আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোবেলবঞ্চিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ।

জাহাঙ্গীর সুর : ১৯১৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান ম্যাক্স-প্ল্যাঙ্ক। তার বিখ্যাত বিকিরণ সূত্রের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাসহ এক প্রবন্ধ লেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরপদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। ওই প্রবন্ধটি তিনি আইনস্টাইনেরকাছে পাঠালেন ১৯২৪ সালে। আইনস্টাইন নিজেও সেই গবেষণায় সম্পৃক্ত হন। শেষে দু’জন মিলে যে নতুন তত্ত্ব দাঁড় করালেন তার নাম বোস-আইনস্টাইন ঘনীভবন।

পরম শূন্য তাপমাত্রায় (শূন্য ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ২৭৩ ডিগ্রি নিচে) কোনো গ্যাস যে আচরণ করে তাকে বলা হয় বোস-আইনস্টাইন ঘনীভবন। এটা হল পদার্থের পঞ্চম অবস্থা (পদার্থের প্রথম চার অবস্থা হচ্ছে কঠিন, তরল, বায়বীয় ও প্লাজমা)। ১৯৯৫ সালের ৫ জুন। রুবিডিয়াম পরমাণু নিয়ে গবেষণায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুরতত্ত্ব হাতেকলমে প্রমাণ করেন বিজ্ঞানী এরিক কর্নেল ওকার্ল ভিমেন। পরের বছর সোডিয়াম পরমাণু নিয়ে ওই তত্ত্ব প্রমাণ করেন বিজ্ঞানী উলফগ্যাঙ্গ কেটারলি।

স্বীকৃতিস্বরূপ এইতিন বিজ্ঞানীকে দেওয়া হয় ২০০১ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল। কী বিস্ময়কর, নোবেলবঞ্চিত হয়েছেন ওই তত্ত্বের স্রষ্টা-সত্যেন্দ্রনাথ বসু! ("নানা মত"- "সকালের খবর" থেকে সংগৃহীত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.