আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা-২ (ক্যাডেট কলেজের জীবন নিয়ে মজা করে লেখা একটি প্রামাণ্য উপন্যাস)

বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা-১, প্রথম এপিসোডের লিংক- Click This Link রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা , ২য় এপিসোড সাড়ে দশটার দিকে স্যার এলেন। কিররে- তোরা সব এসেছিস তাহলে ! গলায় ঘড়ঘড় শব্দ করে- বাম ভ্রু টা আকাশে ছুড়ে দিয়ে ডান দিকের চুলগুলো একবার ঝাকিয়ে অবহেলার ছন্দে টেনেটেনে বলল স্যার। বলেই রুমে ঢুকে চেয়ারটা টেনে নিয়ে বসল সে। বেয়ারাকে ডেকে বেতগুলো সব দিয়ে যেতে বলল টেবিলের উপর। এক একটা বাঁশকে চার ফালি করে কেটে ভালো করে পলিশ করে বেশ সুন্দর কিছু বেত বানিয়ে রেখেছে শালার বেয়ারা।

রিজভীর সব রাগ গিয়ে পড়ল বেয়ারা গোমেদ আলীর উপর। আয় সব ভিতরে আয়। চোখ বন্ধ করে- চেয়ারে মাথা এলিয়ে দিয়ে- সবাইকে ভিতরে এসে দাড়াতে বলল মালু স্যার। সবাই ভয়ে ভয়ে কাচুমাচু করে এসে দাড়ালো মালু স্যারের অফিস রুমে। বাঘের সামনে একপাল হরিণ শাবকের মতোই নিশ্চিত পরিণতি মেনে নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই।

দ্যাখ। তোরা আমাকে মাস্তান বলিস। মালু বলিস। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি মদ খাই না, মাতলামিও করি না। মদের জগতে সারারাত পরে থাকার জন্য তোরা আমাকে মদস্তানের নাগরিক বলে জািকস।

মালু বলে ডাকিস। জীবনে কোনদিন মদ ছুঁয়েও দেখিনি আমি। আমি একজন পাক্কা মুসলমান। শেষরাতে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে ঘুমাতে যাই। মালু স্যারের মুখে একথা শুনে চাপা হাসি অনেক কষ্টে আটকে রাখল ছেলেরা।

আসল ব্যাপারটা স্যার নিজের মুখ দিয়েই বলে দিয়েছে। তাই চাপা হাসি হাসতে গিয়েও ভয়ে চুপসে গেছে বালকেরা। একদিন তো মদ খেয়ে ক্লাসে এসে কী কান্ডটাই না করল সে। আমাকে মদ খেতে দেখেছিস তোরা কেউ! আমি মাতলামি করেছি কোথাও! মাস্তানি করেছি! তবে আমাকে তোরা মাস্তান বলিস কেন! মালু ডাকিস কেন- বল। চিতকার করে উঠল মালু স্যার।

আর ভকভক করে বিদেশী মদের গন্ধ বের হতে থাকল তার মুখ থেকে। চোখদুটো টকটকে লাল হয়ে আছে তার। বেশ টেনেটেনে কথা বলছে সে। একবার রিজভীর ইচ্ছে হল যে স্যারকে কিছু একটা বলে । কিন্তু সামনে অতগুলো বেত দেখে আর সাহস হলো না।

টিভি রুম থেকে একটা হিন্দী সিনেমার গানের দারুণ এক মিউজিক শোনা যাচ্ছে। সিনিয়র ক্যাডেটরা সাউন্ড বাড়িয়ে উদ্দাম ভিডিও গান দেখে পা দুলিয়ে দুলিয়ে মজা নিচ্ছে। রিজভী একটু নড়ে উঠল। ঠোট বাঁকা করে নিঃশব্দে হাসলেন মালু স্যার। এখনো তো মুততে শিখিসনি তোরা।

আবার মাধুরীর গান শুনে নাচতে চাস। হঠ্যাত চেচিয়ে উঠলেন স্যার। ছেলেরা তখনো বুঝে উঠতে পারে নি কিন্তু স্যার ঠিকই বুঝে গেছে যে গানটার নায়িকা মাধুরীর। হা হা । তারপর ছেলেদেও দিকে তাকিয়ে বলল, যাহ।

আজ তোদেরকে কিছু বলবো না। বলেই বেয়ারাকে বললেন, টিভি রুমে কারা আছে ডেকে নিয়ে আয় ওদেরকে। ওদেরকে একটু নাচাই আজ। পড়ালেখা বাদ দিয়ে বদমাসগুলো সারাদিন টিভি রুমে বসে বসে অ্যাশ করতেছে। আজ ওদেরকে আমি আমার রুমে মজা করাবো।

