আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কী হতে যাচ্ছে সামনে? আওয়ামী লীগ? জামাত-বিএনপি? নাকি জলপাই?

সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে পারছি না। যেসব রাজাকারের বিচার চলছে তাদের ঝুলিয়ে দিলে আর যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার দায়ে জামাত নিষিদ্ধ করে দিলে আগামী নির্বাচনে অন্তত ভরাডুবি থেকে বাঁচতে পারতো। সেক্ষেত্রে জামাত নিষিদ্ধ থাকায়, বিএনপি ক্ষমতায় এসে ১৯৯১-৯৬ এর চাইতে খুব বেশি ডানে চাপতে পারতো না আর ২০১৯ এ আওয়ামী লিগের ফিরে আসার রাস্তা খোলা থাকতো। কিন্তু এই মুহুর্তে সরকারী দল ঠিক কী প্ল্যান কষছে সেটাই বুঝছি না। রাজাকারগুলিকে পরের টার্মে এসে ফাঁসী দেবো বলে ভোট চাইলে জনগণ ভোট দেবে না।

এটা আমি নিশ্চিত। আওয়ামী লীগ বরাবরাই এই ভুল হিসাবটা করে ধরা খেয়ে থাকে। আবারও খেতে যাচ্ছে। হেফাজতওয়ালাদের ৫ মে না পেঁদিয়ে মাথায় তুলে নাচলেও ওদের একটা ভোটও কোনদিন নৌকা মার্কা পেত না। ১৯৫৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনদিনও পায় নি।

তবুও লীগে সবসময় কিছু পরামর্শদাতা থাকে যারা এই সব হেফাজতপন্থী পরামর্শ দিয়ে পেছন থেকে ছুরি মারে। যেমনটা মেরেছিল ২০০১ নির্বাচনের আগে। সেইসময় ছাত্রলীগ যুবলীগের গুণ্ডাদের বাঁচানোর চাইতে অনেকবেশি জরুরি ছিল চারদলীয় জোট ভাঙা। তখন ঐ সব ছাগল পরামর্শ দাতারা বুঝিয়েছিল যে বিএনপির জামাত বিরোধিরা বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে জামাতকে কোথাও জিততে দেবে না আর ঐ সীটগুলি লীগ পেয়ে যাবে, সব মিলিয়ে লীগেরই লাভ। ঐ হিসাবটা কতখানি ভুল ছিল সেটা ১ অক্টোবর ২০০১ বোঝা গেছে।

এখনো যেসব আওয়ামী মন্ত্রী, এমপি আর পরামর্শদাতারা রাজাকারদের রায় ঝুলিয়ে রাখা, রায় হয়ে যাওয়াদের ফাঁসীতে না ঝোলানো আর জামাত নিষিদ্ধ না করার পক্ষে মত দিচ্ছেন তাদের কারণে দেশে প্রগতিশীল মানুষদের জন্য ২০০১-২০০৬ এর থেকেও খারাপ সময় আসছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।