেখি করেন। তিনি কখনো কোন গোষ্ঠি'র অথবা দলের স্বার্থ বজায় রাখার জন্য কলমের কালি খরচ করেন নাই। যার ফলে প্রতিক্রিয়াশীল লোকজন তার জনপ্রিয়তা ব্যবহার করতে না পেরে আঙ্গুল কামড়ায়! দ্বিতীয় খারাপ হচ্ছ, তিনি আত্মসন্মানবোধ সম্পন্ন লোক। জ্ঞানপাপীদের তোষামোদ তো দুরের কথা বরং কোনদিন সমর্থনও করেন নাই।

উল্টো দেখা যায় ওনার সত্যবচনে অনেক হেভিওয়েট জ্ঞানপাপী নিজেদের বিশেষ অঙ্গসহ ফাঁটা বাঁশের চিপায় পড়েছেন। তৃতীয় খারাপি হচ্ছে তিনি নির্দলীয়,মানে সিন্ডিকেটহীন। যিনি কখনোই কোন দলীয় অথবা রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার করে না। এর ফলে "ছুপা সুশীল" যারা প্রকারান্তে ছুপা ছাগুদেরই প্যারালাল তাদের মনে নিয়মিত চোট দেন। তিনি সাধারন বাঙ্গালী মানসিকতার লেখক যা ছুপা সুশীলবিরোধী! চতুর্থ খারাপি হচ্ছে তিনি সুবিচারকামী।

এর ফলে প্রচন্ড প্রতিক্রীয়াশীল গোষ্ঠি সবসময়ই তার কারনে এ্যালার্জি আক্রান্ত হন। তার কারনেই ভরা বাজারে প্রতিক্রিয়াশীলদের পঁচা দগদগে ঘা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। সুশীল পোষাকের নিচের এমন রূপ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা অবশ্যই হুমায়ুন আহমেদের দোষ! পঞ্চম খারাপি হলো, হুমায়ুন আহমেদ নম্র কিন্তু দৃঢ় চরিত্রের মানুষ, যিনি কখনোই তার সমালোচকদের আক্রমন করেন না বরং প্রকৃত কিছু তথ্য দ্বারা ভরা মজলিশে নাঙ্গা করে ফেলেন। যেমন, নাস্তিকদের ঈশ্বরে অবিশ্বাস এবং ভুতে বিশ্বাসের মত বিষয়গুলো। হুমায়ুন আযাদের বিকৃত মেধা'র সমালোচনা।

ষষ্ঠ খারাপি হচ্ছে তিনিবিনয়ী প্রেমিক, মানে তার মনে ভালবাসা রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার মানুষের প্রতি, গরীবের প্রতি, ধনীদের প্রতি, ভবঘুরেদের প্রতি। ভালবাসতে পারার এমন গুন দেখে প্রেমহীন মানুষগুলোর ঈর্ষাবোধ হয়! যারা প্রেম বুঝতে শিশ্নের আগ্রাসন বুঝে তারা হুমায়ুন আহমেদের প্লেটোনিক ভালবাসার প্রতি ভক্তি দেখে দিলে চোট পায়! সপ্তম খারাপি হচ্ছে, তিনি ভারত বিরোধী লেখক। তার লেখায় সবসময় ভারতের যথাযত সমালোচনা স্থান পায়। হুমায়ুন আহমেদের সমালোচকদের ভারতের প্রতি মনোভাব কেমন সেটা লক্ষ্য করলেই দেখবেন, তার সমালোচকদের মহাভারত প্রীতি লক্ষ্যনীয়! অষ্টম খারাপি হলো, তিনি সাধারন, মানে সাইকো নন।

সেজন্য তার লেখায় কোনদিন অস্বাভাবিক কোন বিশ্বাসের প্রচার হয় না। হুমায়ুন আহমেদ সমালোচকদের ব্যকগ্রাউন্ড চেক করলেই দেখবেন, প্রত্যেকটা হুমায়ুন আহমেদ সমালোচক কোন ধরনের বিশ্বাসে ফান্ডামেন্টালিস্ট! জানেনই তো রতনে রতন চিনে, আর যারা মানকচু ভালবাসে তাদের জন্য হুমায়ুন আহমেদ বড়ই তিক্ত। তার নবম খারাপি হলো, তিনি অত্যন্ত সফল একজন মানুষ। পরশ পাথরের মত। পড়াশোনা, শিক্ষকতা, নাটক, সিনেমা, গান, সাহিত্য সকল ক্ষেত্রেই তিনি বাংলাদেশের প্রথমসারি'র একজন সফল মানুষের তালিকায় থাকেন।

এত সফলতা কি সবই সহ্য করতে পারে? তাই দেখবেন, ওনার সব সমালোচকই এটেনশন সিকার। যারা অন্যের সমালোচনা করে বেঁচে থাকবে তাদের জন্য হুমায়ুন আহমেদের চেয়ে ভাল টার্গেট আর কি হতে পারে? তার শেষ খারাপি হচ্ছে, হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। এত জনপ্রিয় এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক একজন মানুষ অহংকারমুক্ত থেকে এবং সরল দর্শনে বিশ্বাসী হওয়ায় নাস্তিককুলের অহংকার এবং মানসিক বিকৃতি জনসাধারনে সহজেই ধরা পড়ে। তবে এত কথা না বললেও চলে, শুধু বলি, তিনি হুমায়ুন আহমেদ। যিনি একটি জাতি'র কয়েকটি প্রজন্মের জীবনধারা নির্দৃষ্ট করে দিয়ে গেছেন! ভাল পথে পরিচালিত করছেন, তাই খারাপ পথে পথিকদের কষ্ট লাগবেই।

এবং ঐ কষ্ট প্রদান করে তিনি খুবই খারাপ কাজ করছেন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।