আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ মুরসির সমর্থকদের বিক্ষোভ

মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উত্খাতের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে তাঁর সমর্থকেরা। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি সেনাবাহিনী কীভাবে মোকাবিলা করছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। বিবিসির অনলাইন ও রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।
গতকাল মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র জিহাদ এল-হাদ্দাদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সামরিক অভ্যুত্থানকে তাঁরা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন। অবিলম্বে মুরসিসহ তাঁর আটক সহযোগীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


হাদ্দাদ বলেন, নতুন সরকারকে কোনোভাবেই সহযোগিতা করবেন না তাঁরা। তিনি জানান, ‘প্রত্যাখ্যানের শুক্রবার’ স্লোগান সামনে রেখে আজ বিক্ষোভ-মিছিল করবে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকেরা।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশে বাধা দেওয়া না হলেও যেসব স্থানে বিক্ষোভ হবে, ওই সব এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হবে। মুরসির সমর্থক ও বিরোধীরা যাতে পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মুরসির জন্মশহর জাগাজিগে মুরসির সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় একদল লোক।

তাদের হামলায় ৮০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া সংঘাতময় সিনাই উপত্যকায় গতকাল সশস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, একদল বন্দুকধারী আজ ভোরে সিনাই উপত্যকার এল-আরিশ বিমানবন্দরে গুলিবর্ষণ করেছে। মিসর ও গাজা সীমান্তবর্তী রাফা এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে রকেট ও মর্টার হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন সেনা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।


সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে মিসরের পরিস্থিতি নিয়ে দোটানায় রয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মিসরের সামরিক ও বেসামরিক খাতে প্রতিবছর ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থসহায়তা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা পর্যালোচনা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র এ সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিলে মিসরের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়তে পারে।
গতকাল মধ্যরাতে মিসরের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও প্রতিবাদের অধিকার সমুন্নত রাখবে তারা।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ করা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
গতকাল মিসরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালতের শীর্ষ বিচারক আদলি মানসুর। সেনাবাহিনীর রোডম্যাপ অনুযায়ী এবার একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি পত্রিকায় জানানো হয়, আগামী রোববারের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হতে পারে। এরপর পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একটি প্যানেল সংবিধান পর্যালোচনা করে দেখবে।


মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লিগের প্রধান আমর মুসা মন্তব্য করেছেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ১২ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। সম্ভব হলে ছয় মাসের মধ্যেই। এটা খুব অসম্ভব কিছু নয়। ’।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।