আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাত ভাই চম্পা

ভালোবাসি ফুল, চাঁদ, শিশু আর বাংলাদেশ। রাজাকার-মৌলবাদীরা ১০০ হাত দূরে থাকুন। বিশেষ মতিবেদক আজমিয়া সুলতানা পারুল (৪০) হাসপাতালের প্রিজন সেলে বাবা গোলাম আজমের সাথে দেখা করতে গিয়ে মুখোমুখি হন গোলাম আজমের ছেলে বহিষ্কৃত বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমীর। তারপর দুজনের তর্ক থেকে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেন, আমরা ছয় ভাই।

আমাদের কোন বোন নাই। কারন আমাদের বোন থাকলে সবাই আমাদের বানচুদ ডাকতো। যেহেতু আমাদের বোন নাই, কেউ আমাদের বানচুদ বলতে পারে না। তবে কতিপয় বদমাশ আমাদের মাদারচুদ বলে ডাকে। জবাবে আজমিয়া সুলতানা পারুল বলেন, ভাইয়া, তুমি আমাকে চিনবে না।

কিন্তু আমি তোমার বোন। ১৯৭১ সালে আমাকে ও আমার মাকে ফেলে আব্বাজান (গোলাম আজম) পাকিস্তানে পালিয়ে যান। মতিবেদকের কাছে আজমিয়া সুলতানা বলেন, গোলাম আজমের সাত পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। তিনি বলেন, আবদুল্লাহিল আমান আযমী সত্য কথা বলছেন না। তিনি হয় সত্য কথাটি জানেন না, অথবা সত্য গোপন করছেন।

তিনি বলেন, তারা আমার সাত ভাই চম্পা। আমি তাদের বোন পারুল। পারুল দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, আমার সাত ভাই। বড় ভাই মতিচুর রহমান আযমী কারওয়ানবাজারের সর্দার। পারুলের এ বক্তব্যে চাঞ্চল্য শুরু হয় দেশের প্রভাবশালী এলাকা বসুন্ধরা ও কারওয়ানবাজারে।

বসুন্ধরার সর্দার ইমদুদুল হক মেলন বলেন, মতিচুর রহমান আজমী গোলাম আজমের সন্তান, এতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। দুইজনের চেহারায় আশ্চর্য মিল। কারওয়ানবাজারের সর্দার মতিচুর রহমান আজমিয়া সুলতানা পারুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, এই কথা সত্য যে রংপুরে আমার জন্মের সময় গোলাম আজম আমাদের বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু তিনি আমার পিতা নন। এ সময় তার সাথে রংপুর নিবাসী উপসর্দার আমিষুল হককে গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

তাঁর মুঠোফোনে পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। আমিষুল হক বলেন, খেলার সাথে রাজনীতি মিশান ঠিক নয়। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।