আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মি. বিন খ্যাত রোয়ান অ্যাটকিনসন এর মুভিসমূহ এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

সব হৃদয়ের গল্প বলি, রংধনুটাকে রং করি, নির্ঘুম চোখের কথা নিয়ে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ি মি.বিন এই নামটি শোনেনি এমন লোক পৃথিবীতে পাওয়া দুষ্কর। আর এই নামের আড়ালে তার যে আসল নাম ঢাকা পড়ে গেছে তা হচ্ছে রোয়ান এ্যাটকিনসন । যেসব শিল্পীরা নির্বাক ছবিতে অভিনয় করে সবাক যুগের মানুষকে অবাক করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে রোয়ান এ্যাটকিনসন অন্যতম। আশা রখি ইতিমধ্যে সবাই তার নির্বাক অভিনয় দেখেছেন। আজ আমি তার অভিনীত চলচিত্রসমূহ আপনাদের সামনে হাজির করছি।

যেখানে বেশির ভাগ মুভিতে উপভোগ করতে পারবেন তার নিজ কন্ঠের সবাক অভিনয়। তো নিচে দেখুন >>> পর্যায়ক্রমে তার মুভিসমূহ দেয়া হল। ১। Never Say Never Again মুক্তির সাল : ১৯৮৩ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট জেমস বন্ড সিরিজের এই আন-অফিসিয়াল মুভিতে Nigel Small-Fawcett তে রোয়ান এ্যাটকিনসন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। এটাই তার চলচিত্রে প্রথম ছবি।

২। The Tall Guy মুক্তির সাল: ১৯৮৯ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ৩। The Witches মুক্তির সাল: ১৯৯০ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ৪। Hot Shots! মুক্তির সাল: ১৯৯৩ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ৫। Four Weddings and a Funeral মুক্তির সাল: ১৯৯৪ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ৬।

Bean: The Ultimate Disaster Movie মুক্তির সাল: ১৯৯৭ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট এই ছবিতে মি.বিন রুপেই পাওয়া যাবে রোয়ান সাহেব কে ৭। Maybe Baby মুক্তির সাল: ২০০০ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ৮। Rat Race মুক্তির সাল: ২০০১ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ৯। Scooby-Doo মুক্তির সাল: ২০০২ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট যারা স্কুবিডো এর ভক্ত তাদের জন্য মাস্ট সি রোয়ান এ্যাটকিনসন এখানে অন্যরকম এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ্যানিমেশন আর বাস্তবিক ঘটনা মিলে মজার এক কাহিনী।

১০। Johnny English মুক্তির সাল: ২০০৩ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট রোয়ান এ্যাটকিনসনের অন্যতম ফানি এ্যাকশান এবং এ্যাডভেঞ্চার মুভি এটি। গোয়েন্দাগিরি'র কাহিনী নিয়ে সাজানো ছবিটি দেখে অনেক মজা পেয়েছিলাম। ১১। Love Actually মুক্তির সাল: ২০০৩ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ১২।

Keeping Mum মুক্তির সাল: ২০০৫ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট ১৩। Mr. Bean's Holiday মুক্তির সাল: ২০০৭ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট এই মুভিটি সম্ভবত অনেকেই দেখেছেন। মি. বিন রূপে তিনি এ ছবিতে হাজির হয়েছেন। লটারী জিতে ফ্রান্সে ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়ে যান তিনি। তারপর ওখানে যাবার পর নানা বিপত্তি ঘটতে থাকে।

তবে শেষ পর্যন্ত তার লক্ষ্য চেন্নাই সী-বিচ-এ পৌছাতে সমর্থ হয়। কেউ মিস করলে দেখে নিন। ১৪। Johnny English Reborn মুক্তির সাল: ২০১১ ডাউনলোড লিংক টরেন্ট > ব্লুরে রিপ / ব্লুরে রিপ / ব্লু'রে রিপ ৭০৪মেগা / ডিভিডি রিপ গত বছরের অক্টোবরে মুক্তি পায় রোয়ান এ্যাটকিনসন এর এখন পর্যন্ত শেষ এই মুভিটা। এটা যে জনি ইংলিশ এর সিকুয়্যাল তা তো বুঝতেই পারছেন।

এখানে ব্যাফক এ্যাকশান এবং সাথে মজার উপাদানের কমতি নেই। এবার বিনের সম্পর্কে কিছু জেনে নেই >> ছোটবেলা থেকেই রোয়ান ছিলেন খুব হাসিখুশি। কথাও বলতেন কম। কিন্তু পড়াশোনায় ছিলেন খুবই ভাল। ডারহামের ক্যাথেড্রাল স্কুলে রোয়ানের সঙ্গী ছিলেন টনি ব্লেয়ার (যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী)।

টনি গম্ভীর আর রোয়ান আমুদে আর রসিক হলেও দু'জনের মধ্যে ছিল খুব ভাল বন্ধুত্ব। পড়াশোনায় ভাল হলেও শুধু পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন না রোয়ান। স্কুলের একটি ফিল্ম সোসাইটিতেও কাজ করতেন। ওই ফিল্ম সোসাইটির প্রধান বিষয় ছিল শিক্ষার্থীদের হাসির ও শিশুতোষ বিষয়ক বিভিন্ন সিনেমা দেখানো। রোয়ান নিজে ১২ বছর বয়সের আগে কখনও টেলিভিশনই দেখেননি।