যাহ.. ডেকে নিয়ে ওদেরকে- বলেই ওমেদ আলীর দিকে তাকিয়ে চিতকার করে উঠল মালু স্যার। কোন শব্দ না করে সাবধানে হেটে হেটে গুটিগুটি পায়ে নিজের রুমের দিকে চলে গেল সবাই। পেছন থেকে রিজভীর নাম ধরে ডাকল স্যার। শান্ত গলায় বলল- এই রিজভী, তুই দাড়া। মনে মনে ভয় পেয়ে গেলেও সেটা বুঝতে দিল না রিজভী।

জিজ্ঞাসু চোখে স্যারের দিকে তাকালো সে। স্যার ঠোট বাঁকা করে বলল- আজ ছেড়ে দিলাম জন্য মনে করিস না বেচে গেলি। বেশী খুশি হোস না তুই। তোদেরকে পরে ধরব আমি। আজ তোদের বড় গুলোকে একটু সাইজ করি।

তারপর হঠাত চিতকার করে উঠে, যা ভাগ- বলেই হাত দিয়ে সিনেমার গডফাদারদের মতো ইশারা করলেন মালু স্যার। সেকেন্ড দেরী না করে দ্রুত কেটে পড়ল রিজভী। রুমে গিয়ে লাইটের সুইচটা খটাশ করে চেপে আলো নিভিয়ে দিল রিজভী। শরীফ ইশারায় জানালাটা খুলে দিতে বলল রিজভীকে। জানালাটা খুলে বিছানায় শুয়ে কান খাড়া করল ওরা।

হ্যা। শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ঠাস ঠাস শব্দ আসছে অবিরত। সাথে আহ! উহ! আরো কতো আহাজারি! শরীফ আর রিজভী দু’জনের মুখেই তৃপ্তির হাসি। মার দ্যানেওয়ালারা আজ মার খাচ্ছে।

হা হা হা। ক্যাডেট কলেজের সিনিয়রদের অত্যাচারে অতিষ্ট জুনিয়রদের জন্য এটাই মনে হয় সবচেয়ে আনন্দের দিন। নিজেরাতো আর সিনিয়রদের গায়ে হাত তুলতে পারে না। কিন্তু সিনিয়ররা কোন কারণে স্যারের কাছে ধরা খেয়ে পানিশমেন্ট পেলে মনে মনে নেচে ওঠে জুনিয়ররা। ঠিক যেমন ময়ূরের মতো নেচে উঠছে শরীফ আর রিজভীর মন।

দেয়া ডাকলে যেমন ময়ূর পেখম মেলে নাচে। স্যারের বেতানোর শব্দ ও সিনিয়রদের আর্ত চিতকারের সাথে সাথে ওদেরও রক্তে নাচন উঠেছে। শরীফ আর রিজভীর মতো হয়তো অন্যদের রুমেও চলছে অনন্দ উতসব। রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা শেষ। সামনে আবার রমজানের একমাস ছুটি।

ছুটিতে যাবার আগের দিনটা এভাবেই মালু স্যারের সাথে বাঘ-হরিণ দৌড় খেলে কেটে গেল টানটান উত্তেজনায়। ক্লাস এইট হয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কলেজে আসবে সবাই ক্লাস নাইন হয়ে। উত্তেজনা ও শংকায় গল্প করতে করতে রিজভী, শরীফ ও আরো কয়েকজন মধ্যরাতে দাড়িয়ে গেল তিতুমীর হাউসের উত্তরের বারান্দায়। জোছনার ছলছল আলোয় ঝিকিমিকি তারার আকাশ ছুঁয়ে আসা দুরন্ত রূপালী বাতাসে- মধ্যরাতে কারমাইকেল সীমানার বারান্দায় দাড়িয়ে কী অসহ্য স্বস্তি আর অস্বস্তি! কী সুখ- কী যে যান্ত্রণা! কী যে স্বপ্ন- কী নিরাশা! কী যে তরলিত দোলাচলে ভাসে জীবনের টলমান স¦পনসময়। স্বপনসাধ ছুঁয়ে যায় অক্সিজেনের বিশুদ্ধতায়।

মনখারাপ করা নিখাঁদ শুদ্ধতায়। তীব্র-মৃদু। মৃদু-তীব্র বাতাস। নিজেকে উজার করে দেয়া চাঁদ। পেখম ছড়ানো ময়ূরীর মতোই সাজানো তারার আকাশ।

থেমে যাওয়া এই অস্থির সময়ের এক মোহনীয় মায়াবী জালে আটকে যায় সবাই। টয়লেটের দিক থেকে বাতাস পোড়া গন্ধ এসে সবার ঘোরলাগা ভাবটা তাড়িয়ে নিয়ে যায়। মেঘ ততখণে তুলার মতো ভাসতে ভাসতে হঠ্যাত করেই তীরের বেগে উড়তে শুরু করেছে পশ্চিমে। জ্বলজ্বল চাঁদ এসে চোখে লেগে যাচ্ছে। বিরক্ত হয়ে শরীফ এগিয়ে গেল পোড়া বাতাসের গন্ধের দিকে।

