আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিকনিক'১২ পরবর্তী পোস্টঃ দেখা হবে বন্ধু কারণে আর অকারণে .........

জীবনের জন্যই এই সব কথামালা ইচ্ছেটা জাগিয়েছিল ব্লগেরই একজন। খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর ল্যাপি খুলে যখন সামুর পোস্টের শিরোনামে চোখ বুলাচ্ছি, হঠাৎ চোখ আটকে গেলো একটা ছোট্ট পোস্টে। কেউ একজন সামু ব্লগারদের মধ্য থেকে পিকনিক এর প্রস্তাব রাখলো। এর পর যা হবার তাই হলো। অনেক গুলো মন্তব্য! কোনটাই আশাপ্রদ নয়।

এটা যে কত বড় ঝামেলার কাজ জানান দিলো কেউ। কেউ বললো, এতোজনের মধ্যে কোন সিদ্ধান্তে ঐক্য আসার সম্ভাবনা নাই। একজন জানালো, পূর্বে ও সামুর পিকনিক আয়োজন চেষ্টা বিফলেই গেছে। নিজের প্রবল সমর্থন টা ও এখানে রাখার সাহস পেলাম না। তবুও পোস্টটা সারাদিনই চোখে চোখে রাখলাম।

এই পোস্ট আর পিকনিকের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিটা মূলঃত ব্লগ ডে তে আড্ডার সুখ স্মৃতি আর টি এস সি’র সিনেমাখোরদের আড্ডা মিস করার যোগফল। কি অদ্ভূত! একটাতে অংশ গ্রহণ, আরেকটা মিস করা মিলিয়ে আরেকটা আড্ডা চাইছিল হৃদয়!! সারাদিন অলস কাটিয়ে সন্ধ্যায় ম্যাগাজিন পড়া নিয়ে যখন ব্যস্ত, তখন সেলফোনটা বেজে উঠলো সুরে, শব্দে। ব্লগের একজন প্রিয় মানুষ, আমার হাবিজাবি লেখার নিয়মিত সমর্থন যিনি দিয়ে যাচ্ছেন সাইরাস হেলাল ভাই। কুশলাদির পর উনি বললেন, একটা পিকনিক হলে কেমন হয়? সেলফোন নিয়ে শূন্য কক্ষেই নেচে উঠলাম। কক্ষে আর কেউ থাকলে অবশ্য নাচ হত না! (লজ্জার ইমো!)।

জানালাম নিজের ইচ্ছের কথা, সামুতে সকালে দেখা পোস্টের কথা। হেলাল ভাইকে সকালে দেখা পোস্ট এর লিংক পাঠালাম। নিজে ও আবার চোখ বুলালাম। না, ওখানে কোন সবুজ সংকেত দিচ্ছেনা কেউ। ভাবনায় পড়লাম, সামুতে ব্লগ আয়োজন ব্যর্থ যদি হয় বার বার, হেলাল ভাই যে আয়োজন এর কথা বললেন, তা কি সফল হবে? হেলাল ভাইকে বললাম, পিকনিক হলে আমি যাচ্ছি শতভাগ নিশ্চিত।

তারিখ আর দিনক্ষণে এতোটুকুই আভাস পেলাম, এটা হবে কোন অফিস ছুটির দিনে। আমার মত লোকদের তো সারা বছরই ছুটি!! এর পর কয়েকদিন খোজ নেই কোন কিছুর। হেলাল ভাইয়ের সাথে ও যোগাযোগ নেই। পিকনিক হবে আশাটা ধরে রাখলে ও শীঘ্রই হবেনা এমনতর বিশ্বাস জন্মাচ্ছিল। কি এক অদ্ভূত কারণে একদিন ব্লগের যাদের সেলফোন নাম্বার আছে আমার কাছে, তাদের কয়েকজন কে ফোন দিতে ইচ্ছে জাগলো।

