আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক কাদিয়ানী ও এক শিয়াকে জুম্মার নামাযে নিয়ে গিয়ে কি আমি ভূল করেছি ?

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । আমি বিদেশে থাকি । আমার কর্মক্ষেত্রে মুসলমান হাতে গোণা । এদেশে মসজিদ খুব বিরল ।

তবে কিছু কিছু জায়গায় মুসলমানরা নামায আদায় করার জন্য রুম ভাড়া করে নামায আদায় করে আবার কম্যুনিটি হলও সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া করে নামায় আদায় করা হয় । বিশেষ করে জুম্মার নামায । তো আমি কর্মক্ষেত্র থেকে জুম্মার নামায পড়ার স্হান একটু দুরে । কথায় কথায় অফিসে পরিচয় হয় এক পাকিস্তানীর সাথে । সে আমাকে বলে আমি জুম্মার নামায কোথায় হয় জানি কিনা ? আমি বলি যে জানি, আপনি যদি পড়তে চান তবে আমার সাথে নামাযের আগে যোগাযোগ করবেন ।

আমি নিয়ে যাব । এমন করে নামাযের দিন আমি তাকে নিয়ে রওনা দিলাম । মোটামুটি বয়স্ক লোক । বাংলাদেশেও কিছুদিন ছিলো । কথায় কথায় বলল, আমি কাদিয়ানী ।

আমি থতমত খেয়ে গেলাম । কারণ, এরকম কোন লোকের সাথে আমার আগে পরিচয় হয় নি । যাক, তারপরও তাকে কিছু বলিনি । মনে মনে বললাম, আল্লাহ হেদায়াত কর । এখন ওই লোক নিয়মিত সেখানে জুম্মার নামায আদায় করে ।

এখন একজন কাদিয়ানীকে জুম্মার নামাযে নিয়ে গিয়ে কি আমি ভূল করেছি ? সে ওখানে নিয়মিত খুতবা শুনে । আমাদের মতই নামায পড়ে । আমি তাকে তার বিশ্বাস নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করিনি । জানিনা , জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবে কিনা । আমার আরেক কলিগ যে নতুন জয়েন করে ।

ভারতীয় । নাম শুনে মনে করেছিলাম বুঝি হিন্দু । আনীস খাসওয়ালা । পরে নিজে থেকেই রমজানে আমাকে বলে যে আমি মুসলমান । রোযা তেমন একটা রাখে না ।

তো সেও জুম্মার নামাযের স্হান চিনে না । তো তাকেও আমি নিয়ে গেলাম । আরেক দিন যোহরের নামায এক সাথে পড়ার সময় সে ইমামতি করতে গিয়ে চার রাকাত নামায দু'রাকাতে সালাম ফিরিয়ে ফেলল । আমি জিজ্ঞেস করলাম এমন কেন করলে । বলল, আমরা তো এভাবেই নামায পড়ি ।

পড়ে ভালোভাবে জিজ্ঞেস করা তো বলল, আমি শিয়া । আমরা এভাবে ই দুরাকাত করে চার রাকাত আদায় করি । আমি অবাক হলাম । মনে মনে বললাম, হায় কত ভূল -ই না হচ্ছে এভাবে মত পার্থক্যের কারণে । তবে তার সাথে আমার মোটামুটি ভালো সম্পর্ক ।

সে শিয়া বলে আমার মনে অন্য কোন খারাপ ভাবের সৃষ্টি হয় না । সেও প্রায় নিয়মিত জুম্মার নামায আদায় করে । এখন এরকম মুসলমানদের মধ্যে যে মতভেদ তৈরী হয়েছে , তা তো দূর করতে হবে । এগুলোর বেশিরভাগ-ই হইছে ইহুদী - নাসারাদের যড়যন্ত্রে । সাধারণ মানুষ যারা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছে কয় জনে তা উপলব্ধি করে, তারা ভুল পথে আছে ? এখন তাদের থেকে দূরে থেকে, দুরে সরিয়ে দিয়ে কি তাদের ঠিক করা যাবে ? নাকি তাদের সাথে মিলে মিশে তাদের ভূল ধরিয়ে দিতে হবে ? দোষ ধরিয়ে দিয়ে মানুষকে ঠিক করানো মুশকিল ।

এতে মানুষ আপমান বোধ করে । বরং আমার মনে হয় যখন এসব মানূষ মূলধারার সাথে মিশবে তখন তারা তাদের ভূল গুলো নিজেই ধরতে পারবে এবং নিজেকে শুধরিয়ে নিতে পারবে । আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান । আমিন । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।