কাছে আসতেই দমভারী নিকোটনের গরম বাতাস হলকা দিয়ে গেল নাকের সামনে দিয়ে। দরজার পাশে দাড়িয়ে সিগারেট পোড়াচ্ছে রিজভী। সবাই খুব অবাক। সিগার পেল কোথায় রিজভী। ক্যাডেট কলেজে ইলেভেন ও টুয়েলভ ক্লাসের অনেকে হয়তো সিগার থেকে ধোঁয়া টানে।

তাও অনেক সাবধানে। কিন্তু ক্লাস এইটে কিভাবে সম্ভব। স্যাররা ধরতে পারলে তো কলেজ থেকে বের করে দেবে। আর সিনিয়ররা ধরলে বাকি ক্যাডেট জীবন পানিশমেন্টের উপর দিয়েই শেষ হয়ে যাবে। অনেক অনুরোধ করে তিনতলার দিদা ভাইয়ের কাছ থেকে এটা নিয়ে রেখেছি আজ সন্ধ্যায়।

দিদা ভাইয়ের সাথে গতবার বার্ষিক ক্রীড়ার সময় একসাথে দৌড়াদৌড়ি করায় বেশ ভালো একটা পরিচয় হয়ে গেছে। সারাদিন দৌড়ঝাপ করে মাঝে মাঝে উনি সিগার টানতেন লুকিয়ে লুকিয়ে। আমি দূরে দাড়িয়ে পাহাড়া দিতাম। সেই সুবাদে আমি ওনার কাছে আজ একটা সিগার চাই। ব্যাস, কাজ হয়ে গেল।

উনি দিয়ে দিলেন আমাকে একটা সিগার। বলেই আবার কষে কষে সিগারে টানা কয়েকটি লম্বা টান দিল রিজভী। সিগারের পিছনটা গরম হয়ে গেছে। শরীফ সিগারটা হাতে নিয়ে আবার ফিরিয়ে দিল রিজভী কে। পাশে দাড়ানো আরো অনেকে দ্বিধায় পড়ে গেল সিগার টানবে কি টানবেনা তা ভেবে।

কিছুখন পর সবাই চলে গেল নিজ নিজ রুমে। রুমে ঢোকার আগে পেছনের দিকে ফেলে আসা দীর্ঘ বারান্দাটার দিকে একবার উদ্ধত দৃষ্টিতে ঘাড় ফেরালো রিজভী। শরীফ রুমে ঢুকে শুয়ে পড়ল। তারপর রিজভীও। রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা দু’জনের কারো চোখেই ঘুম নেই।

চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে মাত্র। দুজনের মনে দুরকম উত্তেজনা । রিজভী ভাবছে ছুটির পর কলেজে এসে নিয়ম ভাঙ্গার জন্য কিছু নতুন নিয়ম জারির কথা। থেমে থেমে অস্থিরভাবে নড়াচড়া করছে সে বিছানায় শুয়ে। মনে মনে ভাবছে- কখন যে ভোরের আলো ফুটবে।

আর কখন যে ব্যাগ হাতে নিয়ে টপ করে বের হয়ে যাব এই গারদখানা থেকে। কলেজের গেট থেকে বেড়িয়ে পাকারাস্তার আমতলায় দাড়িয়ে বুক ভরে মুক্ত বাতাস টেনে- তারপর চলে যাব মৌবনে নাস্তা খেতে। রংপুরের পুরাতন হাইকোর্টের সামনের এক রেষ্টুরেন্ট মৌবন। মৌবনে মাঝে মাঝে ফালুদা খেতে ভালোবাসে সে। আর শরীফ ভাবছে তুলির কথা।

কাল সকালেই বের হয়ে যাব কলেজ থেকে। তারপর বাসায় গিয়ে হাজিরা দিয়ে সরাসরি চলে যাব তুলির বাসার সামনে। ওহ! কচি সূয্যের কোমল সকালে তুলিকে দেখতে পেলে দারুন হবে ব্যাপারটা। এতো সকালে আমাকে দেখে তুলিও নিশ্চই চমকে যাবে। আচ্ছা, তুলি কি এখনো সকালের ব্যাচে প্রাইভেট পড়ে রাজা স্যারের কাছে।

