আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরম খবর !! ঢাবি ক্যাম্পাসে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ !! (বিস্তারিত খবর ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি অনন্য পোস্ট)

নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন বিস্তারিত খবর পরুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিগারেট জাতীয় তামাক দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসমান দোকান পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার এস্টেট ম্যনাজারের মাধ্যমে এ বিষয়ে অবহিত করে চিঠি দেয়া হয়েছে। আর দোকান মালিকদের চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা শুরু হলো বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ২৩ টির মতো ভাসমান দোকান আছে।

এর সঙ্গে আছে ভ্রাম্যমাণ অনেক দোকান। যে গুলোতে সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। সিগারেট বিক্রির নাম করে নানা ধরনের নেশা সামগ্রী অবাধে ক্যাম্পাসে আসে। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রক্টর অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, চিঠির মাধ্যমে ক্যাম্পাসের দোকান গুলোকে সর্তক করা হয়েছে।

এছাড়াও বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করা হবে। যদি ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান সিগারেট বিক্রি করে প্রাথমিকভাবে তাদের সর্তক করা হবে। যদি এই প্রক্রিয়ায় কাজ না হয় তাদের সব মালামাল জব্ধ করা হবে এবং দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে না। হলগুলোতে সিগারেট যাতে সরবরাহ কমে সে জন্য হলগুলোর প্রভোস্টকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র(টিএসসি)কে ধূমপান মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ভাসমান ও ভ্রাম্যমাণ দোকান, ফুলার রোড ও হলগুলোতে স্থায়ী দোকানগুলোসহ ক্যম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবাদে সিগারেট বিক্রি হচ্ছে। আর এই নেশা থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতেই বিশ্ববিদ্যালয় এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট ম্যানেজার ভারপ্রাপ্ত সুপ্রিয়া দাস এ সর্ম্পকে বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “ক্যাম্পাসে সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এব্যাপারে ভাসমান দোকান ও হলের প্রভোস্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। ” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. আমজাদ আলী এ সর্ম্পকে বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “৬ সদস্য কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আমাদের নিজেদের স্বার্থেই ক্যাম্পাসে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ” তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসমান দোকান গুলোকে চিঠির মাধ্যমে দোকানে সিগারেট বিক্রির জন্য নিষেধ করা হয়েছে। যেহেতু অনেক বহিরাগত ক্যাম্পাসে আসে তাই যাদের সঙ্গে আসবেন তারা এই বিষয়টি মনে রাখা উচিত যে প্রকাশ্য ধূমপান নিষিদ্ধ। ২০১১ সালে টিএসসিতে এক বার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছিল। প্রয়োজনে সে রকম অভিযান পরিচালনা করা হবে।

” এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সবার সাহায্য প্রয়োজন বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় ভাসমান দোকান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “সিগারেটের সঙ্গে অনেক ধরনের নেশা জাতীয় বস্তু ক্যাম্পাসে আসে। তাই এই ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য জাতে ক্যাম্পাসে কমে সে জন্যই ভাসমান দোকানগুলোতে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ” খবরঃ বার্তা২৪ ডটনেট/এইচকেএ/জিস প্রতিক্রিয়াঃ কি ? বিশ্বাস হচ্ছে না ? খবরটি শুনে আমারও প্রথমে বিশ্বাস হয়নি । যাহোক, খবরটি সত্যি বলেই মনে হচ্ছে ।

দেখা যাক কি হয় । শেষমেশ "এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ"-এর মতো আদেশসর্বস্ব নিষেধ না হলেই হয় । নিষেধ তো করলো, বাস্তবায়িত করতে খবর হবে । ফেবুতে এক বড় ভাই Shimul Chandra Mondal মন্তব্য করেছেন, "শেষ পর্যন্ত কি K.G স্কুল বানায়া ফেলবে নাকি , যেগুলা আগে বন্ধ করা দরকার তার কোন নাম নাই , আইছে ধূমপান বন্ধ করতে। ভাগ বাটোয়ারাতে সমস্যা হচ্ছে মনে হয় ।

" আরেকটি মন্তব্যঃ "ভাইরে কথা গুলা কইতাম না , তুই বল পারছে তারা হল এর সিট সংকট নিরসন করতে ? পারছে হল থেকে বহিরাগত বের করতে , পারছে ক্যাম্পাস এ বাইরের গাড়ি , বাইক ঢোকা বন্ধ করতে , পারছে গাঞ্জার সাপ্লাই বন্ধ করতে??? পুরা মোকারম ভবনে খাবার কোন ব্যাবস্থা করে নাই এখন হুদাই এই সব ফাউল প্যাঁচাল পাড়ে..." কথাগুলা তো সত্যিই , নাকি বলেন ? ঢাবির ভাইয়েরা আওয়াজ দেন । ( ঢাবির আরও কিছু অসঙ্গতি জানতে এখানে ক্লিক করুন । আমার মনে হয় এগুলোর দিকেও প্রশাসনের নজর রাখা উচিৎ । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।