কিন্তু ফিল্ম সোসাইটিতে চার্লি চ্যাপালিন, লরেল এ্যান্ড হার্ডির সিনেমা দেখে নিজের অজান্তেই এঁদের নকল করা শুরু করেন। স্কুলে প্রথমদিকে মঞ্চ নাটকে ব্যাকস্টেজে কাজ করতেন। কিন্তু যখন মঞ্চে অভিনয় করা শুরু করেন, তা হতো আরও ভাল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রোয়ানের অভিনয় দেখে বলেন, তুমি অভিনয়কে সিরিয়াসলি নিও। তুমি খুব ভাল করবে।

রোয়ান অভিনয়কে সিরিয়াসলি নিলেও পড়াশোনায় সব সময় প্রথম সারির ছাত্র ছিলেন। এজন্যই স্কুল-কলেজের পাঠ চুকিয়ে নিউ ক্যাসেল ও Oxford University'তে পড়ার সুযোগ পান। এভাবেই একদিন তড়িৎ প্রকৌশলী হয়ে যান। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি আগ্রহটা থেকেই যায়। আবার মঞ্চাভিনয় শুরু করেন।

রোয়ানের অভিনয় দেখে ভাল লাগে এক সুপ্রতিষ্ঠিত ফিল্ম এজেন্টের। এই ফিল্ম এজেন্ট রোয়ানকে 'বিয়ন্ড দ্য জোক'-এ অভিনয়ে সুযোগ পেতে সাহায্য করেন। এর পর বিবিসিতে 'নট দ্য নাইন ও'ক্লক নিউজ'-অনুষ্ঠানটি করে খ্যাতি অর্জন করেন। 'দ্য বস্ন্যাক এডর সিরিজ' রোয়ানকে আরও বেশি পরিচিতি পাওয়াতে সাহায্য করে। অনুষ্ঠানটি এত জনপ্রিয়তা পায় যে এর পাঁচটি সিরিজ তৈরি করে নির্মাতারা।

রোয়ানের আরেক সত্তা মি. বিন। নব্বই দশকের শুরুতে মি. বিন সিরিজ টিভিতে শুরু হয়। এর পর থেকে টানা বিশ বছর রোয়ান এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথমে শুধু টিভি সিরিয়াল থাকলেও মি. বিন নিয়ে সিনেমা এমনকি কার্টুনও নির্মিত হয়েছে এবং মি. বিন প্রতিটি ক্ষেত্রেই অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রূপালী পর্দার মতো বাস্তবেও রোয়ানকে সবাই ভাবে হাসিখুশি একজন মানুষ।

আসলে ব্যক্তিগত জীবনে রোয়ান খুবই চুপচাপ স্বভাবের। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলতে ওর মোটেও ভাল লাগে না। আর কথা কম বলতে পছন্দ করেন বলেই হয়ত মি. বিন চরিত্রেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। গাড়ি রোয়ানের খুবই পছন্দ। সেটা যদি হয় দ্রুতগতির, তাহলে তো কথাই নেই তাই Mclaren formula One স্পোর্টস কারটি তিনি কিনেছেন।

এ ধরনের স্পোর্টস কার পৃথিবীতে রয়েছে মাত্র ১০০টি। গত বছরের ৫ই আগস্ট তিনি ঐ গাড়িতেই এ্যাক্সিডেন্ট করেন এবং তার কাধে অপারেশন করা লাগে। এর কিছুদিন পরই তিনি বলেন, 'মি. বিন চরিত্রের জন্য নিজেকে আর উপযোগী মনে করছেন না। কারণ মি. বিন চরিত্রের জন্য আরও তরুণ কাউকে প্রয়োজন। এছাড়া তিনি মি. বিন'স হলিডে করার পরও বলেছিলেন যে তিনি আর নতুন কোন মুভিতে অভিনয় করবেন না।

তবে দর্শকদের অনুরোধে তিনি গত বছর জনি ইংলিশ এর সিক্যুয়াল জনি ইংলিশ রি-বর্ন এ মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::: রোয়ান এ্যাটকিনসন ১৯৫৫ সালের আজকের এই দিনে (৬ই জানুয়ারী) জন্মগ্রহন করেন। আসুন সারাবিশ্বের ছেলে-বুড়োদের মুখে যিনি অকাতরভাবে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছেন, তাকে আজ শুভ জন্মদিন জানাই। হয়তবা তার চোখে পড়বে না লেখা...তবুও এতদিন ধরে যিনি সবাইকে হাসিয়ে যাচ্ছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলছি >>> শুভ জন্মদিন ফুটনোট: *ডাউনলোড লিংকগুলো কোন সমস্যা হলে কমেন্টে জানান যত দ্রুত পারি তা আপডেট করা হবে। **বেশ কিছু সাইট থেকে তথ্য সহায়তা গ্রহন করেছি।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।