আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেড়া

ভেড়াঃ শরীফ্,আমার ছোট বেলার ভজন ফ্রেন্ড্। জীবনে তো বিয়ে করতে পারবো না তাই বিয়ের দাওয়াত খেয়ে খেয়ে বিয়ের গোষ্ঠি উদ্ধার করছি। ছোট বেলায় ও একদিন ক্ষিদার জ্বালায় পাতা কপি খেয়েছিলো বলে ওকে ভেড়া ডেকেছিলাম্। আসলে ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়্। বাবা খাতুনগন্জ থেকে মুদি দোকানের বড় বড় বস্তা নিয়ে যে ট্রাক যেতো ওইগুলো থেকে মাল নামিয়ে দোকানে তুলে দিত্,যা আয় হতো মা,বাবা আর শরীফের চলে যেত্।

লেখাপড়ায় ব্রাইট ছিলো। স্কলার নিয়ে বি আই টি থেকে সিভিলে ইন্জিনিয়ার্। শশুর মশাইয়ের কল্যানে মোটা সেলারির চাকুরী। বৌএর সাথে ফ্লাট ফ্রি। বিয়ে হচ্ছে বিরাট বড় শীল্পপতির কন্যার সাথে।

ক্লাবে ঢুকেই টাসকি খেলাম্। একটা ফ্লাট সাজাতে যা কিছু লাগে বদনা থেকে চিরুনি পর্যন্ত সব নিয়ে ৭টা ট্রাক দাড়িয়ে আছে বাহিরে। শুনলাম ড্রাইভার রা নাকি ভাত খাওয়ার জন্য এসেছে। ভাত খাওয়ার পর বৌ দেখতে গিয়ে দেখলাম বৌ ওর ডিজুস মার্কা বন্ধুদের নিয়ে কেউ কে জড়ায়ে ধরে,কেউ কে বুকে সাথে মিশিয়ে কেউ কে পাশে বডির সাথে খুব ক্লোজ করে ছবি তুলছে,পাশে বন্ধু মাথাটা নিচু করে বসে আছে। ওকে প্রশ্ন করেছিলাম ওর বাবা,মায়ের কথা।

বল্লো ওরা নাকি এই সোসাইটিতে বেমানান্। তাই আসতে মানা করেছে । একবন্ধু পরে বল্লো মেয়ের বাবাই নাকি যৌতুক কি দিল তা দেখানোর জন্য ড্রাইভারদের এখানে আসতে বলেছিল। ওর মা,বাবাকেও নাকি মেয়ের বাবা আসতে নিষেধ করেছিলো। বালিশের নিচে কাপড় রেখে ইস্রী করা যায় এটা আমি ওর কাছেই শিখেছিলাম্।

ওর বাবার পান্জাবিটার পিছনের অংশ্টা হয়তো এত উপরে উঠেছে যে বালিশের নিচে দিলেও কাজ হবে না। তাই হয়তো ছেলের বিয়েতে আসতে পারে নি। খেয়ে যাওয়ার সময় কানে কানে ওকে প্রশ্ন করেছিলাম পাতা কপি কাচা এখনো খায় কিনা না খেলে বলেছিলাম আবার খাওয়া শুরু কর্। কয়েক দিন পরে তোর বৌ আর তোর শশুর তোকে ভেড়া বলে ডাকবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.