আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কত লাখ টাকায় আমার স্বামীর ভালোবাসা ফিরে পাবো: মুক্তা ( আরব আমিরাতে তিন বাংলাদেশীকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত দুই বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ বিষয়ে অগ্নিপরীক্ষা আজ)

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর বিয়ে হবার পর একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর আমার স্বামী বিদেশে চলে যান। আর ১১ সালের ২মে আমার স্বামী খুন হন। মাঝখানে ১৮ দিন মাত্র আমার স্বামীর সাথে আমার সংসার। আপনারা বলেন, 'আপনাদের কত লাখ টাকা দিলে আমি ফিরে পাবো আমার সংসার, আমার স্বামীর ভালোবাসা? আজকে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হবার কথা বলে আমার স্বামীর খুনিদের মাফ করতে বলেন, কিন্ত খুনিরা যে পৈশাচিক কাজ করেছে তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় নাই? আপনারা কার পক্ষে কথা বলছেন?' এই ছিল আমিরাতে নিহত আইয়ুবের নববিবাহিতা স্ত্রী নুসরাত জাহান মুক্তার খেদোক্তি।

অপরদিকে, নিহত দুই সহোদরের মা রোকেয়া বেগম তার দুই ছেলেকে হারিয়ে এখন শোকে স্তব্ধ। পিতৃহীন এই দুই ছেলে ছাড়া তাঁর আর কোন পুত্র সন্তান নেই। তাঁর বক্তব্য কিসের ব্লাডমানি, কিসের টাকা? এ টাকা দিয়ে আমি কী করবো? আমার ছেলের লাশ বিক্রি করে আমি কোটি টাকাও চাইনা। গত শনিবার এ প্রতিবেদক নিহতদের বাড়িতে গেলে নিহতের নিকট স্বজনরা এরকমই খেদোক্তি করেন। অপরদিকে মাইজভাণ্ডার গ্রামের নিহত জামাল উদ্দিনের ছোটভাই মো. সোহেল জানান, ৩ ভাই, ২ বোনের মধ্যে জামাল উদ্দিন সবার বড়।

তাকে খুনি সাহাব উদ্দিন দুবাইতে অফিস বয়ের চাকরি দেবার নাম করে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদেশ নেয় ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর। কিন্তু সেখানে নিয়ে তাকে রাজ মিস্ত্রীর হেলপারের কাজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। এনিয়ে জামাল উদ্দিন প্রতিবাদ জানালে ১৫ দিনের মাথায় তাকে হত্যা করে আল-আইনে নিয়ে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। এঘটনায় পুরো পরিবারটির মধ্যে অন্ধকার নেমে এসেছে। তারা কোন কিছুর বিনিময়েই খুনিদের ক্ষমা করতে রাজী নয় বলে জানান।

প্রবাসে বাংলাদেশী ভাইদের যত সব অপকর্মঃ ১. ভিসা বিক্রয়ঃ এক শ্রেনীর ভিসার দালাল ভাল বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা খেয়ে ভিসা বিক্রী করে। আর দালালের কাছ থেকে ভিসা সংগ্রহ করে সহজ-সরল দেশী ভাইয়েরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কোন এক সময় ক্ষতিগ্রস্থরা দালালদের সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে খুন-খারাবীর মত্ জগন্য ঘটনা ঘটে থাকে। ২. বেতন নিয়ে ঝগড়া-বিবাদঃ বেশীর ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী কর্মচারীদেরকে কম বেতন দিতে চেষ্টা করে। ভাল বেতন দিবে বলে প্রমিস করে কর্মচারীর কাছ থেকে ভিসা বাবদ মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে।

কম বেতন পেয়ে কোন একসময় কর্মচারী আর মালিকের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ৩. অসামাজিক কাজঃ ভাল কাজ দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে কপিতয় দালাল বাংলাদেশ থেকে গরীব পরিবারের যুবতীদেরকে বিদেশে এনে হোটেলের নর্তকী ও অসামাজিক কাজে ব্যবহার করছে। প্রবাসে দালালদের দৌরাত্বে রাস্তা দিয়ে হাটতে ও লজ্জা লাগে। ৪. কর্মস্থলে প্রতারণাঃ আমাদের দেশের প্রবাসী ভাইয়েরা কর্মস্থল থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার ঘটনা ও কম নয়। যার ফলে প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে রেফারেন্স ছাড়া কেউ কাজ দেয় না।

৫. সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্থানঃ সন্ত্রাসীরা দেশে কুকর্ম করে প্রবাসে পাড়ি দিচ্ছে। আর প্রবাসে বসেই তাদের কর্মকান্ড চালাতে থাকে।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।