আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পড়ে থাক বিবর্ণ যানজটের / এই বিষাক্ত নগর।

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর। ঈশ্বর তোমাকে এত সুন্দর করে তৈরি করলো অথচ আমাকে তো তুমি এক জোড়া ডানা দাওনি! কি করে পৌঁছুবো তোমাতে এই যানযটের ঢাকা শহরে? যদি গাড়ি বাস সি এন জি করে পৌঁছুতে চাই নির্ঘাৎ লেগে যাবে সাড়ে তিন ঘন্টা। হেঁটে যেতে হলেও এই বারো কিলোমিটার দু’ ঘন্টা তো পেরুবেই। এত্ত ইচ্ছে করছে এক ঝলক দেখতে তোমায়! তোমার অলৌকিক চোখ, চোখের বিশাল পাপড়িগুলো আর খোঁদানো চিবুকটা। নিষ্ঠুর তুমি অন্ততঃ একাসনের ছোট্ট একটা হেলিকপ্টার তো দিতে পারতে আমাকে।

সন কনোরির মতো ঠিকই নেমে পড়তাম তোমার উঠোনে। তোমার পীত-শুভ্র-লাল হাতের নখগুলো ছুঁয়ে দেখি কিভাবে এখন? একটা হোভারক্রাফটও দাওনি যে আমাকে। আমি জ্যামের তিন ফুট উঁচু দিয়ে উড়ে ঠিকই তোমাদের বাসার সামনের রক পর্যন্ত চলে যেতাম সেল ফোনে ডেকে আনতাম তোমাকে ঘরের বাইরে। তোমার অসহ্য সুন্দর পুড়ে যাওয়া যাওয়া মরে যাবার জন্যে ঠোঁটে কি করে আধ ঘন্টা ধরে চুমু খাব আমি? আমাকে যে শিখিয়ে দাওনি তুমি কি করে শরীর থেকে বেরিয়ে অশরীরে হাজির হতে হয়। কে যেন এঁকেছিল তোমার গলা? সেজান না ভ্যান গগ? কে যেন গড়েছিল তোমার কাঁধ? মাইকেল এঞ্জেলো নিশ্চয়ই।

সেই গলা আর কাঁধে নাক আর থুতনি ঘষি এখন কিভাবে? ঘন্টা খানেক? রাস্তা যে দখল করেছে কটু গন্ধে ভরা অচলাতন শববাহী শকটেরা। এই অপ্সরী! চলনা মেঘনা পাড়ে চলে যাই, ছোট্ট বেলার মত হাতে হাত ধরে ঝাঁপ দেই বার বার মেঘনার প্রাণময়, কিশোরী জলে। পড়ে থাক বিবর্ণ যানজটের এই বিষাক্ত নগর, দিনা ন্তে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।