আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রি অ্যান্ড পোস্ট ভিউ: বাংলাদেশ-শ্রীলংকা একমাত্র টি-টুয়েন্টি।

#১) আজ একটা পেসার কমিয়ে মোশাররফ রুবেলকে খেলানোর পক্ষপাতী। বিপিএলে তিনটার কম স্পিনার নিয়ে কদাচিৎ মাঠে নেমেছে ফ্যাঞ্জাইজি গুলো। পিচ এবং কন্ডিশন কিছুটা ভিন্ন হলেও তিন স্পিনার-এক পেসার লাইন-আপই চাইবো। পেসাররা আহামরি কিছু করে দেবে, এটা ভাবতেও পারছি না। বরং স্পিনার নিয়ে বাজি ধরা যেতে পারে।

২) সাঙ্গাকারা-দিলশান নেই মানেই বড় একটা রিলিফ নি:সন্দেহে। তবে যারা খর্ব শক্তির শ্রীলংকা বলছে, তাদের বাংলাদেশ দলটার দিকে তাকাতে বলছি। তামিম-সাকিব-মাশরাফি বড় তিনটা অস্ত্র তো নেইই, নেই বিপিএলে রানের ফোয়ারা ছোটানো শাহরিয়ারও। শ্রীলংকা টি২০ র্যাংকিং-এ ১ নাম্বার দল, বাংলাদেশ ৯ নাম্বার। তাতে কী? নয়-ছয় না করলে তাই লড়াইটা বাঘে-সিংহেই হওয়ার কথা।

৩) টি২০ তে ইনিংসের প্রথম ৬ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যদি দুই ইনিংসেই এই প্রথম ৬ ওভার জিতে নিতে পারে, তাহলেই জিতবো। ডেথ ওভার গুলোও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পাস্ট হিস্ট্রি বলে বাংলাদেশ এই ৬ ওভারেই সব গড়বড় করে ফেলে। হয় একাধিক উইকেট হারিয়ে ফেলে, নয় অনেক রান দিয়ে ফেলে।

৪) শর্টার ফরম্যাটে শ্রীলংকা নাসির হোসেনকে এখনও আউট করতে পারেনি। তিনটে ওয়ানডেতেই অপরাজিত। ৩৬, ৭৩ অ্যান্ড ৩৩ নট আউট। আজও 'ফিনিশার'-এর দিকে তাকিয়ে দেশ। ৫) বাংলাদেশের টি২০ রেকর্ড খুবই খারাপ জানি।

তবে একটা নির্দিষ্ট দিনে, মাঠের খেলায়, বাইশ গজে রেকর্ড-টেকর্ড লেখা থাকে না। রেকর্ড লেখা হবে খেলা শেষের পর। ৬) বিপিএলের কথা চিন্তা করেন তো। এই শামসুরের ধারাবাহিকতা, আশরাফুলের আগ্রাসন, জহুরুলের দায়িত্বশীলতা, মুশফিকের ক্যাপ্টেনস নক, নাসিরের ফিনিশিং, মাহমুদউল্লাহর ক্যামিও। কী ছিলো না এবার? এই দলের প্রায় সবাই ফর্মে ছিলো।

টি২০ দু'-তিন জনের খেলা। আজ দু'-তিনজন ক্লিক করতে পারলেই হবে। ৭) পরে ব্যাটিং করলে আজকেও জেতার কথা। আগে ব্যাটিং পেলে ফিফটি-ফিফটি চান্স। ৮) লিভারপুলের লীগ ম্যাচও সাড়ে সাতটায় শুরু।

এটা দেখা হচ্ছে না। হাইলাইটস দেখে চালাতে হবে। ৯) ক্রিকইনফো ম্যাচ প্রিভিউতে লিখেছে, 'The game will be played on the 27th anniversary of Bangladesh's debut international match'. দিনটা স্মরণীয় করার দায়িত্ব এখন মুশফিক বাহিনীর হাতে। # ১) পাল্লেকেলেতে টি২০ তে গড় স্কোর ১৬৬। ১৯৮ অনেক রান।

এই মাঠের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চেজের রেকর্ড ১৬৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২) ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশীদের হাতে জোর এমনিতে কম। ডিপ থেকে থ্রো আসতে আসতেই এক্সট্রা ১ রান নিয়ে নেওয়া যায়।

