দেশের স্বার্থে একটি পোস্ট -------------------------------- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে "মুসলিম ব্রাদারহুড" কেন নাক গলাবে যেখানে তারা নিজেরাই অনেক দেশে জঙ্গিবাদের অভিযোগে নিষিদ্ধ ?? এর প্রমাণ স্বরূপ দেখুন যেখানে দেখা যাচ্ছে এই জঙ্গিবাদী দলটি রাশিয়াতে নিষিদ্ধ। ] এখন মুল আলোচনায় আসা যাক। নিচের লেখাটা (আসলে একটি চিঠি) মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। এটা কি তাহলে প্রচ্ছন্ন কোন জাতীয় হুমকি?? জানি না এর প্রতিবাদ স্বরূপ কি করা উচিত। আপনারাই এর সিদ্ধান্ত নিবেন।

দেশের প্রতি ভালবাসা থাকলে আর কিছু না পারেন শেয়ারে শেয়ারে এই লেখাটি ছড়িয়ে দিবেন ফেসবুকের মাধ্যমে। শেখ হাসিনাকে "মুসলিম ব্রাদারহুড" এর চিঠি --------------------------------------------------------- মুসলিম ব্রাদারহুড/ জামায়াতুল ইখওয়ানিল মুসলিমীন চেয়ারম্যান, আম্মান, জর্ডান শেখ হাসিনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাধ্যম: সম্মানিত রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ দূতাবাস, জর্ডান। ------------------------------------------------------------------ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। জর্ডানের ইখওয়ানুল মুসলিমীন সংগঠন সম্প্রতি জানতে পেরেছে, বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী’র উপর অন্যায়ভাবে জুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। একই সাথে জামায়াতের সদস্যদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জবরদখল করা হচ্ছে।

জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও আমরা অবগত হয়েছি এবং সবচেয়ে দু:খজনক হলো সংগঠনটির প্রাক্তণ আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমকে গ্রেফতার করার বিষয়টি। তিনি মুসলিম বিশ্বের মাঝে আন্তর্জাতিকভাবে উল্লেখযোগ্য এবং সম্মানিত একজন ব্যাক্তিত্ব। এই মহান ব্যাক্তিত্বের সাথে এধরণের নিপীড়নমূলক বিচারের প্রহসন এবং মিথ্যা অপবাদ প্রদানের বিষয়টি আমাদেরকে অত্যন্ত মর্মাহত করেছে। তিনি নব্বই বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ, যাকে সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগ এবং যেসব কাজের সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই এমন সব কাজের জন্য দায়ী সাব্যস্ত করে নিপীড়ন করা হচ্ছে। সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় পর এসে এইসব তথাকথিত অপরাধগুলোর জন্য তাকে দায়ী করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে এই ধরণের জুলুম, অবিচার ও নির্যাতন চলতে থাকলে তা বিশ্বব্যাপী দেড় বিলিয়ন মুসলিম মানসকে প্রভাবিত করবে। সারা পৃথিবীর মুসলিমরা সম্মিলিতভাবে এই সংগঠন এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্ত করার জন্য এ অবিচারের বিপক্ষে স্থান নেবে। আমরা আশা করছি যে, অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সুষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষার জন্য জামায়াতের প্রাক্তণ ও বর্তমান আমীর সহ সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়া হবে। হয়রানীর শিকার সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি বঞ্চনার অবসান হবে। আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এদেশের জাতির জন্য সম্মানজনক জীবন, উন্নতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।

ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু ড. হুমাম সাঈদ চেয়ারম্যান ইখওয়ানুল মুসলিমীন, জর্ডান তারিখ ২২ সফর ১৪৩৩/ ১৬ জানুয়ারী ২০১২ চিঠিটি সংগ্রহ করা হয়েছে "সোনার বাংলাদেশ ব্লগ" থেকে। প্রচারে- ধর্ম ব্যবসা এমন ব্যবসা যেই ব্যবসায় লস নাই !!!(১৮+) ।