জন্মেছিলেন ছেলে হয়ে, তবে এখন তিনি মেয়ে। সেই শৈশব থেকে এতদিন তার নাম ছিল গ্রেগ ওয়াকার, এখন থেকে লিন্ডসে ওয়াকার। ২৫ বছর বয়সে পৌঁছানোর আগেই সাত ফুট উচ্চতার গ্রেগ (ওরফে লিন্ডসে) দুর্দান্ত বাস্কেটবল তারকা হিসেবে অর্জন করেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি। এ মুহূর্তে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রান্সসেক্সুয়াল বা লিঙ্গ বদলকারী হিসেবে। খেলাধুলার নামে ভয়ানক পাগল যুক্তরাষ্ট্রে অভাবনীয় জনপ্রিয় গ্রেগ ওরফে লিন্ডসে চিরকাল বেডে উঠেছেন সুন্দরী চিয়ারলিডারদের সান্নিধ্যের মাঝে।
কিন্তু নিজেকে আমার ভিন্ন কিছু মনে হতো সবসময়-বলেন বর্তমান লিন্ডসে। জিমে গিয়ে ওয়েটফটিং করেছেন নিয়মিত। নিজের অনুভূতি ঢেকে রাখার জন্য বিশাল মোটরবাইক নিয়ে যখন-তখন হাইওয়ে ধরে বেরিয়ে পড়তেন হাইকিংয়ে। ডাকাবুকো ভাবমূর্তির আকর্ষণে ডজন ডজন মেয়ে তার পিছু নিলেও বরাবরই তাদের নিবৃত্ত করেছেন সযতনে। সম্পর্কটাকে সীমিত রেখেছেন হালফ্যাশন আর যত মেয়েলি আলাপের মধ্যে।
কুড়ি বছরে পা দেওয়ার আগেই নিজের ভেতরে পরিবর্তন অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে চিঠি লিখে বাবা-মাকে জানালেন নিজের ভেতরে ঘটতে থাকা আলোড়নের কথা। ওরাও তাকে সাহস দিলেন। নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দিলেন। লিন্ডসে তখন থেকেই ছেড়ে দিলেন ছেলেদের জামাকাপড়।
মেয়েদের পোশাক-আশাকে ভর্তি হযে গেল তার ওরারড্রোব। পরবর্তী সময়ে চিকিত্সকের পরামর্শে পূর্ণাঙ্গ নারীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নিতে শুরু করলেন এসট্রোজেন। এখন তার বুকের মাপ আটত্রিশ। বিশেষ ধরনের ওয়েবসাইটে অর্ডার দিয়ে নিজের ১৬ সাইজের পায়ের মাপের হাইহিল জুতো কিনতে হয় তাকে।
গত দুই বছর ধরে আইনত নারী হিসেবে স্বীকৃত লিন্ডসে নিজের অনুভূতির বিষয়ে জানান, সব সময় অনুভব করেছি, চিরকাল একজন নারীই হতে চেয়েছিলাম আমি।
ডেইলি মেইল ও হ্যালো টুডে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।