দিলাম, সহচর ভাইকে ফোন। উনি বিজি মানুষ (!) সকাল, দুপুর ফোন ধরতে পারলেন না। সন্ধ্যায় আবার ফোন। জিজ্ঞেস করলাম, ফোন রিসিভ না করার কারণ কি কারো সাথে ডেটিং কিনা! (পোলাপাইন বড্ড উৎসুক) উনি জানালেন দুপুরে ঘুম আর আমার নাম্বার না জানার কথা! উনার জি এফ থাকলে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, আমাদের সহচর ভাই অপরিচিত নাম্বারে কল দেয় না!! উনি হঠাত একটা পিকনিকের আভাস দিলেন, আমি ও বললাম । দুজন যে একই পিকনিকের কথা বলছি, তা বুঝলাম সহসাই।

পিকনিক নিয়ে আশাবাদ বাড়তে থাকলো। এর পর আরেক প্রিয় মুখ জিসান ভাইয়ের পিকনিকে ডাক দেয়া সেই পোস্ট। ততদিনে জানলাম, দিনক্ষণ। নিজের ব্যস্ততা, শত করে চাইলাম ওই দিন না আসুক। পোস্টে জানান দিলাম।

অনেকেই জানান দিলো আসার কথা। কেউ বাইরে থাকায় মিস করার হতাশা ও জানালো। আবার কেউ ভাবলো, পিকনিক না হওয়াই ভালো। আমার ধারণা, পিকনিকে যাবেনা জেনেও সমর্থনকারীদের সংখ্যাটাই ছিলো প্রবল। নিজেদের লোক উচ্ছাসে মেতে উঠছে, দেখাটা অবশ্যই সুখকর।

তবুও ব্লগে ভিন্ন রঙ দেখলাম। কত অদ্ভূতুড়ে বিষয়ের উত্থান। নিজেকে এসব থেকে সরিয়ে, পিকনিক টা প্রবল ভাবে চাইতে লাগলাম। ব্লগ ডে তে কতক্ষণ নিঃসংগই ছিলাম বলা যায়। কাউকে চিনিনা।

আমাকে ও কেউ না। আমি খুবই নিরীহ ব্লগার, নিরীহ মানুষ। আমাকে চেনা কিংবা আমাকে চিনতে আগ্রহী হওয়ার কারণ নাই। আমি এমন কোন লেখা লিখতে পারিনি যে, ব্লগে কয়েকজন আমার নামটা জানবে। নাম শুনে তাজ্জব বনে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ব্লগ ডে’র অবস্থাটা কাটাতে দুটো বন্ধুকে বললাম, আমার সাথে কোথাও যেতে তৈরী থাকিস! একটা দিনেরই তো ব্যাপার!! এরপর পিকনিক এর দিন। সকালে হেলাল ভাইকে ফোন দিলাম। উনি বললেন, জাদুঘরের সামনে থাকতে। শাহেদ ভাই ওখানে অপেক্ষমান। তখনো শাহেদ ভাইকে চিনিনা।

ফেসবুকে এক আধটু মন্তব্য হয়েছে মনে পড়লো। মনে পড়লো উনি গিটার নিয়ে আসবেন! এরই মাঝে ফারজুল ভাই এর ফোন। দুটো ফ্রেন্ডকে (শেখ জাবেদ, শামীম খন্দকার) নিয়ে শাহবাগে আমি। নোমান ভাই, ফারজুল ভাইয়ের সাথে দ্বিতীয় দেখা, মনে হলো কতদিনের চেনা জানা আমাদের। একে একে হাত মেলালাম শিপু ভাই, মির্জা ভাই, আশকারিদের সাথে।

ততক্ষণে বাসে ও কিছু নারী ব্লগারের উপস্থিতি দেখলাম। অপরিণিতা, সারিকা সহ কয়েকজন। বাসের নিচে ফটোসেশনে ব্যস্ত কয়েকজন। এখান থেকে মির্জা ভাইকে দেখেই সামুর পিকনিক শুরুর জায়গাটা নিশ্চিত হয়েছিলাম। হাসি খুশি আর দারুন মজার মানুষটিকে ডেস্টিনি করেন জেনে ও প্রবল পছন্দ করি।