তাহলেতো স্যারের বাসার সামনেও দাড়ানো যায় সকালে। তুলিকে নিয়েই যেন শরীফের সব চিন্তা। এই বিশাল অবকাশের সব অবসর শুধু তুলির জন্যই তুলে রাখা। স্বপনের বাগিচা থেকে সাদা করবী তুলে নিয়ে তুলির অঞ্জলী ভরে দেয়া- এসব ছাড়া আর কোন অবকাশ চিন্তাই আসছেনা শরীফের মানে। ঘোরলাগা শেষ রাতে শরীফ ঘুমিয়ে পড়ে তুলিকে ভেবে ভেবে।

শরীফের বাসা রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে রিক্সায় বিশ মিনিটের পথ। আর তুলির বাসা থেকে পাচ মিনিটের । দুই বছর ধরে তুলিকে মনে মনে পছন্দ করে আসছে শরীফ। কিন্তু বলতে পারে নি এখনো। বলার চেষ্টাও অবশ্য করেনি সে কখনো।

তুলি সবই বোঝে- এটা শরীফ বুঝতে পারে। কিন্তু তুলিকে ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারে না শরীফ। টিয়া রঙের জামাটায় যা লাগে না তুলিকে। তুলি কি জানে এসব! রাস্তা হাটা শুরু করলে পাড়ার ছোট-বড় সব ছেলেরাই যে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। নিশ্চই জানে।

নাহলে মাঝে মাঝে অমন মুডি হয়ে যায় কেন সে! তুলিকে নিয়ে কি সব যেন ভাবতে থাকে শরীফ। রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা একমাস ছুটি শেষে- শেষ জানুয়ারীর এক মায়ারী শীতের বিকেলে কলেজে আসলো রিজভী। বিশাল আকারের একটা ব্যাগ টানতে টানতে নিয়ে গেল রুমের দিকে। নাহ বন্ধুরা এখনো ভিতরে আসেনি কেউ। হয়তো সবাই মর্ডাণ মোড়ের বাস স্টান্ডে আড্ডা দিচ্ছে।

ঠিক সন্ধ্যা হবার আগে আগে হুড়মুড় করে দল বেঁধে কলেজের ভিতরে আসবে সবাই একসাথে। কে চায় নিজে থেকে আগে এসে গারদখানায় ঢুকতে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে রিজভীর। অক্টোপাসের মতো একদলা কষ্ট এসে চেপে ধরেছে তার ফুসফুস ও হৃদপিন্ডে। শরীর থেকে খাকী রঙের শার্টটা খুলে তা বিছানার উপর ছুড়ে দিল রিজভী।

নাহ, রুম গোছাতে ভালো লাগছে না এখন। প্যান্টটা হাটু পর্যন্ত গুটিয়ে মোজার ভিতর থেকে রিজভী বের করে আনল এক প্যাকেট বেনসন সিগার। একটা সিগার পকেটে নিয়ে ধীর পায়ে হাটা দিল সে বারান্দার উত্তর কোনের দিকে। দরজার উপর থেকে ফায়ারবক্সটা নিয়ে- একটা কাঠি বের করে ফচ করে ঘসা দিল ম্যাচের সাথে। দ্রুত সিগারেটটা দু’ঠোটে চেপে ধরে জোরে জোরে কয়েকটা টান দিল সে।

বাতাস পুড়িয়ে পুড়িয়ে হৃদয় পোড়ার গন্ধ ছড়াতে লাগল চারপাশে। এই গারদখানার জীবন আর ভালো লাগে না রিজভীর। অথচ বাধ্য হয়ে থাকতেই হচ্ছে। প্রতিবার ছুটিতে যাবার সময় কতকরে ভাবে সে- এই গারদে আর কোনদিন ফিরে না আসার কথা। কিন্তু বাবা-মার সামনে মুখ খুলে বলার মতো অবস্থাই থাকে না কোনবার।

বাবা-মারা কত গর্ব করে গল্প করে ক্যাডেট ছেলেকে নিয়ে। কিভাবে তাদের সামনে মনের কথা বলে সে! তাই কোনবারই মনের কথাগুলো বাবা-মাকে মন খুলে বলা হয়নি। কষ্ট চেপে বারবার তাই ক্যাডেট সেজে ফিরে আসে সে। ক্যাডেট কলেজে আসার পর, জীবনের প্রথম ছুটিতে বাসায় যাবার পর অনেক সুখী মনে হয়েছিল নিজেকে। সেবারই সে প্রথম বুঝেছিল- সুখ কাকে বলে।

আর ছুটি শেষে, কলেজে আসার জন্য ব্যাগ গোছানো শেষে- হাউমাউ করে কেদেছিল খাকী শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে। তারপর কাঁদতে কাঁদতে আবার ফিরে এসেছে স্বপন আর দুঃস্বপনের সেই কলেজে। ....... (চলছে.....>) তিন নম্বর এপিসোড পড়তে চাইলে জাষ্ট ক্লিক- Click This Link রক ক্যাডেট: গারদখানার আমলনামা-৩ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।