আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

☠ ইউরোপে কাজের জন্য আসবেন না ☠

আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাসো সেই কথাটা জানতে চাই.. বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের প্রচুর সংখ্যক ছাত্র টিউশন ফি বৃদ্ধি, ভিসা জটিলতা ইত্যাদি কারনে আর ছাত্রত্ব ধরে রাখতে পারেনি। এরপর শুরু হয় লন্ডন থেকে প‌্যারিসে মানুষ আসার স্রোত। লরিতে করে অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে ফ্রান্স এসে ধরাও পরেছে কিছু লোক। বর্তমানে ফ্রান্সে বাংলাদেশীর সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল তবে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) এর উপরে সেটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এভাবে যুক্তরাজ্য থেকে অন্যান্য দেশীরাও এসেছে তবে এক বছরে হাজার হাজার বাংলাদেশীর আগমন ঘটায় ফ্রান্স সরকার চিন্তিত! ইউরোপে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শরনার্থীদের আশ্রয় প্রদান করে ফ্রান্স।

ইতিমধ্যে আরব বসন্তের কল্যানে সেসব দেশ থেকে অনেক লোকজন সাগর পাড়ি দিয়ে ইটালী হয়ে ফ্রান্স পর্যন্ত চলে এসেছে। শ্রীগ্রই ফ্রান্সের নির্বাচন। সবমিলিয়ে অভিবাসীদের জন্য কঠোর হয়েছে ফ্রান্স। আর অর্থনৈতিক মন্দার কথা যদি বলি: গতমাসে ফ্রান্সে job seeker দের রেকর্ড ছিল ১২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ইউরো জোনের ২য় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের গতকালের হিসাব অনুযায়ী জবলেস মানুষের সংখ্যা ১,৫০০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার)।

স্পেন: প্রতিবেশী দেশ স্পেন এর অবস্থা করুন। স্পেন গিয়ে নিজেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছি। অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন জবলেস রেট নতুন রেকর্ড গড়েছে । বর্তমানে স্পেনে বেকারের সংখ্যা দাড়িয়েছে চল্লিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার। ইটালী: ইউরো জোনের ৩য় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ইটালী বলছে ২০১০ এর পর বর্তমানে ইটালীতে জবলেস রেট সর্বোচ্চ পর্যায়ে (৮.৬ %)।

গতবছর ইটালীতে একজন বয়স্ক বাংলাদেশী ভিক্ষুককে নিয়ে টিভি নিউজ হয়েছিল। গ্রীস: ভয়াবহ অবস্থায় আছে গ্রীস। অনেক গ্রীক নাগরিক বর্তমানে গৃহহীন হয়ে গীর্জা, রাস্থায় আশ্রয় নিয়েছে। নিচের ভিডিওটি দেখলেই বুঝতে পারবেন... পর্তুগাল: অর্থনৈতিক মন্দায় বিধ্বস্থ স্পেনের প্রতিবেশী দেশটি। বিগত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেকার।

ছবিতে যে পর্তুগীজ লোকটিকে দেখছেন তিনি গত ৪ বছর কোন চাকরী না পেয়ে এবং ১ বছর গৃহহীন থেকে অবশেষে জুতা পালিশের কাজ করছেন। সুইডেন: বর্তমানে সুইডেনে বেকার সংখ্যা দুই লক্ষাধীক। যে কয়েকটি দেশের কথা বলেছি সেসব দেশে বাংলাদেশীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বেকারত্বের ছোঁবলে বাংলাদেশীরাও ক্ষতিগ্রস্থ। ইউরোপের সব দেশই কম বেশি অর্থনৈতিক মন্দার কবলে।

এখনো পর্যন্ত ভাল অবস্থানে আছে ইউরো জোনের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ জার্মানী। গতকাল এক বাংলাদেশী যুবক মারা গেলেন, ব্রেইন স্ট্রোক। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে না বুঝে অনেকেই দেশ থেকে চলে আসে। আমি একটি ছেলেকে পেয়েছিলাম যে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ফ্রান্সে এসেছে। ইউরোপের বর্তমান পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখার পর স্বপ্ন আর বাস্তব মিলবেনা।

মানষিকচাপে স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে তেমন বাংলাদেশীর সংখ্যা ইদানিং বাড়ছে। সুতরাং কাজের জন্য ইউরোপ আর নিরাপদ স্থান নয়। তবে হ্যাঁ, ভ্রমনের জন্য আসতে পারেন। ইউরোপ এসে থেকে যাওয়ার চিন্তা থাকলে প্রচুর ইউরো অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে, এই মন্দার সময়ে সেটি নিশ্চয় বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা!!!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।