উনাকে ও দেখেছিলাম ব্লগ ডে তে। শিপু ভাইকে ও। শিপু ভাই এসেছিলেন হাওয়াই মিঠাই নিয়ে। হাওয়াই মিঠাই দিয়ে যেন উৎসবে রঙের ছিটে দিলেন তিনি। জিসান ভাই ও এসে গেলেন কিছুক্ষণের মধ্যে।

তিনি জানান দিলেন, হেলাল ভাইয়ের না আসার কথা। কারণ জেনে সবাই তার অসুস্থ স্ত্রীর জন্য দোয়াই করলাম। জানলাম, আমাকে উৎসাহী করা আরেকজন সহচর ভাই ও আসছেন না, ব্যস্ততায়। পিকনিক স্পট গাজীপুরের উদ্দেশ্যে আমাদের বাস। ভার্চুয়াল্লি কিছু পরিচিত মুখ, অধিকাংশ নতুন জানা লোকদের বাস রওনা দিলো।

কয়েকটা ব্লগার পরিবার ও সাথে। ব্লগ যে সার্বজনীনতার পথে, যেন এরই জানান। শিপু ভাই সস্ত্রীক, খুব কিউট ছেলেকে নিয়ে। ভাবী ও ব্লগার জানি! কিন্তু নিক জানা হয়নি। নিমচাদ ভাই তার ছেলে কে নিয়ে।

ভাতিজার জন্য শুভ কামনা। বাবারা কত অকৃত্রিম ভালোবাসেন সন্তানদের, নিমচাদ ভাইকে দেখে আবার জানলাম। আরো কিছু পরিবার ছিলো। অথৈ সাগর ভাই ও ছিলেন পুরো পরিবার নিয়ে। কিছু একলা থাকা মুখ! পুশকিন ভাইকে পেলাম।

উনার নাম টা অনেক শুনেছি আগে। কয়েকজন তরুন ফটোগ্রাফারকে দেখলাম। ও হ্যা, পিচ্ছি আশকারীর বাবা ও ছিলো। পিকনিক শেষের একটা গল্প বলে দেই এখানে, আমাদের মির্জা ভাই হঠাৎ ঘোষণা দিচ্ছিলেন, আশকারির বাবা আমাদের ভাই, আশকারি আমাদের ভাতিজা! মির্জা ভাই নিশ্চয় তখন ভূলে গেছিলেন আংকেল হলে লুলামি কমে যায় অনেক! যাত্রাপথে বাসটাকে প্রাণবন্ত করেছিলেন কয়েকজন। শাহেদ ভাই গিটার নিয়ে কখনো অর্ণব, কখনো বাপ্পা, কখনো বাচ্ছু! আবার কখনো সুমন ভাইয়ের ক্যামেরায় মডেল।

নষ্ট কবি যে কত্ত গান জানেন, আর দিল খোলা লোক , জানান দিলেন ওই দিন। আমি হেড়ে গলায় অনেকবার তার সাথে চিল্লাইছি! আরেকটা মজার মানুষ মনসুর ভাই। উনি ভাংগা কন্ঠে যেভাবে আনন্দ দিয়েছেন, তা ভূলা যাবেনা। কেন যে পোলাপাইন তাকে জেঠা বলে, তা অবশ্য জানা হয়নি। প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছিলো মোজাম ভাইয়ের।

সৌদি প্রবাসী মোজাম ভাই তার বন্ধুসহ এসেছিলেন। সারা বাসে দৌড়াদৌড়ি ছিলো মির্জা ভাই আর আশকারির। কখনো তারা কন্টাক্টর, কখনো বাসের ছোট্ট আড্ডাগুলোর এখান থেকে সেখানে। মেঘ রৌদ্দুর আর ভবঘুরে ভাই ও ছিলেন মুখর। পানকৌড়ি ভাই ছিলেন দূর্দান্ত।

ভাব ভংগিমায় আলাদা ছিলেন ‘স্বর্ণমৃগ’। বাসে বিস্কুট, পানি আর কমলা সরবরাহে ব্যস্ত ছিলো মাহি ও কয়েকজন। কত্ত নাম বলা উচিত, অথচ মনে আসছেনা এখন। চেহারাগুলো ঠিকই ভাসছে। যাত্রাপথে আরো কয়েকজন যোগ দিয়েছিল রাস্তায়।

