আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইজ আসলাম ঢাহা শহরে জীবনের পরথম

বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । {ময়মনসিংহের স্থানীয় ভাষায় লিখিত, নিজ দায়িত্বে পড়ুন} গেরাম থন বাইর হইবার পারতাচি লাম না! বেবাকতেই কই যাইছ না যাইছ না... আরে আমি কি বোকা নাকি যে হারাইয়ে যামু! আমি ঢাহা থেইকে ঘুইরে ঠিকই দুই দিনের মাঝে বাড়িতে আসমু। গেরামে আমারে হেরা বোকা ভাবে! আরে আমি বোকা না তরা বোকা হে!! রসুল মিয়ার গরুটা যে হারাইয়ে গেল হেইডা কেডা গোয়েন্দা গিরি করে চেয়ারম্যান সাবের কামলার খোয়ার থেকে বের করছিল? আর মেম্বর যে গম চুরি করছিলো তগর সামনে! কই কেউ তো তখন কিছু কইলি না? আমি, এই আমি একাই কইছিলাম পরতিবাদ করছিলাম হেই সময়। তাইলে আমি না তরা? বেবাক ভালা কাজে তরা পিছে থাকস আর আমারে নিয়ে তামশা করছ। হেইডা কি আমি বুঝি না।

জর্জ বুশ যে একদিন গ্রামে ফোন দিসিল মনে আছে? সেই দিন তো আমার কথাই বলছিলো শুদু- -হালু হালু -এম বুশ এম বুশ আরে অত্র এলাকাতে তো 'হালু' নামে আমি একাই আছি নাকি!! আর আমার ঢাকা যাইতে তোমরা না কর। আমি কাইল সক্কালেই যামু ঢাকাত , কত সুন্দর, দেখতে না জানি বাস্তবে আরো কত কিছু ঢাকা- ওরে ঢাহা শহর আইসে আমার আশা ফুরাইছে না.... আহারে কত বড় দেশ!!! এইডা তো দেখি সব দিয়েয় ফাকা তাইলে ঢাহা নাম দিলো কোন বেক্কলে। কত বড় বড় বিল্ডিং কত উচা উচা ঘর। আরে এইটা তো দেহি আরো উচা কি যেন লেখছে দেহি তো - জ-ন-তা ব্যাঙ্ক!!! এইহানে কি করে? ও হ হ বুঝছি এলাকার চেয়ার ম্যান মাঝে মাঝে বক্তব্যে কই প্রিয় জনতা। তাইলে হেই জনতা হইলে এইডা!! এত বড় বিল্ডিং এইডারে জনতা কয় তাইলে।

বাহ বাহ চেয়ারম্যান দেখি মেলা কিছু জানে। বড় বিল্ডিংরে জনতা কইতে হয় তাইলে। আচ্ছা এত বড় বিল্ডিং কেডায় বানাইলো কিভাবেই বা করলো এত বড় বিল্ডিং!!!! ও হহ বুঝছি পরথমে এই ছোড কইরে বানাইছে তারপরে ফুস ফুস করে পাম্প করে বড় করে ফেলছে কই তলা দেখি ত গণে- ১ ২ ৩ ৪ ৫ আরে না ভাই কিছু না আরে না ভাই এমনি আর কি আর গনুম না ভাই ঠকি আছে এই নেন ১৫ টেহা। হি হি হি হি আমারে বোকা মনে করছিল। এই বেডা কই কি তলা গনলে নাকি ট্যাস্ক দিতে হইবে।

প্রতি তলা ৫ টেহা। আমি ৫ তলা গইন্নে ৩ তলার কথা কয়ে ১৫ টেহা দিয়ে দিসি বেডা টের পাইলো না। কি বোকা ঢাহা শহরের মানুষ সামনে যায় দেহি আর কি আছে শহরে- এত বিশাল বাড়ি!! বাবারে বাবা এই খানে কি করে? আবার কেমন যেন ঝগড়ার আওয়াজ শুনা যাইতাছে। বাউরে মারা মারি লাগছে নাকি? আমগর বাড়ির সালেক কইছিল ঢাকাই নাকি প্যাচাল খানা আছে। যেখানে অনেক নেতারা বসে বসে প্যাচাল পারে ,তাইলে এইডাই কি প্যাচাল খানা? বাহ কত সুন্দর করে প্যাচাল পারার জন্য এত বড় বিল্ডিং বানাইছে।

দেশটা কেডা কই কোন বেক্কলে কই যে অপরিস্কার। আহ দিলডা ঠান্ডা হয়ে গেছে আচ্ছা এইটা বানাইলো কেডাই? দেখিতো জিগায়া— ও ভাই আচ্ছা এই প্যাচাল খানাটা কেডা বানাইছে? জানি না ভাই। ও ‘’জানি না ভাই’’ বানাইছে এইটা! বাহ উনি তো অনেক ভালা একটা লোক প্যাচাল পারার জন্যি এত বড় ঘর বানাইছে। না জানি আরো কত কিছু আছে এই শহরে। ওই যে বিমান ও ভাই ওই যো বিমান বিমান...হে হে হে বিমান এত বড়! বাবারে বাবা কত বড় বিমান এই খানে থাকে তাইলে? আচ্ছা এই এত বড় বিমান রঙ করলো কিভাবে? এইটা কিবা করলো? ও হ বুঝছি।

এই যখন বিমান আকাশে উড়ে তখন তো ছোট হয়ে যায়। তখন মনে হয় টুক করে রঙ করে ফেলে। হে হে হে আমার মাথায় তো দেখি মেলা বুদ্ধি! ভাই এইডা কেডা বানাইছে এই বিমান বাড়িটা? জানি না ভাই!! এই টাও জানি না ভাই বানাইছে! বাহ বাহ উনি তো অনেক বড় লোক মনে হয়। সব কিছু উনি বানাইছেন। ইশ উনারে যদি একবার দেখতে পারতাম।

সামনে এত ভিড় কেন? দেখি তো। ঢাহা শহরেও মানুষ দাড়ায়া থাকে নাকি? দেখি তো বাই ... আহারে কেডা না জানি মইরে গেছে। একজন মানুষ মরছে তার জন্য এত লোক আসছে! নিশ্চয় অনেক বড় লোক আছিল। আচ্ছা ভাই এইডা কার লাশ? কেডা মরছে? জানি না ভাই। জানি না ভাই!! হাই হাই রে জানি না ভাই মরে গেল গো।

আমার কত শখ ছিল তারে দেখার তার আগেই মরে গেল গো। ও জানি না ভাই গো। হু হু হু --কত কিছু করলেন ভাই আপনি। আমারে টানেন কেন? ওই দিকে যামু কেন ? আপনে কেডা? সংবাদিক! ছবি তুলবেন আমার? ঠিক আছে তুলেন। দাড়ান চুলটা ঠিক করে নেই আগে— স্মাইল প্লিজ.. ইসমাঈল? হেই তো আসে নাই আমার লগে।

কইছিলাম আইতে কিন্তু আইলো না। ইসমাঈল নাই ভাই। আহারে ঢাহা শহরের মানুষ চোখেও ঠিক মত দেখে না রে... **সর্ম্পুণ চিত্তবিনোদনের জন্য লেখাটি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।