সেখানে এই পরিমান মিসফিল্ডিং হলে তো.… কমপক্ষে ১৫-২০ রান এসেছে মিস ফিল্ডিং থেকে। ক্যাচ ফেলেছে। মমিনুল খুবই স্লপি। মুশফিকের কিপিংও দৃষ্টিকটু ছিলো। রাজ্জাকও ওর স্ট্যান্ডার্ডে খারাপ বল করেছে।

৩) কুশাল পেরেরা অসাধারণ। শ্রীলংকা একটা রত্ন পেয়ে গেছে বলেই ঠাওর হচ্ছে। জীবন মেন্ডিস ভীষণ অ্যাটাকিং। আগেও অনেকবার প্রমান দিয়েছে। তবে ওর লেগ স্পিন বেশি ভালো লাগে।

৪) বাংলাদেশী পেসাররা স্লগ আর ডেথ ওভারে একটা ইয়োর্কার দিতে পারে না, এটা ভাবতেই কষ্ট হয়! অন্য দলের পেসাররা ডেথ ওভারে ৩/৪ টা স্লোয়ার দেয়, ইয়োর্কার দেয়। এরা কী ম্যাচে কিছু প্রয়োগ করতে পারে না? ম্যাচের আগে এজন্যই লিখেছিলাম, যেটা শক্তি সেটাই কাজে লাগানো উচিত। স্পিনেই নির্ভর করা উচিত ছিলো। ৫) প্রথম ৬ ওভারেই ম্যাচ থেকে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৬ ওভারেই ৬২ রান হয়ে গেলে ফিরে আসা কঠিন।

প্রথম ৭ ওভারে ৭১ হওয়ার পরেও স্পিনাররা পরের সাত ওভারে মাত্র ৪৪ দিয়েছে। কিন্তু ওই যে পেসাররা আছে। শেষ ৬ ওভার ডুবাতে শাহাদাত-রুবেলের পরে আর কেউকে লাগে? শাহাদাত ৪ ওভারে দিয়েছে ৫৪, রুবেল ৪ ওভারে ৪০। টোটাল ৮ ওভারে ৯৪। মুশফিক, নাসির-মমিনুলকে চোখে বাঁধেনি? ৬) ম্যাচে অতিরিক্ত রান হয়েছে ২৬! ২০ ওভারে ২৬।

আন্তর্জাতিক টি২০ তে এটা রেকর্ড। এত রান এর আগে আর কেউই দেয়নি। এর পরে ম্যাচ জেতার আশা অত্যুক্তি না? ৭) শাহাদাতকে ডমেস্টিক দল খুলনা রয়েল বেঙ্গলসই বিপিএলে খেলানোর সাহস পায়নি। আফগানিস্তানের জর্ডান শাপুরকে খেলানোই ভালো মনে করেছে সেখানে আন্তর্জাতিক টি২০ তে নিয়ে নিলো টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলাফল? মাত্র ৫৪ দিয়েছে ৪ ওভারে।

হতাশ। ৮) তবুও জয়ের স্বপ্ন দেখি। # হেরে যাওয়া সবসময়ই দু:খজনক। আজ শুধু হেরে যাইনি, হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। শামসুরের বলটা কমপক্ষে চার আঙুল উঁচু দিয়ে যেত।

স্ট্রোকের ফুলঝুরি শুরু করা আশরাফুলেরটা লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে। দারুণ টাচে থাকা মাহমুদউল্লাহর আউটটা নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অর্ধেক ক্রিজ পার হয়ে গেছিলো। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ খুঁজতে ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনকে বেশি কষ্ট করা লাগবে না আজ। আম্পায়ার রুচিরা পিল্লায়াগুরুগে এবং রানমোরে মার্টিনেজকে ট্রফিটা চোখ বুজে দিয়ে দেওয়া যাবে।

'চোখ বুজে' কথাটা বললাম এ কারণে যে মমিনুলের বাউন্ডারিটা লাইনের প্রায় হাত দশেক সামনে পড়া সত্ত্বেও দেখতে না পেয়ে দেখলাম টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নিতে। এসব চৌর্যবৃত্তির পাকিদের মানায়, এবার দেখি শ্রীলংকাও… যাই হোক, বৈরী আবহাওয়া পরাভূত করে ম্যাচ জেতা যায় কিন্তু বৈরী আম্পায়ারকে পরাভূত করে ম্যাচ জেতা সম্ভব না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.