উত্তরায়, গাজীপুরে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ও কিছুক্ষণ আড্ডা হয়ে গেল। এখানে দেখা গেল পিকনিক যাদের কারণে আলোর মুখ দেখলো, জিসান ভাই আর শিপু ভাইদের বিভিন্ন আলাপ চারিতা। সবার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। সুন্দর পিকনিকের জন্য এ দুজন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

জাতীয় উদ্যানে প্রথম যেখানে স্পট চেনার জন্য নামলো সবাই, তখন থেকেই সত্যিকারের বনভোজনের অভিজ্ঞতা শুরু। যত্র তত্র গাছ গাছালির বনভূমিতে নেমেই কয়েকজন ক্রিকেট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করলো। আমি ফিরে গেলাম কৈশোরে। অনেক দিন পর হাতে বল। এখানে অন্য আরো আয়োজন আছে, ভুলে গেলাম।

আমার ক্রিকেট খেলা চাই! মূল স্পটের শুরুটা পরিচয় পর্ব আর জিসান ভাইয়ের বক্তব্যে। কত্ত কত্ত মুখ। কত্ত কত্ত ব্লগার। জাহিদ ভাই পরিবার নিয়ে। এরপরই শিপু ভাই ক্রিকেট শুরুর ঘোষণা দিয়ে উধাও।

খেলা শুরুর ডাক দিলাম আমি। ৬জন করে একে একে পাচটি দল। পঞ্চমটি পুশকিন ভাই দের। এরা বাকি চার দলকে খেলতে দেখে দর্শক থেকে আর পারলেন না। কোমড়ে ব্যথা নিয়ে ও খেলেছিলেন এক ব্লগার, নাম মনে পড়ছেনা।

ক্রিকেট টা ছিলো দূর্দান্ত। উত্তেজনাকর। কয়েকটা ম্যাচ প্রচন্ড দোদ্যুল্যমান ছিলো দুই পক্ষের জয়ের সম্ভাবনায়। এক ম্যাচে কারা যেন এক রানে অল আউট হতে গিয়ে চার রান বোনাস পেয়ে সর্বমোট পাচ করেছিল। পরবর্তী পিকনিকে এই দলকে খেলার সার্টিফিকেট দেয়া চলবেনা।

ম্যাচ পরিচালনায় জাহিদ ভাই দূর্দান্ত। যদি ও ক্রিকেটে ভারতীয় জোচ্চুরির মত অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন মনসুর ভাই। সে বিশাল কাহিনী। চাপাবাজিতে মনসুর ভাই একাই একশো দশ! তবুও আমরা সামু ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হলাম। ফাইনাল ম্যাচে শেখ জাবেদের সেকি ধবল ধোলাই।

আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে, বোলারের বিপদ ছিল। এটাই তার আখেরী ম্যাচ হত। ক্রিকেটের ফাকে হয়ে গেল পিচ্ছিদের বিস্কুট দৌড়। একটা পর্বে আশকারিকে দৌড়ার সুযোগ দিয়ে সুতো উপরে তুলে আশকারিকে বাদড় নাচানো, মনে থাকবে অনেকদিন। ছিলো নারী ব্লগারদের বালিশ নিয়ে খেলা।

একজন কে খুব সিরিয়াস দেখে আমার পাশে দাঁড়ানো একজন আবুলের গল্প শোনাচ্ছিল। সেটা না হয় নাই বললাম! দুপুরের খাবারের জন্য প্লেট নিয়ে তৈরী সবাই, খাবার আসছে, সেকি দৃশ্য! ও হ্যা, এই খাবার আনয়নে যারা সারাদিনের আনন্দের অনেকটাই মিস করলেন তাদের আবারো থ্যাংকস! জিসান ভাই, শিপু ভাই সহ আরো একজন। বনে ঘুরে ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত কয়েকজন। একজন নিজের ক্যামেরায় ব্যস্ত থেকে ও ওইদিনের মিস ফটোজেনিক! ব্লগার অপরিণীতা। তাকে আমার অতিরিক্ত একটা থ্যাংকস।

