আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসসস......দেড় কোটি টাকা খাড়াইয়া গেছে ......বেচারা গাছ কি ব্যাথাই না পাইলো .......বান্দরবন ভ্রমন দ্বীতিয় পর্ব.......

পরির্বতনের সময় এখন.... চোখে ঘুম ...আধো ঘুম আধো জাগরন....এই করে করে যখনই মনে হলে বাস দাঁড়িযে আছে তখন আড়মোড় ভেঙ্গে চোখ মেলে তাকালাম.....হ্যাঁ বাস সত্যিই দাঁড়িয়ে পড়ছে...আর ততক্ষনাৎ সুপারভাইজার হাক দিলো.....যাত্রীগণ মনে রাখবেন ১৬২৪, ২০ মিনিট। ভাইগনা আমারে জিগায় মামা মানে কি?? ২০ মিনিট মনে হয় যাত্রাবিরতী আর বাকিটা কি বুঝতে পারছি না...জোরে এক ডাক দিলাম "সুপারভাইজার" সামনে আসা মাত্র প্রশ্ন করলাম ভাই ১৬২৪, ২০ মিনিট কি? উত্তরে যা জানা গেলো তা হলো ১৬২৪ গাড়ি নাম্বার ২০ মিনিট যাত্রাবিরতী। মনে মনে কইলাম শর্টকার্ট করতে করতে যা অবস্থা ভাবার্থ বুঝার জন্য তারেই আবার ডাকতে হয় যাক আড়মোড় ভেঙ্গে বাস থেকে নামতেই শীত জেকে বসলো...সাইনবোর্ড এর লেখা দেখে বুঝতে পারলাম বর্তমান অবস্থান কুমিল্লার কোটবাড়ি। সময়ের কথা মনে পড়তেই ঘড়ির দিকে তাকালাম....সময় যা দেখলাম তাতে চোখ কপালের তোলার মতই অবস্থা....তখন রাত ৩.০০। দেড় ঘন্টায় কুমিল্লা।

ভাইগনা জিগায় মামা কি হইছে? আমি বললাম মামারা দেড় ঘন্টায় যদি কুমিল্লা কোটবাড়ি পৌছতে পারি ইনশআল্রাহ ৬ টার মধ্যে বান্দরবন পৌছে যাব, চিন্তা কইরনা...৮টা বা ১০টা কোনটাই বাজবে না। একটু সামনে এগুতেই টয়লেটে ভালো একটা ভিড় লক্ষ্য করা গেলো....আরেকটু এগিয়ে হোটেলের দিকে যেতেই সাইনবোর্ড চোখে পড়ল.. "ভিতরেও টয়লেট আছে" আমরা হোটেলের ভিতরে ঢুকে সাইনবোর্ডে নির্দেশিত দিকে যেতেই ভিতরের টয়লেটটা ফাকাই পেয়ে গেলাম....চামে প্রাকৃতিক কাজ সেরে হালকা নাস্তা পানি খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম। যাত্রা শুরুর পরই বুঝতে পারলাম কিভাবে দেড় ঘন্টায় কৃমিল্লায় চলে আসলাম...গতি, ওভারট্যাকিং...মুভিং সবকিছু মিলে দক্ষতার ছাপ বেশ স্পষ্ট......ড্রাইভারের কলা কৈাশল দেখতে দেখতে আমরা আবারও ঘুমের রাজ্যে। ঘুম ভাঙ্গতেই চোখ খুলে দেখি চট্রগাম অতিক্রম করছি...কিছুক্ষন পরেই কর্ণফুলি ২য় সেতুর কাছে চলে আসলাম...অনেকটা ভালো লাগা মনের অজান্তেই মনের মাঝে স্থান করে নিলো.... ভোরের স্নিগতা....প্রবাহমান নদী...কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়া চারপাশ.... তারমাঝে আবছা জাহাজের পাটাতন ও সবুজের উকি দেওয়া...এক কথায় চমৎকার.... সেতু পার হয়ে আধা ঘন্টা পথ পাড়ি দিতেই চোখে পড়ল গ্রীন লাইন স্কেনিয়ার একটি গাড়ি রাস্তার মাঝেই দাড়িয়ে গেছে....ড্রাইভার দারুন উৎসাহের সহিত ঘোষনা করিলো " ইসসস....দেড় কোটি টাকা একেবারে রাস্তার মাঝেই খাড়াইয়া গেছে" ভাব দেখে মনে হচ্ছে সে বেঝায় খুশি.... (বাসের দাম কত জানা নাই) যাক প্রকৃতির দৃশ্য অবলোকন করতে করতে আমরা অগ্রসর হচ্ছি.....ভালোই লাগছিলো..সবুজের মাঝে হু হু করে বেয়ে যেতে....আবারও ছোটঘাট প্রতবিন্ধকতা....গতি কমে এসেছে বাসের....সামনে মানুষের জটলা...পাশে আরেকটা স্কেনিয়া পড়ে আছে ...সম্মুখটা দুমড়ে মুছড়ে। ড্রাইভারের আবারো উৎসাহিত কন্ঠে বক্তব্য প্রকাশ....."বেচারা গাছটা কি ব্যাথাই না পাইলো একদিনে তিন কোটি গেছে।

" ভাইগনা বললো মামা গ্রীন লাইনের সাথে ব্যাটার মনে হয় আগের ক্ষোভ আছে...মনে হয় ওখানে চাকরির জন্য আবেদন করছিলো কিন্তু পাই নাই...তাই এখন ঝাড়তাছে...... আমি বললাম হইতে পারে, নাহলে ব্যাটা এত খুশি হবে কেন??? (চলবে) প্রথম পর্ব ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।