এই নিরীহ ব্লগারকে তার ক্যামেরাতেই বন্দি হতে দেখলাম কিনা! আরেকজন ব্লগার নীল_পরী! উনি আমাদের কয়েকজনের ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন! পরে জানলাম, উনি আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার। পরবর্তী দেখায় মুড়ি হলে চলবেনা আপু! র‍্যাফেল ড্র নিয়ে আনন্দ, ভুলা যাবেনা। আশকারির আব্বুর সুন্দর উপস্থাপনা। একই পরিবারে ৬টির ৪ টা পুরষ্কার প্রাপ্তি, সে কি উন্মাদনা! ভূলা যাবেনা কিছুই। দিনটা যেন দ্রুতই কেটে গেল।

চোখের পলকের মত করে উধাও! ফেরার জন্য বাসে উঠতে হলো। আনন্দের কিন্তু শেষ ছিলোনা। চললো আবারো গান পর্ব। শাহেদ ভাই, নষ্ট কবির সাথে কোন নারী ব্লগারের কন্ঠ ও শুনতে পাচ্ছিলাম মধ্যে বসে। আর পেছনটায় চলছিলো ভবঘুরে, নোমান নমি, মির্জা, শিপু ভাইদের ১৮+ পর্ব! শিপু ভাইকে অবশ্য কছুক্ষণ পর পর ভাবির খোজ নিতে ও দেখলাম।

দায়িত্ববান স্বামী! বাস থামিয়ে চিপস কেনা হলো। বাস থামলো সিনেমা হলের পাশে, বাংলার কিং খানের ছবি ‘মনে বড় জ্বালা’ দেখতে ভালোই ভিড়! ও হ্যা, আশকারিকে মন খারাপ করতে দেখা গেল কিছুক্ষণ! তাকে নাকি ১৮+ গল্পে যেতে দেওয়া হয়না! খবই কষ্টের কথা। বিদায় পর্বের ব্যথাটা অনুভুত হচ্ছিল যখন পথে একজন দুজন নেমে যাচ্ছিলো। কি এক অদ্ভূত মায়া। এক দিনেই আমরা যেন সকলে সবার হয়ে গেছিলাম।

ফারজুল ভাই হঠাৎ নেমে গেলেন, বাসার কাছে বাস চলে আসায়। নেমেই ফোন দিলেন, হাত মিলিয়ে যেতে না পারার আফসোস! টের পাচ্ছিলাম এসব ব্লগ আড্ডার সুফল। ভার্চুয়াল মুখগুলো কত নিবিঢ় ভাবেই না আপন হতে পারি এর কল্যানে। তাই বার বার এমনতর মিলন মেলা চাই। বিদায় নিতেই হচ্ছিল আমাদের।

আবার নিজের মধ্যে ফেরার জন্য। ব্যস্ততায়, পড়াশোনায়। বিদায় পর্বে পরবর্তীতে দেখার আশ্বাস চলছিলো। সবাই যেন বলছিলাম ‘দেখা হবে বন্ধু, কারণে অকারণে’! পুনশ্চঃ সাজিয়ে লেখার হাত আমার না। লিখবো ভাবনায় ও ছিলোনা।

ব্লগ উপভোগে সবার পোস্ট পাচ্ছিলাম, নিজের সীমাবদ্ধতা লিখতে না পারার জানান দিলাম ফেসবুকে। হেলাল ভাই বললেন, লেখা চাই। বললেন, শিপু ভাই, শাহেদ ভাই, অথৈ সাগর আর জিসান ভাই। আর পিকনিকের দিনই অনুভূতি চাইছিলেন ব্লগার উম্মে মরিয়ম আপু। তাদের উৎসাহে লিখেই ফেললাম আমার অনুভূতি।

একান্তই আমার অনুভূতি। ____ আর হ্যা, পিকনিক এর কল্যানে আমার দুটি ফ্রেন্ড সামুতে উৎসাহী। তাদের উৎসাহে আরো কয়েকজন। এটা ও বোধ হয় খারাপ না! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।